বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [১৭:৮১-পবিত্র কুরআন]
আমি সত্যি বলছি, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, অবাধ (কারণ উনারা কোন বাধার সম্মুখীন হননি) ও নিরপেক্ষ (কারণ অন্য কোন পক্ষ নেই) নির্বাচনের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রায় দেড়শতাধিক প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। হাততালি, হিপ হিপ হুররে। এদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এটা একটা রেকর্ড ।
ভোট গ্রহণের আগেই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বর্তমান শাসক দল। এ বিজয় যে, কত গর্বের তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমি নিশ্চিত, বিজয়ী দলের বাকপটু নেতারা অবশ্যই তা ভাষায় প্রকাশ করবেন । বিজয়ের এই মাসে নির্বাচনে শাসক দল যে বিজয় অর্জন করেছে তার জন্য তাদের জানাই অভিনন্দন। জাতিকে এমন একটি নির্বাচন উপহার দিয়ে এবং জনগণের কিছু টাকা অন্তত অপচয়ের হাত থেকে রক্ষা করে, নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই গর্ববোধ করছে।
যাক এই বার একটু সিরিয়াস হই, বর্তমান শাসক দলকে কিছু প্রশ্ন করি। বলুনতো, কি অর্জন করলেন এই নির্বাচনের মাধ্যমে? সম্মান, ভালোবাসা, সমর্থন? সংবিধান, ভোটাধিকার কি প্রতিষ্ঠিত হল? গণতন্ত্র কি সুরক্ষিত হল? এইটা কি ইলেকশান হলো না সিলেকশান? আর জনগণকেই বা কি শিক্ষা দিলেন, আদর্শ গণতন্ত্রের দীক্ষা?
আমার মনে হয়, সময় এসেছে "আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকেই দিব" এই স্লোগানটি পরিবর্তন করার। এখন থেকে চালু হোক নতুন স্লোগান, "আমার ভোট আমিই দিব, কিন্তু সুযোগ পেলে তবেই না দিব। "
তথ্যসূত্রঃ
নির্বাচনে রেকর্ড, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হচ্ছেন ১৫১ জন
ভোট ছাড়াই মহাজোট সংখ্যাগরিষ্ঠ?
ব্যালটে ভোট ১৪৯ আসনে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।