আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেসব বাধায় পড়তে পারে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’

অন্যের থেকে ও অন্যরকম এমন কিছু করার শখ।

ঢাকা: ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ বা ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা কর্মসূচি কতটা সফল হবে তা নিয়ে হিসাব কষতে শুরু করেছেন অনেকে। এ হিসেব নিকেশের প্রথমেই যে সন্দেহ উঁকি দিচ্ছে তা হল- ১৮ দলীয় জোটের ডাকা এই কর্মসূচী শেষ পর্যন্ত ঢাকার পথ দেখবে তো! চলমান আন্দোলনকে পরবর্তী ধাপে উন্নীত করতে ঘোষিত এই কর্মসূচীর বাস্তবায়ন ব্যাতিত ১৮ দলের আর কোন পথ নেই। অন্যদিকে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে আওয়ামী লীগ সরকার পরবে খাদের মুখে। তাই সহজে বোঝা যায় বিএনপি খুব করে চাইবে কর্মসূচীর বাস্তবায়ন অন্যদিকে আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচীকে প্রতিহত করতে নানান কৌশলের আশ্রয় নিতে পারে।

কী সে কৌশল? আজ সকালে এই কর্মসূচীর অনুমতি চাইতে বিএনপির ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিরোধী দলের চিফ হুইফ জয়নাল আবেদীন ফারুক, এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান ও উপ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম। ইতিমধ্যে তারা অভিযোগ করেছেন যে, বিএনপির এই প্রতিনিধি দলকে ডিএমপি কার্যালয়ের বাইরে অনেকক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিলো। তবে কি বাধা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে? এমন প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে জোটের নেতা কর্মীদের মধ্যে। ইতিমধ্যে গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে বেগম জিয়ার বাসার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ অতিরিক্ত পুলিশও বিএনপি নেতাদের মাঝে সংশয় তৈরি করেছে। গণজমায়েতে আসা হাজার হাজার মানুষের জন্য হোটেল, রেঁস্তোরা, বাস, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চ যেন সরকার বন্ধ করে না দেয়। সে অনুরোধ জানানো হয়েছে ১৮ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে। কেননা তারা শঙ্কা করছেন সেদিন ঢাকার হোটেল রেস্তোরাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। যেন নেতাকর্মীরা মহানগরে থাকতে সমস্যায় পরেন।

১৮ দলীয় জোট আরো আশঙ্কা করছেন যে আওয়ামী লীগ সেদিন হরতালও ডাকতে পারে। হরতাল ডাকার জন্য একটি ইস্যু হয়তো এই তিন দিনের মধ্যেই তৈরি করা হবে। কেননা সরকার দলীয় হরতাল ডাকার ইতিহাস ইতিপূর্বে আছে। এমনকি সরকার যদি তখন ট্রেন, পানি এবং সড়ক পথ অবরোধ করে বসে তাতেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না! আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা যারা পরিবহন ব্যাবসার সাথে জড়িত দলের পক্ষ থেকে হয়তো সেদিন তাদের গাড়ি বন্ধ রাখার চাপ দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বিএনপি আরো আশঙ্কা করছেন সেদিন হয়তো নিরাপত্তার অভিযোগ তুলে বিভন্ন সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

এতে কর্মীরা ঢাকায় ঢুকতে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পরবেন। ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র দিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। তাই বিএনপির আগে থেকে ভেবে রাখা পরিকল্পনা হঠাৎ করেই বদলে যেতে পারে। এতে হয়তো কর্মসূচী বাস্তবায়ন আরো কঠিন হয়ে পরবে। সূত্র: BreakingNews.com.bd


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.