আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গর্ভবতীর মৃত্যুহার কমালো 'মমতাময়ী' স্বাস্থ্য মস্ত্রণালয়

পশ্চিমবঙ্গে প্রসূতি মৃত্যুর হার কমলো ২০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মস্ত্রণালয়ের সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর গুণগত পরিবর্তনের ফলেই এই সাফল্য মিলেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মস্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

প্রসূতি মৃত্যু হ্রাস সংক্রান্ত রিপোর্টে পাঁচ নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম স্থানে কেরলা।

উত্তর ২৪ পরগণা, হুগলি, হাওড়া, বীরভূম ও বর্ধমান জেলায় প্রসূতি মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তবে, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ ও মালদা এখনও বেশ কিছুটা পিছনে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য মস্ত্রণালয়ের পরিচালক বিশ্বরঞ্জন সতপতি।

রাজ্যে পালাবদলের মাত্র আড়াই বছরের মধ্যেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এমন সাফল্যে যারপরনায় খুশি ক্ষমতাসীন দল। স্বাস্থ্য মস্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে প্রতি এক লক্ষে প্রসূতির মৃত্যুর হার হয়েছে ১১৭। ২০০৭-০৯ সালে প্রসূতি মৃত্যুর হার ছিল ১৪৫।

সমীক্ষা রিপোর্টের কথা জানতে পেরে উচ্ছ্বসিত রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। প্রসূতি মৃত্যুর হার ২০ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার কৃতিত্ব হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন সরকারের একাধিক জনমুখী প্রকল্পের রূপায়নের কথা। এর মধ্যে অন্যতম কন্যাশ্রী প্রকল্প।

রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেছেন,  প্রসূতির স্বাস্থ্যের কথা খেয়াল রেখে আমরা একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রত্যন্ত গ্রামেও মহিলাদের প্রসব হচ্ছে হাসপাতালে।

অপুষ্টি ও নাবালিকার বিয়ে রুখতে একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে  নাবালিকার বিয়ে রোখা বেশ কিছুটা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, ২০১৫ সালের মধ্যে দেশে প্রসূতি মৃত্যুর হার প্রতি এক লক্ষে ১০৯ জনে কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।