অন্ধকার; মৃত নাসপাতির মতন নীরব
০১...
অর্হণা, বৃষ্টির প্রতি
শব্দকে বলি মেঘের ফুলকি আর কবিতাকে বৃষ্টিফোঁটা,
কাঁচপোকার আহবানে কাপালিক মেঘ নির্বাণ লাভ করে,
পাহাড়চূড়ায় নিতল পাতালপুরীসম নির্জনতায় অধিষ্ঠিত হয়
পৃথিবীর বুক চিরে নেমে গিরিনিঃস্রাব, আঁকাবাঁকা পথে
আঁকে জন্মক্ষণের শৈলজলিপি । জলদ লয়ে বাজে,
সৃষ্টি হয় এক কূলবতীর কাব্য ।
নদী কি জানে, উচ্ছাসী ঢেউদের সফেনে বদলে যাওয়া;
তটের বোধিবৃক্ষ তলে ছায়াদের ডানা মেলা;
নদী কি জানে, কূলবতীর দুঃখগাথা ।
নির্মল নদী, তোমার স্ফটিকতায় বহে যে যাযাবর জল,
শুনেছ কি তার গভিরে বৃষ্টি ফোঁটার জলজ রুপকথা,
দেবদূতের শ্রুতিগম্য ফিসফিস, সতর্ক কথন?
মাঝে মাঝে বর্ণান্ধ বৃষ্টিফোঁটার উদ্দীপনা, ভাষা আর
বাঙময়তার কাছে নেহায়েত তুচ্ছ, বিবর্ণ হয়ে পড়ি ।
আবার যখন কান পেতে শুনি সেইসব ফিসফিস,
ধাঁধাবিহ্ববল রুপালী রংয়ের ছড়িয়ে পড়া...অব্যক্ততার মাঝেও
তাদের ইন্দ্রজাল, ক্রীড়াচ্ছল ক্রমশ মোহিনী হয়ে উঠে
২১১২১৩...
০২...
আমার ফিটফাট জামার আস্তিনে লেপ্টে আছে লিপ্সা
শার্টের প্রতিটি জোড়মুখে প্রলোভনের সুতোর সেলাই
বিপ্লবী কলারের ভিতর বসত করে মিথ্যের সন্ন্যাস
অহমের আঁকড়ে বাঁধা আমার প্রগলভ টাইয়ের নট
ইর্ষার সুচের ফোঁড়ে গাঁথা প্রতিটি বোতামের আস্ফালন
দুরস্ত ট্রাউজারের সংবেদ জুড়ে আছে ক্রোধ, ফিতেবাঁধা
জুতোর সুখতলা অবদী ছড়িয়েছে রিরংসার মৌতাত
শুধু, তোমার কাছেই আমি নিরাভরণ থাকি
২২১২১৩...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।