আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

((তাবৎ বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষককে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত বলছি))

অব্যক্ত বক্তব্যের ধারাবাহিক চলন,,

---শুরুতেই স্বীকার করে নিচ্ছি সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত ১০০% সঠিক ভবিষ্যত কেউ বলতে পারেনা। আমরা যা পারি তা হলো সর্বোচ্চ পরিমান prediction বা অনুমান করতে। রাতভর টকশো’র নামে দলীয় দালালদের পক্ষপাতিত্বমূলক চাপাবাজীর বিপরীতে আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে একটি ছোট বিশ্লেষন যা আমার ক্ষুদ্র গন্ডিতে প্রকাশ করছি। ”ভিশন ২০২১” যা বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের একটি প্রচারনা থাকলেও এর পিছনে যে ক্ষমতাকে যেকোন উপায়ে দীর্ঘস্থায়ী করার একটি লক্ষ্য ছিল তা বর্তমান বাস্তবতায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। ।

আর এর পিছনে কট্টরভাবে আন্তরিক ছিল ও আছে ভারত। । আমি নিশ্চিতভাবে বলতে চাচ্ছি আওয়ামীলীগ এই লক্ষ্যে আরও কয়েকবছর সফল যাত্রা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে। । খালেদা জিয়ার ”মার্চ ফর ডেমোক্রেসি” বর্তমান সময়ে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারলেও তার কোন সুফল পেতে যেকোন উপায়ে বাধা ও ষড়যন্ত্র করবে আওয়ামীলীগ ও ভারত।

। এ প্রসঙ্গে বলা উচিত যে, বর্তমান সময়ে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনকে যে উপায়ে দমানো হচ্ছে তা অত্যন্ত কৌশলী, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। । একদিকে সহিংসতাকে উস্কে দিবে অন্যদিকে বলা হবে এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। ।

কোন মানুষ যদি জনসম্মুখে খালি গায়ে হেটে যাবার সময় কারো একথা শোনে যে তোর কি লজ্জা নাই?? এবং তার পরে সে পুরো উলঙ্গ হয়ে হাটে তাকে লজ্জা দেবার আর কোন ভাষা থাকেনা!! বর্তমান সরকারেরও একই অবস্থা!! মন্ত্রীদের পদত্যাগ,এরশাদকে আটক করে হাসপাতালে ভর্তি, ১৫৪ আসনে প্রতিদ্বন্ধিতাহীন নির্বাচন ইত্যাদি অসংখ্য নাটক ও হাস্যকর কর্মকান্ডের পরেও তারা যেকোন উপায়ে নির্লজ্জভাবে নিজের অবস্থান বজায় করে আছে। । সুতরাং চলমান এ আন্দোলনে যত প্রানহানীই হোক না কেন বিএনপি-জামায়াতের সফলতা পাওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। । এর পেছনে মিডিয়া ও সুশীল নামক শ্রেনীটিও সমর্থন যোগাবে।

। কারন-- আওয়ামীপন্হী গোলাম দস্তগীরের গাজী টিভি, নুরের দেশ টিভি, কামালের মোহনা, বুলবুলের বৈশাখী, সালমান এফের ইনডিপেনডেন্ট, কামরুলের সময়, একেআজাদের চ্যানেল ২৪, একাত্তর, চ্যানেলআই, এটিএন সহ প্রায় ৯৯% টিভি চ্যানেল শুধুমাত্র মার্কেট ধরে রাখার জন্য কিছুটা নিরপেক্ষতার লেবাস দেয়ার চেষ্টা করলেও মূল লক্ষ্য হলো আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় রাখার লক্ষ্যে প্রচারনা। । একইভাবে প্রিন্ট মিডিয়াও ৯৯% আওয়ামীপন্থীদের দখলে। ।

সুতরাং বিএনপি-জামায়েতের আন্দোলনকে সহিংসতা হিসাবে প্রচারনা ও তাদের কর্মীদের হত্যা করে সেটিকে আবরোধের সংঘর্ষে মৃত ঘটনা হিসেবে দেখিয়ে প্রচারনা চালাবে সকল মিডিয়া ”সিন্ডিকেট নিউজ” হিসাবে। । একইসঙ্গে সুলতানা কামাল, রোকেয়া প্রাচী, জাফর ইকবাল সহ বিভিন্ন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা নিরপেক্ষতার ভাব ধরে থাকলেও বিভিন্নভাবে তাদের লক্ষ্য থাকবে আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতায় রাখা। । সুতরাং ৫ ই জানুয়ারী যেকোন উপায়ে নির্বাচন হবে।

। ভোটারের উপস্থিতিও ভালো হবে কারন একটু খেয়াল করে দেখবেন আওয়ামীলীগের অন্যতম ঘাটি গোপালগঞ্জে কোন বিনা প্রতিদ্বন্ধি নেই। । একইভাবে এমন সেটআপ করা হয়েছে। ।

আওয়ামী ১০ ম বাদ ১১ তম সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে আলোচনা ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বললেও সেটা আরেকটি ধোকাবাজী। । কারন আজ তারা যে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে ১০ম নির্বাচনের পর সরকার গঠনের পর একইভাবে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আরও ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলবে। । বিএনপি-জামাত কয়েকদিন আন্দোলন করলেও সহিংসতাকে উস্কে দিয়ে সরকার আন্দোলনকে তার মিডিয়া ও সুশীলদের মাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারনা চালাবে।

