আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলুন টাইট দেই

ইতিমধ্যে আপনারা পত্রিকান্তরে গত মন্ত্রীসভার অনেক সদস্যেরই সম্পদের পরিমাণ জেনে গেছেন এবং কারও কারও ব্যাপারে খেপে গেছেন। মনে করে দেখুন তো এরকম আর কখনও হয়েছে কিনা? না, কখনও হয়নি। কেন? কারণ নির্বাচনে দাঁড়াতে হলে হলফনামার মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী প্রকাশের এই বিধানটিই আমাদের দেশের জন্য নতুন। এর আগে মাত্র একবার অর্থাৎ ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেই কেবল হলফনামার মাধ্যমে সম্পদবিবরণী প্রকাশ করতে হয়েছিল। তাহলে সে সময় আমরা এত রাগ করলাম না কেন? কারণ ওই মুহুর্তে এর আগের কোন হলফনামার সাথে তুলনা করার মত পরিস্থিতি ছিল না।

হলফনামার ব্যাপারটিই সেবার ছিল প্রথম। সুশাসনের জন্য নাগরিক সহ বেশ কিছু সংগঠন খাটাখাটনি করে এই শর্তটি নির্বাচনী আইনে যোগ করেছিলেন। এবারের নির্বাচনের আগে যখন হলফনামা প্রকাশিত হল তখন আমাদের সকলের হাতে আগের হলফনামা আছে। বিয়োগ অংক যেহেতু মোটামুটি সবাই পারি আমরা সবাই বসে গেলাম বের করার জন্য কোন মন্ত্রী কতটুকু ধনী হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি হিসেব করা না হলেও কিছু কিছু মন্ত্রীর ক্ষেত্রে আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে এর পরেও সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ রীতিমত চোখে পড়ার মত।

কাজেই আমরা দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি।
নৈতিকভাবে আমাদের যেকোনো সরকারের মন্ত্রীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন ও সক্রিয় হওয়া উচিৎ। কিন্তু কারিগরী দিক দিয়ে গত সরকারের (শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকার) মন্ত্রীদের দুর্নীতির (যদি থাকে) স্বরুপ উদ্ঘাটন সবচেয়ে সহজ। কারণ আমরা ৫ বছরের ব্যবধানে দুই জোড়া হলফনামা ও সম্পদ বিবরণী নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেই পাচ্ছি। কোথাও গিয়ে খুঁজতে হবে না।

তার উপর মিথ্যা হলফনামা দেয়া আইনত: দণ্ডনীয়। কাজেই যেসব মন্ত্রী সত্যিই দুর্নীতি করেছেন তারা যদি স্বীকার করেন তাহলেও বিপদ না করেন তাহলেও বিপদ।
একটি জিনিস বুঝতে হবে একজন মন্ত্রী যদি কোন নির্দিষ্ট সম্পদ অর্জন করার পরেও প্রকাশ না করে থাকেন তাহলে সেটি যদি কোন ভাবে বের করা যায় তাহলে সেটার ভিত্তিতেও তাকে মিথ্যা হলফনামার জন্য অভিযুক্ত করা যাবে। আর যেগুলো হলফনামায় দেয়া হয়েছে সেগুলো সে জেনেশুনে বুঝে দিয়েছে ধরে নিতে হবে। কাজেই এর মধ্যে যদি কোন অবৈধ সম্পদ থেকে থাকে সেটি কাগজে কলমে প্রমাণ করাই হবে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ।


তো আমরা এটি কিভাবে করব? প্রথমে আমাদের একটি ছোট তালিকা করতে হবে। মন্ত্রী মোটামুটি ৩২ জনের মত ছিলেন। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পাগলের মত টানা মামলা করলে আমাদের শ্রম, সময় ও অর্থের সঠিক ব্যবহার হবে না। সবচেয়ে ভাল হয় ৩২ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রত্যেকে এক একজন করে মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। আর সবাই যে দুর্নীতি করেন নি সেটি বুঝার জন্য আমাদের প্রথম আলোর সম্পাদকের মত নিরোপেক্ষ হতে হয় না, কমন সেন্স দিয়েই বুঝা যায়।

আমাদের সেই সব মন্ত্রী বাছাই করতে হবে যাদের বিরুদ্ধে আমাদের সন্দেহ তুলনামূলকভাবে দৃঢ় ও প্রমাণ করা সহজ হবে। (এসব না করে আরো একটি কাজ করা যায়। ফেসবুকে "মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারও দুর্নীতির জাহাজ, আই হেইট পলিটিক্স" স্ট্যাটাস দিয়ে বাঁশের কেল্লার শেয়ার করা পোস্ট, হিন্দি সিনেমা, সাঈদীর ওয়াজ বা ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের খেলা দেখতে বসে যাওয়া যায়। কিন্তু সেটি আমরা নিশ্চয়ই করব না)। একইভাবে কিন্তু আমরা প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের জন্যও কাজ শুরু করতে পারি।

