আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হলফনামা : ইসির শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থা !!! এটি প্রকাশ হওয়ায় আওয়ামী নেতাদের সম্পর্কে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে!!!!!!

সেই চিরবিদ্রো.... যে লড়াই , কখনো শেষ হয়না....

হলফনামা প্রকাশের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি পাঠিয়ে যে আপত্তি জানিয়েছে তার আইনি ভিত্তি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকীবউদ্দীন আহমদ সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি বলেন, ‘হলফনামা প্রকাশের বিষয়ে আইন কি বলে সেটা আমরা দেখব। ’
হলফনামা প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে আওয়ামীলীগ আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধিদল সহ গিয়ে ইসিকে অনুরোধ জানিয়েছে!!!!!!

রোববার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে এসে হলফ নামা প্রকাশ না করতে ইসির কাছে অনুরোধ জানান। সিইসিকে তারা জানান, হলফনামা প্রকাশ হওয়ায় নেতাদের সম্পর্কে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে।



দলটি প্রতিনিধিরা বিষয়টি স্বীকার করলেও রোববার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কিন্তু সোমবার ঠিকই এ বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নির্বাচন কমিশনার বাংলানিউজকে বলেন, দলটির এ ধরনের আবদার রক্ষার কোনো সুযোগ ইসির নেই। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণেই সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হলফনামা প্রকাশ ইসির দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

সিইসির বক্তব্যের আগে এক নির্বাচন কমিশনার জানান, হলফনামায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সম্পদসহ বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের পর গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়।

গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগের ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কমিশনে আসে।

তিনি জানান, আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলে, ‘কেন আপনারা এই তথ্য প্রকাশ করলেন। প্রকাশের পর আমরা বিপদে পড়েছি। ’

এরপর থেকে কমিশন হলফনামা প্রকাশের আইন-কানুন খতিয়ে দেখা শুরু করে। আইন সম্পর্কে মঙ্গলবারের আগে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাবে না বলে জানান তিনি।



কমনওয়েলথ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশি পর্যবেক্ষক না এলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের দাওয়াত দিয়েছি। তারা তাদের নীতিমালা অনুসরণ করে কাজ করে। ’

উল্লেখ্য, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১২ (৩ বি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামার মাধ্যমে আটটি তথ্য ও কোনো কোনো তথ্যের স্বপক্ষে কাগজপত্র দাখিল করতে হয়। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যাবলী ভোটারদের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হয়।

এতে আরো বলা আছে, প্রার্থীদের কাছ থেকে হলফনামার মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যাদি ভোটারদের মধ্যে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে।

যাতে ভোটাররা এসব তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। নির্ধারিত হলফনামার মাধ্যমে প্রার্থীগণের দাখিলকৃত বিভিন্ন তথ্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ওয়েব সাইটেও প্রচার করতে হবে।

কমিশন সূত্র জানায়, এরই মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে হলফনামা প্রচারের জন্য পরিপত্র জারি করেছে ইসি।

এদিকে হলফনামা প্রকাশের বিষয়ে আদালত একটি নির্দেশনা দেয় ২০০৬ সালে। তাই আইন পরিবর্তন করতে হলে এ বিষয়ে আদালতের একটি নির্দেশনা প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করে ইসি সূত্র।


তথ্য সূত্র: Click This Link


আর কি কিছু বাকী রাখবেনা আওয়ামীলিগ! লজ্জার মিনিমাম সীমাটাতো রাখা উচিত। তাদের মহান নেতাদের তথ্য জেনে জনগন বিগড়ে যায়!!!! আবার ১৫৪ জন নাকি বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্ভাচিত হয়!!!!!!!!!!!!!!

প্রহসন আর কত?????

আর কত নিলর্জ্জ হলে লজ্জা হবে তাদের???????



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.