আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুক লাইকপাপের প্রকারভেদ

প্রিয় বিষয় মিউজিক ও সাইকোলজি । সব কিছু নিজে নিজে বিশ্লেষণ করতে ভালো লাগে

আসেন দেখে নেই ফেসবুক লাইকপাপের প্রকারভেদ 1. রম্যরচক : এরা প্রকৃতপক্ষে গুনী। অনেকেরই আগে থেকে লেখালেখির অভ্যাস আছে। সকালে গায়ে কাউয়া হাগলেও এরা স্ট্যাটাস দেন, আবার বিকালে কোনো সুন্দরী নারীর সাথে চোখাচোখির ঘটনাকে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা বলে চালিয়ে দিয়ে ফেসবুকে রসালো পোস্ট দিয়ে দেন। সাথে একটা লম্বা ভূমিকা এবং শেষে একটা আবেগীয় উপসংহার জুড়ে দেন প্যারা করে।

হাও দে এন্ড আপ : টেকনিকালি, দে গো অন ফরেভার। তবে বিয়ে করার পর বউবাচ্চা সামলাইতে সামলাইতে খুঁটিনাটি বর্ণনাসহ লেখালেখি করা তাদের অনেকেরই করা হয়ে উঠেনা। তবে জাতীয় পর্যায়ের কোনো কলামিস্ট হইলে তারা সেই লোকলজ্জাটুকুরও মাথা খেয়ে বসেন। তাদের পারিবারিক জীবনও তখনও রম্য-মেশানো পাবলিক বস্তু হয়ে যায়। গুণঃ এদের লেখা পড়তে খারাপ লাগেনা।

বেশিরভাগ লেখা লেইম হলেও দুই একটা সচেতনতামূলক লেখা তারা এমন সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেন যেটা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব ছিলোনা। কাঠখোট্টা এই সমাজে তাদের আসলেই অনেক দরকার, লেখাগুলো লেম হলেও। 2. বিয়াপাগলাঃ ব্যাসবাক্য - বিয়ার জন্য পাগলা । তারা এমনিতে ভালো মানুষ। কেন প্রেম পিরীতী না কইরা তাড়াতাড়ি বিয়া করা উচিত, বেগানা নারীর দিকে তাকাইলে শরীরে কোন ক্ষতিকারক হরমোনের লেভেল বাইড়া যায় ইত্যাদি বৈজ্ঞানিক তথ্যাবলী তাদের থেকে ভালো আর কেও জানেনা।

তাদের ফেসবুক জীবন অ্যাকটিভলি শুরু হয় এই সংক্রান্ত কুরআন হাদীস শেয়ারের মাধ্যমে। সমস্যাটি বাধে পরে, যখন তারা ফেসবুকে কিছু লাইক শেয়ার পেয়ে খুশি হয়ে নিজেকে ইসলামপ্রচারের জন্য ডেডিকেটেড বান্দা বলে ভাবতে শুরু করে দেন। তাদের ভিতর আবার বিয়াপাগলা কমিউনিটি আছে। তারা একে অপরের বিয়াপাগল স্ট্যাটাসসমূহ শেয়ারের উপর থাকেন। তবে কোনো জুনিওর তার আগে প্রেম করে বিয়ে করে ফেললো এটা চিন্তা করতে গিয়ে সে মাথা হাতড়ায়ে মরে।

দোষঃ এদের মধ্যে ধর্মীয়-অহংবোধ বেশি থাকে। কেউ কেউ উগ্রপন্থী। সাধারণ ফরজপালনকারী মুসলিমদের থেকে নিজেকে উচুমাপের মুসলিম বলে মনে করেন। এদের নারী নিয়ে অধিক সেন্সিটিভিটি দেখানোর কারণে অমুসলিমরা সকল মুসলিমের কামনা-বাসনা বেশি এইধরণের ভ্রান্তিতে ভোগা শুরু করেন। এদের এসব লেখায় কেউ সচেতন তো হন না, মাঝখান দিয়ে মুসলিমদের ইমেজ খারাপ হয়।

হাও দে এন্ড আপঃ বিয়া। বিয়ার পর অবশ্য আগে থেকে তৈরী নেটওয়ার্কের কারণে অন্য কিছুতে জড়ায়ে যেতে পারেন কেউ কেউ। 3. বৈদ্যাশীঃ ইনারা বিদেশে বইসা বইসা আঙ্গুল চুষেন এক হাতের, আরেক হাত দিয়া টাইপিং করেন। এরা সবসময় একটা ঘোরের ভিতর থাকেন। ব্লগে লিখে লিখে তারা দেশ উলটিয়ে ফেলেন।

এদের ভিতর অল্প কিছুর ভালো কিছু করার, নেতৃত্ব দেবার ক্যাপাবিলিটি আছে। অনেকে হয়তো অনেক বছর পর দেশে ফিরেন সরকারের উঁচুপর্যায়ের রাজনীতিতে যোগ দিতে। দেশের সার্বিক আবহাওয়া ভালো না বলে তারা তখনো বউবাচ্চা বাইরেই রাখেন। এদের অনেকেই তাদের প্রকৃত রেলিজিয়াস ভিউ শেয়ার করেন না পপুলারিটি হারানোর ভয়ের চোটে। এদের আরেক গ্রুপ আছে যারা বাল বুঝে, বাট লাফাইতে ওস্তাদ।

হাও দে এন্ড আপঃ সিমিলার ওয়ে দ্যাট নর্মাল পলিটিশিয়ান্স ডু

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.