আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সহকারী শিক্ষকদের দৃঢ় ঐক্য প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি

অন্যায়, দূর্নীতি এবং অসত্যের বিরুদ্ধে কথা বলে যাব, ফলাফল শূন্যই হোক।

সোনার বাংলা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশী। পিতা-মাতা শিশুর জন্মদান করে থাকেন এবং একটি শিশুকে মানুষের মত মানুষ করে তুলেন শিক্ষক। বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজ সবচেয়ে অবহেলিত। শিক্ষকগণ নিজেদের ন্যায্য দাবি আদায়ে হয়েছেন প্রতারণার স্বীকার।

আপনারা সকলেই জানেন বিগত কয়েক বছরে শিক্ষকগণকে বিভিন্ন আশার বাণী শুনানো হয়েছে। সর্বশেষ জানা গেল সহকারী শিক্ষকের স্কেল প্রশিক্ষণ বিহীন ৪৯০০/-, প্রশিক্ষপ্রাপ্ত- ৫২০০/-, প্রধান শিক্ষকের স্কেল প্রশিক্ষণ বিহীন ৫৯০০/- (২য় শ্রেণি), প্রশিক্ষপ্রাপ্ত- ৬৪০০/-(২য় শ্রেণি)। যা হাস্যকর এবং অযৌক্তিকও বটে।

উক্ত ঘোষণা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেলের ব্যবধান ১২০০/-। অথচ ১৯৮৫ হতে ২০০৫ ইং পর্যন্ত প্রশিক্ষণ বিহীন প্রধান শিক্ষক ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল ছিল এক এবং প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেলের ব্যবধান ছিল ৭৫/- থেকে ১৫০/-।

২০০৬ ইং এ স্কেলের ব্যবধান বেড়ে হয় ৪০০/- এবং ২০০৯ এ ব্যবধান দাঁড়ায় ৬০০/-। এতে সহকারী শিক্ষকগণের পিছিয়ে পড়ার চিত্রই ফুটে উঠে। এছাড়া পিএসসি কর্তৃক প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদানের বিষয়টিও সহকারী শিক্ষকদে পদোন্নতিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে।

প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া আদায়ে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষকগণ প্রতিনিয়ত যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তা অবশ্যই প্রসংশনীয়। কিন্তু তাঁদের শ্রম শিক্ষকদের আশা ও স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেনি বরং শিক্ষকরা হয়েছে প্রতারিত।

এক কথায় বলা যায় তাঁরা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। আপনারা সকলেই জানেন আমাদের প্রথম দাবি ছিল প্রধান শিক্ষকদের ২য় শ্রেণি ৮০০০/- স্কেল এবং সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের ১ ধাপ নিচে অর্থাৎ ৬৪০০/- স্কেল প্রদান। কিন্তু হলোটা কি ? যা হয়েছে তা ঘোড়ার ডিম।

এমতাবস্থায় শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সহকারী শিক্ষকদের দৃঢ় ঐক্য প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য সারা দেশে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগ পর্যায়ে কমিটি গঠিত হয়েছে এবং হচ্ছে।

আমরা সবাই মিলে আজ সিদ্ধান্ত নিতে চাই ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব। * বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, * ১০০ ভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি দিতে হবে। * ক্লাস রুটিনে দু'টি ক্লাসের পর ১টি ক্লাসে সমপরিমান সময় বিরতি থাকতে হবে। * ছুটির তালিকায় বর্ণিত ছুটির দিনগুলোতে শিক্ষকদের ছুটি নিশ্চিত করতে হবে। * প্রাথমিক শিক্ষার সকল ক্ষেত্রকে দূনীতিমুক্ত করতে হবে।



আমরা অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আগামীর প্রতিটি মুহুর্তকে সাফল্য অজনের জন্য ব্যবহার করি। দৃঢ় ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হই, ইনশাআল্লাহ সফল আমরা হবোই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.