। একইসঙ্গে চলবে বিরোধী নেতা-কর্মী হত্যা। । এর সাথে যোগ হবে নেতা-কর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ী ও সন্তানদের উপর হামলা। ।

নেতৃস্থানীয়রা বাধ্য হয়ে কম্প্রোমাউজে আসায় নীচের কর্মীরা তাদের গালমন্দ করে সকল আন্দোলন থেকে দূরে সড়িয়ে নেবে। । যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাতিসংঘ উপরে উপরে কিছু প্রতিবাদ জানালেও কার্যত কোন ভূমিকা রাখবেনা। কারন বাংলাদেশের মতো ক্ষুদ্র একটি দেশের স্বার্থে জড়িয়ে ভারতের মতো একটি বানিজ্যিক, উঠতি পেশীশক্তির বিরুদ্ধে যেতে চাইবেনা। ।

এছাড়া আর যাই হোক যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাতিসংঘ কখনোই ইসলামী সেন্টিমেন্টাল দল বিএনপি-জামাত-এর জন্য আদর্শিকভাবে বন্ধু হবেনা। এমন অবস্থায় সারাদেশে শুরু হবে আওয়ামীলীগের একদলীয় শাসন। । আওয়ামীলীগকে কট্টরভাবে ঘৃনা করে এমন ব্যক্তিও কোনমতে বেচে থাকার জন্য এবং ভয়ে হলেও আওয়ামীলীগের সাথে সখ্যতা রেখে তার এলাকায় থাকবে। ।

সমাজে মনে-প্রানে আওয়ামীলীগ না করলেও ক্ষমতা ও অর্থের মোহে সরাসরি রাজনীতিতে জড়িত ৭০%-৮০% আওয়ামীলীগকে সমর্থন করতে থাকবে। । এভাবে চলতে চলতে ক্ষমতা ও অর্থের চাহিদায় আওয়ামীলীগে চরম দ্বন্ধ দেখা দিবে। । শুরু হবে নেতৃস্থানীয়, কেন্দ্রীয় ও কর্মী পর্যায়ের দ্বন্ধ।

। যা পরবর্তিতে এমন তীব্র হবে যে প্রতিদিন সংঘর্ষ ও হানাহানিতে রুপ নিবে। ফলে আওয়ামীলীগের নব্য গ্রুপ দ্বারা পুরাতন গ্রুপ দূর্বল হবে ও প্রতিদিন নির্যাতিত হতে থাকবে। । একই সময়ে সুশীল নামধারী ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান (যেমন- টিআইবি, সুজন) সমালোচনা করবে সরকারের।

এছাড়া আওয়ামী দলীয় কিছু মিডিয়াও পুরাতন ও দূর্বল আওয়ামী গ্রুপদের পক্ষ নিয়ে সরকারের তীব্র সমালোচনা করবে। । তখন শক্তিশালী নব্য আওয়ামী গ্রুপটি বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করার মতো করে হামলে পড়বে আওয়ামী দূর্বল গ্রুপ, মিডিয়া ও সুশীল গোষ্ঠীর উপর। । এ অবস্থায় দূর্বল আওয়ামী গ্রুপটি পূর্বের সকল ভুল ত্রুটি মাফ চেয়ে বিএনপি-জামাতের নিষ্ক্রিয় অংশটিকে সঙ্গে নিয়ে শক্তিশালী নব্য আওয়ামী গ্রুপটির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন করতে জোট করতে চাইবে।

। এ অবস্থায় বাম ও সুশিলদের অনেকে জামায়াতকে সঙ্গে নিতে আপত্তি জানাবে,,অন্যদিকে জামায়াত’ও চিন্তা করবে আন্দোলন সফল হলে পরে তাদের ব্যবহার করে ফেলে দেয়া হবে। । আর এসুযোগটি হাতে নিয়ে জামায়াতকে সঙ্গে নিতে চাইবে শক্তিশালী নব্য আওয়ামী গ্রুপটি। ।

জামায়াতও যোগ দিবে শক্তিশালী নব্য আওয়ামী গ্রুপটির সঙ্গে। । চলতে থাকবে সংঘর্ষ। । একপর্যায়ে আন্তর্জাতিক লবিং দূর্বল আওয়ামী গ্রুপটি ও অন্যান্য গ্রুপটির সমর্থনে যাবে।

ফলে শক্তিশালী নব্য আওয়ামী গ্রুপ ও জামায়াত জোট পরাজিত হবে। । শক্তিশালী নব্য আওয়ামী গ্রুপ থেকে সুযোগ বুঝে কিছু অংশ পুরাতন আওয়ামী গ্রুপটির সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে। । জামায়াত নিয়ে শুরু হবে রাষ্ট্রীয় রাজনীতি।

। তারা আবারও রাজাকার হবে। । দেশ শুরু হবে ১৯৭১ সাল থেকে শুধু ক্যালেন্ডোরে ১৯৭১ সাল না হয়ে ২০২০ বা ২০২১ হবে। ।

ক্যাচাল চলতেই থাকবে। । আমার এ অনুমান বা ভবিষ্যতবানী সেভ থাকবে। । ২০২০ বা ২০২১ সালে তা পুনরায় শেয়ার করবো।

। যদি ঠিক না হয় সেদিন ক্ষমা চাইবো.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.