আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাগেরহাটে জামায়াতবিরোধী সশস্ত্র মিছিল

নাশকতা প্রতিরোধ জনগণই করবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশা প্রকাশের পরদিন বৃহস্পতিবার বাগেরহাট শহরে সশস্ত্র এই মিছিল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ ও মুক্তিযোদ্ধার সংসদ সন্তান কমান্ড।
মিছিলের অগ্রভাগে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মীর শওকাত আলী বাদশা ছিলেন। তবে অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলে দাবি করেছেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান বাদশা বলেন, তাদের মিছিলে যে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, তার সবগুলোই বৈধ এবং এগুলো বৈধ মালিকদের হাতেই ছিল।
অস্ত্র প্রদর্শনের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের নাক গলানোর দুঃসাহস ও এদেশে তাদের দোসরদের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এটা ছিল একটি প্রতীকী প্রদর্শন।


“আমরা তাদের বোঝাতে চেয়েছি যে, মুক্তিযোদ্ধারা এখনো অস্ত্র হাতে তাদের মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। ”
তবে পুলিশ সুপার নিজামুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “আগ্নেয়াস্ত্র বৈধ হলেও কোনো অবস্থাতেই তা প্রকাশ্যে প্রদর্শন করা যায় না। ”
কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর নাশকতার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়। এতে নিহত হন কয়েকজন। এরমধ্যেই দণ্ডিত জামায়াত নেতার পক্ষে পাকিস্তান পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাস হয়।


ওই প্রস্তাব নিয়ে দেশজুড়ে যখন প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, তখন বৃহস্পতিবার সকালে বাগেরহাট জেলা শহরে চারটি একনলা ও দোনলা বন্দুক হাতে জামায়াতবিরোধী এই মিছিল বের হয়।  
মিছিল থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত সবার ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়।
মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শহীদ মিনারে সমাবেশ করে। এতে বক্তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপের নিন্দা জানান।
মিছিল-সমাবেশের প্রধান অতিথি শওকাত আলী বাদশা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের জেলা কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা শেখ শওকত হোসেন, সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান বাদশা, সদর থানা কমিটির সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা শেখ হেমায়েত হোসেন, বাগেরহাট মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মাসুম হাওলাদার।


প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সংসদ সদস্য বাদশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিক্ষোভ মিছিল আহ্বানকারীরা কেন অস্ত্র বহন করেছেন, তা তারাই জানেন। আমি বলতে পারব না। আমি ঘটনাচক্রে সেখানে অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম মাত্র। ”
পুলিশ সুপার নিজামুল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা শহরে মিছিল করেছে বলে তিনি জানলেও আগ্নেয়াস্ত্র বহনের বিষয়ে তিনি কিছু শোনেননি।
বিষয়টি জানানোর পর তিনি বলেন, “আমি তদন্ত করে দেখব।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।