আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সংখিপ্ত ইতিহাস।

আমি মনে প্রাণে একজন মুসলিম। ঘৃণা করি ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকদের এবং ধর্ম ব্যবসায়ী ছাগু তথা উগ্রবাদীদের। ক্যঁচাল পছন্দ করিনা । ।
আজ ১৬ ডিসেম্বর…..মহান বিজয় দিবস উদযাপিৎ হচ্ছে দেশের প্রতিটা জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে থানা, ইউনিয়ন থেকে গ্রামে গন্ঞ্জে উৎসব মূখর পরিবেশে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ আজকের দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য়। যাদের রক্ত এবং আত্নত্যগে এই স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা জাতী তা আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। ত্রিশ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে এই এই স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি…. দেশের অধিকাংশ এলাকায় মাইকে বাজছিল একটাই গান “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা আমরা তোমাদের ভূলবোনা” ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের রক্তে রন্জ্ঞিত হয়েছিল ঢাকার রাজথ। সালাম,বরকত,শফিউর সহ অনেকে মায়ের ভাষার জন্য বুকের তপ্ত রক্ত ঢেলে দিয়ে রাজপথকে রন্ঞ্জিৎ করেছিল বলেই সেই ক্ষোভ থেকে ধীরে ধীরে বাঙালী জাতী পাকিস্তানীদের অবিচার-অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। অবশেষে সত্তরের লোক দেখানো নির্বাচন অবশেষে নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া সত্বেও পাকিস্তানী সামরিক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় জাতী তখন দ্রোহের আগুনে ফুঁসছিল।

অবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালী জাতী একাত্রিত হয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য পুরোপুরিভাবে প্রস্তত। বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণঃ ঢাকার রোসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লাখো জনতার উপুস্হিতিতে গগণ বিদির্ন জ্বালাময়ী এক ভাষণ দিয়ে জাতীকে স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য এক দিক নির্দেশনা দিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্ঠে প্রকম্পিত হচ্ছিল ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ এভাবে দির্ঘক্ষণ তিনি ভাষণ দিলেন আর মানুষের হাততালিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠছিল রেসকোর্সের ময়দান। বঙ্গবন্ধু ভাষণের এক পর্যায়ে বলে দিলেন ‘আমি যদি গ্রেফতার হই বা নাও থাকি তাহলে তোমরা ঘরে বসে থাকবেনা….তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রূর মোকাবেলা করবে” মুলত বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে জাতীকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য ঝাপিয়ে পড়ার আহবান ছিল।

পরবর্তী দু-একদিনের মধ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাক হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে যায়। পাকিদের ধারনা ছিল যে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করলেই বুঝি স্বাধীনতা আন্দোলন থেমে যাবে!!.. বরং বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারের খবর শুনে জাতী আরো শক্তভাবে একত্রিত হয় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহন করতে থাকে। এরমধ্য মুক্তিবাহিনীতে হাজার হাজার যুবক-তরুন সহ সব বয়সি লোকজন যোগ দেয় এবং তারা ট্রেনিং করতে অনেকে ভারতে যান। ট্রেনিং শেষে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাংলার মুক্তি সেনারা। ২৬ শে মার্চ ১৯৭১ মহান স্বাধীনতার ঘোষণাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করার পর তাকে বন্দি করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায় পাক হানাদার বাহিনী।

দেশের কিছু কিছু অন্ঞ্চলে টুকটাক হানাদারদের সাথে মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এমতঅবস্হায় তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান চট্রগ্রামের ক্যন্টনমেন্টে দ্বায়িত্বে ছিলেন। মেজর জিয়া সহ কর্ণেল অলী আহমদ সহ বেশ কিছু আর্মি অফিসার বিদ্রোহ করে চট্রগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র দখলে নিয়ে মহান স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন। মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণার পর পরই মুক্তিযোদ্ধারা তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এরপর দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রমে হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে একটির পর একটি স্হান মুক্ত করেন।

মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তাছাড়া তিনি ছিলেন একজন অকুতোভয় র্নিভিক যোদ্ধা। স্বাধীনতা চলাকালীন সময়ে তিনি জেড ফোর্স গঠন করেছিলেন। বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি জেড ফোর্সের প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। এভাবেই দির্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ সংগ্রামের পর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জেনারেল নিয়াজী আত্নসমর্থন করে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হিসেবে সিকৃতি দেয়। এভাবেই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেয়।

আজকের এইদিনে শ্রদ্ধাভরে সমরণ করছি জাতীর র্দুদিনে যেসকল মুক্তিসেনারা দেশকে হানাদারমুক্ত করতে জীবন দিয়েছেন তাঁদের এবং যে সকল মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে আছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মেজর জিয়াউর রহমানকে স্যালুট জানাচ্ছি…..আসলে তোমাদের মত এমন মহান নেতা না পেলে হয়তো বাংলাদেশ আজো স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব পেতে কিনা তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। ছবি সংগ্রহ-গুগল থেকে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।