এর কিন্তু আরেকটি পরোক্ষ সুবিধাও আছে। আমরা যখন সন্দেহভাজন দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রীদের একটি তালিকা বানাবো এবং উপরের দিকে যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে কি আইনী বা অনুসন্ধানী প্রক্রিয়া শুরু করা যায় সেটি ভাবব, অন্য কেউ কেউ যেটি করতে পারেন সেই তালিকাটি নিচ থেকে উপরের দিকে পড়ে যেতে পারেন। সেটি হবে সন্দেহভাজন সৎ ও নিষ্ঠাবান মন্ত্রীদের তালিকা!
একটি জিনিস আবারো স্মরণ করিয়ে দেই, আমাদের উদ্দেশ্য কিন্তু মৌসুমী হৈ-হল্লা করা না। কেন? কারণ আমরা প্রথম আলোর সাংবাদিক না যে আজকে বাজার গরম আছে তাই ধুমায়ে দুর্নীতির রিপোর্টিং করব আবার কালকে একই লোকের কাছে দেশ চালানোর বুদ্ধি খুঁজব (মিজানুর রহমান খান হর হামেশা যাকে স্বৈরাচার বলে গালি দেন তার কাছেই কয়েকদিন আগে দেশ চালানোর বুদ্ধি খুঁজতে গিয়েছিলেন )। তাহলে আমরা কি করব? আমরা অনুসন্ধান করব এবং আমাদের যদি সন্দেহ হয় যে অমুক মন্ত্রী খারাপ তাহলে আমরা আনন্দের সাথে জন্মের মত তার সাথে সম্পর্ক খারাপ করে ফেলব।

সেখানে থেমে যাব? না। তারপর কি করব? তারপর বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে যারা আইনজীবি আছেন তাদের বিনে পয়সায় রাজি করানোর চেষ্টা করব। না হলে পয়সা জমিয়ে ভাল আইনজীবিকে নিয়োগ দিব মামলা করে দেয়ার জন্য। তারপর আমরা যদি ঠিক থাকি এবং বোকার মত কোন ভুল না করি সেই মন্ত্রীর শাস্তি হবে। প্রয়োজনীয় জরিমানা ও কারাবাসের পর তিনি যখন বের হবেন আমরা তাকে বলব জগতের আনন্দযজ্ঞে তোমায় আবার নিমন্ত্রণ!
এখানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল বোকার মত অতি আশা না করা।

আপনি যদি আমার প্রজন্মের হয়ে থাকেন তাহলে এই সব ব্যাপার নিয়ে আপনার কোন অভিজ্ঞতা নেই ধরে নেয়া যায়। আমরা এখনও ইয়ং, রক্ত এখনও ব্লাড। আমরা ভুল করে করে শিখব। আমি নিজেই এখনও জানি না সব সম্পদের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির একই হার প্রযোজ্য কিনা, মনে মনে ঠিক করে রেখেছি ক্যালটেকের তানভীর আহমেদ ভূইয়াঁকে রাজি করানোর চেষ্টা করব এইসব হিসেবের জন্য। এটা আশা করা ঠিক হবে না যে আজকে এই পোস্ট দিয়ে দিলাম বলে আগামী বছর এই সময়ের মধ্যে দু-চারজন মন্ত্রী জেলে ঢুকে যাবে।

তার কোনই সম্ভাবনা নেই। আপনার যাকে সন্দেহভাজন মনে হবে আপনার বন্ধুর হিসেবে সে সন্দেহভাজন নাও হতে পারে। কাজেই আপনাকে কিছু সমমনার সাথে বসে দেখতে হবে তারা আপনার সাথে একমত কিনা। তারপর আপনাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে তথ্য অধিকার আইনের সহায়তা নেয়া। তারপর আরেকটি বড় কাজ নিজেদের আইনজীবিকে বিশ্বাস করানো যে আপনার সন্দেহ ঠিক।

সে কিন্তু দেখবে একদম ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী থেকে। এতকিছুর পর আপনি কেবল মাত্র আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তারপর মামলার নিজস্ব প্রক্রিয়া আছে। কাজেই আপনি উল্টাপাল্টা আশা করলে চলবে না। কিন্তু নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে ষোলআনা।


তাহলে প্রথম কাজ হল মন্ত্রীদের তালিকা করা। মন্ত্রীপরিষদের তালিকা অনুযায়ী গত সরকারের মন্ত্রীদের তালিকা নিচে দিলাম। শুরুতে আমাদের কি কি তথ্য দরকার তার ধারণা দেওয়ার জন্য একজন মন্ত্রীর তথ্যগুলোর লিংকও ব্র্যাকেটে দিয়ে দিলাম।
এখন আমরা টেস্ট কেইস হিসেবে একজন মন্ত্রীর সম্পদ বিবরণীতে ভাল করে নজর বুলাতে পারি। যদি দেখি সন্দেহ করার কিছু নেই তাহলে ওনার জন্য আমাদের ভালবাসা থাকবে, আর যদি দেখি অবাক হওয়ার মত তথ্য থাকবে তাহলে আমরা তাকে আমাদের সন্দেহের তালিকায় উপরের দিকে নিয়ে যাব।


শেখ হাসিনা
২০০৮ সালে প্রকাশিত তথ্য
প্রথমে আমরা দেখব ওনার পেশা কি?

