আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাগেরহাটে তিন চরমপন্থীর মৃত্যুদণ্ড

বাগেরহাটে একটি হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল জনযুদ্ধ) তিন সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন একজন। আজ বুধবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম সোলায়মান এই আদেশ দেন।


ফাঁসির দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, বাগেরহাটের মংলা উপজেলার কুমারখালী গ্রামের শহীদ শেখ, একই গ্রামের ইয়াসিন এবং রামপাল উপজেলার কুমলাই গ্রামের ইয়াছিন হাওলাদার। তিনজনই পলাতক।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পান মংলার কুমারখালী গ্রামের মাসুম গাজী। আদালত তাঁকে একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। খালাস পেয়েছেন বাগেরহাট সদর উপজেলার গোবরদিয়া গ্রামের মাসুদুর রহমান।

আদালতের বরাত দিয়ে বাগেরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী জানান, ২০০৫ সালের ৭ জুন দুপুরে মংলা উপজেলার সফিজ উদ্দিন সরদারের ছেলে মিজান সরদারকে একই গ্রামের মাসুম গাজী বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরদিন পাশের রামপাল উপজেলার মীরাখালী ওয়াপদা বেড়িবাঁধের ওপর পড়ে থাকা মিজানের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড় ভাই সাইদ সরদার বাদী হয়ে মাসুম, ইয়াসিন ও শহীদের নাম উল্লেখ করে রামপাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মো. আফসার উদ্দিন মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৯ নভেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে বিচারক ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আজ বুধবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে রায় ঘোষণা করা হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল, নিহত মিজান সরদারসহ আসামিরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি জনযুদ্ধের সক্রিয় সদস্য।

তাঁরা চাঁদাবাজি করতে নিহত মিজানকে একটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েছিলেন। কিন্তু মিজান ওই অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদা আদায় করে একাই তা ভোগ করেন। ব্যাপারটা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে মিজানের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রটি ফেরত চান আসামিরা। কিন্তু মিজান তা ফেরত না দিলে তাঁকে হত্যা করা হয়।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।