আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কমলো ইডিএফ ঋণের সুদহার

রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক সার্কুলার জারি করে আগামী ৬ মাসের জন্য ইডিএফ থেকে নেয়া ঋণের জন্য নতুন সুদ হার ঘোষণা করে।
এতে বলা হয়, সার্কুলার জারির দিন থেকে আগামী ছয় মাস ব্যবসায়ীদের জন্য ইডিএফের ঋণের সুদ হার হবে লাইবর (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট) এর সঙ্গে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
যা আগে ছিল লাইবরের সঙ্গে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
ইডিএফ তহবিল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এতদিন লাইবরের সঙ্গে ১ শতাংশ সুদে অর্থায়ন করতো। আর ব্যাংকগুলো রপ্তানিকারকদের তা দিতো লাইবরের সঙ্গে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ যোগ করে।


এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে লাইবরের সঙ্গে দশমিক ৫০ শতাংশ যোগ করে অর্থায়ন করবে। আর ব্যাংকগুলো রপ্তানিকারকদের থেকে নেবে লাইবরের সাথে ১ দশমিক ৫০ যোগ করে।
ইডিএফ হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার একটি তহবিল। যে তহবিল থেকে রপ্তানিকারকদের ঋণ দেওয়া হয়। এই তহবিলের বর্তমান পরিমান ১ বিলিয়ন ডলার।


এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আহসানউল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সামগ্রিক পরিস্থিতি ও ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইডিএফের ঋণের সুদ হার কমিয়েছে। ”
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রপ্তানিকারকরা বিশেষকরে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা দাবি করছেন, হরতাল, অবরোধের কারণে তারা সময়মত পণ্য বন্দরে পাঠাতে পারছেন না। যে কারণে লীড টাইম রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে বিমানে করে পণ্য রপ্তানি করতে হচ্ছে।


ফলে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ আপদকালীন সময়ের জন্য ঋণের সুদ ব্লক একাউন্টে রাখা, চলতি বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে ব্যবসায়ীদের খেলাপি না করাসহ নানান দাবি করে আসছে।
গভর্নরের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা রোববার এই সার্কুলার জারির আগে গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সাথে এফবিসিসিআইসহ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা এক বৈঠক করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, সাবেক সভাপতি আনিসুল হক, বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, “সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সব খাতের ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন।

এজন্য আমরা আপামর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কিছু ব্যাংকিং সুবিধা চেয়েছি। ”
“এর মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নভেম্বর থেকে ফ্রেবুয়ারি পর্যন্ত চার মাসের বেতনের সমপরিমান অর্থ প্যাকিং ক্রেডিটের অধীনে ঋণ এবং এই ঋণের সুদ ব্লক একাউন্টে রেখে আগামী ২ বছরে পরিশোধের সুযোগ। এছাড়া আপদকালীন সময়ের সুদ মাফ, চলতি বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে নতুনকরে কাউকে খেলাপি না করার দাবি রয়েছে। ”
তবে ব্যবসায়ীদের এসব সুবিধা দিতে গিয়ে ব্যাংকগুলো অসুবিধায় পড়বে। তাই ব্যাংকগুলোর জন্য কর্পোরেট কর সাড়ে ৪২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান।


বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর সুর চৌধুরী বলেন, “সম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। তাই বর্তমানে তাদের সহযোগিতায় ইডিএফ নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনা হবে। ”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।