আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাকিস্তানের পদক্ষেপে ‘মর্মাহত’ খালেদা

জামায়াত নেতাকে নিয়ে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নিন্দা প্রস্তাবে ‘মর্মাহত’ হয়েছেন বলেও জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিক্রিয়া দেন খালেদা জিয়া। এই বিষয়ে খালেদা নিরবতার প্রতিবাদে এদিন ঢাকায় সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল।
খালেদা বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের সরকারই ত্রিদেশীয় চুক্তি সই করেছিল। সেই চুক্তিতে পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করার এবং অতীত তিক্ততা ভুলে সামনে অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার তারাই করেছিল।


সাম্প্রতিক বিষয়ে তিনি বলেন,  “এরপর কোনো ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হলে তা কূটনৈতিকভাবেই নিরসন করা উচিত।
“কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে সরকার এই প্রসঙ্গকে পুঁজি করে দেশের ভেতরে নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। সরকারকে বলব, এই রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করুন। ”
সম্প্রতি এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতার সমালোচনা করে বলেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের সব মানুষ প্রতিবাদ করল, কিন্তু উনি (খালেদা জিয়া) করলেন না। ”
খালেদা জিয়া বলেন, “যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিষয়ে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে, তা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদেরকে মর্মাহত করেছে।

পাকিস্তানের ভেতরই দায়িত্বশীল মহল থেকে এর প্রতিবাদ করা হচ্ছে। বিএনপির তরফ থেকে এ বিষয়ে আগেই আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ”
যুদ্ধাপরাধীর বিচারে দলের অবস্থান তুলে ধরে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ‘‘স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সংঘঠিত হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের বিচার আমরাও চাই।
“বিএনপি বারবার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের সঙ্গে না জড়িয়ে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইনগত মানদণ্ড বজায় রেখে পরিচালনার পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করেছে। ”
তবে নিয়ে সরকারের ‘অতি রাজনীতি’র কারণেই বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও মান নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক সংশয় ও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।


“বাংলাদেশের অনেক বন্ধু রাষ্ট্র, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, এমনকি জাতিসংঘ যে আপত্তি তুলছে, তাতে আমাদের অনেক বেশি সতর্ক ও সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ”
তিনি বলেন, “সরকার জানতো, তাদের নীল নকশার কারসাজির বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে উঠবেই। তাই তারা (সরকার) খুবই সুকৌশলে পরিকল্পিত পন্থায় প্রহসনের নির্বাচনের প্রক্রিয়া এবং মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারের রায় বাস্তবায়নকে একই সময়সীমায় এনে দাঁড় করিয়েছে। ”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.