আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনি গুগল এডসেন্স পাবলিশার ? আয় বাড়াতে পারছেন না? জেনে নিন গুগল এডসেন্স এর আয় বাড়ানোর কিছু কিলার টিপস!!



গুগল এডসেন্স ! নিজস্ব ব্লগ আছে এমন ব্লগারদের নিকট এক অতি মূল্যবাণ নাম। অনেকবার চেস্টা করার পরও গুগল এডসেন্স একাউন্ট লাভ করতে পারেননি এমন ব্লগার ও কিন্তু কম নয়। বিশেষ করে আমরা বাঙালীরা ইংরেজীতে বরাবরই কাঁচা তাই আমাদের এডসেন্স পেতে ও ধরে রাখতে অনেক বেগ পোহাতে হয়। তবে এডসেন্স পেয়েছেন এবং তার দ্বারা আয় করছেন এমন ব্যাক্তির সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা গুগল এডসেন্স পাওয়ার পরও আশানুরূপ আয় করতে পারছেন না।

অনেকের ব্লগে যথেষ্ট ভিজিটর থাকার পরও আয় হচ্ছে না । কিভাবে এই আয় বাড়ানো সম্ভব সেটি নিয়েই আজকে আমার এই নিবন্ধ। যাদের ব্লগে ভিজিটর আসার পরও আয় হচ্ছে না কাদের ব্লগে ভিজিটর আছে বলে বিবেচনা করছি? জ্বি হ্যাঁ আপনার ব্লগের পেজ ভিউ প্রতিদিন ৫০০+ হলেই আমি ধরে নিচ্ছি আপনার ব্লগে যথেষ্ট ভিজিটর রয়েছে। এবং ধরে নিচিছ আপনার ৫০০+ পেজ ভিউতে বর্তমানে প্রতিদিন ক্লিক পড়ছে ১০ থেকে ১২ টি এবং আয় হচ্ছে ১ থেকে ১.৫ ডলার. এ আয় বাড়ানোর কোন উপায় আছে কি? এ ব্যপারেই এখন কথা হচ্ছে। প্রথমত, লক্ষ্য করুন আপনার ওয়েবসাইটের কীওয়ার্ড গুলো কি কি? গুগল এডসেন্স কিন্তু আপনার কীওয়ার্ড বা বিষয়বস্তুর উপরই বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে।

আপনি গুগল এডওয়ার্ডস এর সাহায্যে কোন কীওয়ার্ডে কেমন রেভিনিউ প্রদান করা হয় তা জানতে পারেন। অতএব আপনি এমন সব বিষয় নিয়ে সাইট তৈরি করুন যাতে ১০ / ১২ টি ক্লিক পড়লেও আপনার একাউন্টে অন্তত ৮/১০ ডলার জমা হয়। দ্বিতীয়ত, আপনাকে এ্যড বসানোর ব্যাপারে একটু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। যেন তেন ভাবে এ্যড বসানোর কারণেও আপনার ভিজিটর রা আপনার এ্যডে ক্লিক করেনা। এ্যড বসানোর কিছু জায়গা নির্বাচন করুন যেখানে সহজে বিজ্ঞপন গুলো চোখে পড়ে ।

যেমন পোস্টএর শুরুতে এবং পোস্টের শেষে অবশ্যই এ্যাড রাখবেন। এছাড়া সাইডবারে কিংবা হেডার অংশে এ্যাড বসাতে পারেন। অত্যাধিক এ্যড আপনার আয় বাড়াবে না বরং সঠিক জায়গায় এ্যড দিতে পারলেই আপনার আয় বাড়বে। তৃতীয়ত, আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট লোকল স্ট্যান্ডার্ড না করে গ্লোবাল কোয়ালিটির করুন। এতে করে শুধু লোকাল ভিজিটরই নয় আপনি গ্লোবাল ভিজিটর পাবেন এবং স্বভাবতই লোকাল ক্লিকের চেয়ে গ্লোবাল ক্লিকের মূল্য বেশি হবে।

চতুর্থত, গুগল কখনো পক্ষপাতিত্ব করে না। অতএব একাগ্ন মনে এসইওর কাজ করে যান। একটি হাই কনটেস্ট কীওয়ার্ডে যদি কোন ভাবে আপনি গুগল এর প্রথম পেজে আসতে পারেন তবে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। তবে মনে রাখবেন আপনার সফলতা একমাসেও আসতে পারে আবার এক বছরও লাগতে পারে। ভিজিটরদের যে আপনার ওয়েবসাইটের এড্রেস মুখস্ত করাতে হবে এমন কোন কথা নেই এমন লাখ লাখ ভিজিটরও এসইওর প্রভাবে আপনার ব্লগে প্রবেশ করবে যারা আপনার ওয়েবসাইটের এড্রেস জীবনে একবারও সরাসরি ব্রাউজারের এড্রেসবারে লিখবে না।

তবে এডসেন্স থেকে আয় বাড়াতে ভিজিটরের বিকল্প নেই। আপনি ছল চাতুরীরর আশ্রয় নিয়ে নানা ভাবে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন কিন্তু তা আপনাকে সফলতা দেয়ার গ্যারান্টি দেয় না । ওইসব ভিজিটর যেমনে আসে তেমনে যায় টাইপের!! এসইও আপনাকে সফলতার গ্যারান্টি দেয় । ভিজিটরদের ঘাড় ধরে আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসবে এই এসইও। সুতরাং এসইওর প্রতি যথেস্ট গুরুত্ব দিন।

সবাইকে সালাম জানিয়ে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। ভুল ত্রুটি থাকলে জানাবেন কৃতজ্ঞতার সাথে শুধরে নেব । ধন্যবাদ সবাইকে ! সৌজন্যে| marksitbd

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.