এখানে উনি বেঁচে গেলেন কারণ সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উনি কোন লাভজনক পদে, যেমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোন দায়িত্বে, থাকতে পারবেন না।
এরপর দেখা যাক তখন ওনার আয়ের উৎসগুলো কি কি ছিল?

সবশেষে দেখা যাক সম্পদ ও দায়ের বিবরণী। প্রথমে অস্থাবর সম্পদ।

তারপর স্থাবর সম্পদ।

এখন আমরা ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের জন্য দাখিল করা একই তথ্যগুলো দেখব।


দেখা যাচ্ছে পেশা আগের মত এখনও রাজনীতি কাজেই ১৪৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উনি ঠিক আছেন।

তারপর আয়ের উৎসগুলোও দেখে নেই।

সবশেষে আবারও সম্পদের হিসেব। প্রথমে অস্থাবর সম্পদ।

তারপর স্থাবর সম্পদ।



এবার তাহলে আমাদের পর্যবেক্ষণগুলো লিপিবদ্ধ করা যাক!
১. গত পাঁচ বছরে ওনার আয়ের উৎস বেড়ে তিন থেকে ছয়টি হয়েছে। নতুন উৎসগুলি হল ব্যবসা / মৎস্যখামার, চাকুরী এবং অন্যান্য খাত। এর মধ্যে চাকুরীর ব্যাপারটি পরিষ্কার, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উনি যে আয় করেন তার হিসেব। ব্যবসা / মৎসখামার দেখেই যদি আপনি মনে করেন ১৪৭ অনুচ্ছেদ লংঘিত হয়েছে তাহলে কিন্তু হবে না। কারণ আপনাকে দেখাতে হবে সেই ব্যবসা বা মৎসখামারে তিনি কোন পদে থেকে সেবা দিচ্ছেন।

যদি না দেন, কেবল অংশীদার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কিছু করার নেই। অন্যান্য খাতে যেটি আছে সেটিও আপনার আমার কিছু করার নেই। ওনার গাড়ি উনি বিক্রি করতেই পারেন।
২. পুরোনো খাতে যা আয় তার মধ্যে কৃষিখাতে ওনার আয় বেশ কমে গেছে। খুব সম্ভবত: জমিজমা বিক্রি করেছেন বা কৃষিখাতে মনোযোগ দেবার মত সময় ছিল না।

বাড়িভাড়া থেকেও আয় বেশ কমে গেছে। প্রকৃত হ্রাসটি আমরা বের করতে পারতাম যদি আমাদের হাতে বাড়িভাড়া সংক্রান্ত মূল্যস্ফীতির হিসেবটি থাকত। আমরা যদি আসলেই এটি নিয়ে আগাতে চাই সেই হিসেবটিও আমাদের করতে হবে। সেটি সহ চিন্তা করলে বাড়িভাড়া থেকে আয় টাকার অংকে যা তার থেকেও কমে গেছে। শেয়ার / ব্যাংক আমানত বেড়েছে দ্বিগুণ, মূল্যস্ফীতি ধরলে হয়তো আরো কম।

এর একটি কারণ হতে পারে জমিজমা বা বাড়ি বিক্রি করে তিনি সেটি ব্যাংকে রেখেছেন।
৩. অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা বেড়েছে তিনগুণের বেশি আর মূল্যস্ফীতি ধরলে সেটি আরও কম হবে।
৪. অলংকার আগে যা ছিল তাই আছে কেবল ওনার মরহুম স্বামীর নামে যা আছে সেটি নেই। খুব সম্ভবত: দান করে দিয়েছেন যেটি অনেক পরিবারই করে থাকে।
৫. ব্যাংক আমানত ও সঞ্চয় অনেক বেড়েছে (মূল্যস্ফীতি হিসেব করলে আরো কম বেড়েছে) যেটি কৃষিখাতের ও বাড়িভাড়ার আয় কমার সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারে।

কারও যদি পরিমাণগুলো মিলছে না মনে হয় তিনি এগুলো নিয়ে আরো খোঁজ করতে পারেন তথ্য অধিকার আইনের আওতায়।
৬. আসবাবপত্রের দাম একই রাখা হয়েছে। খুব সম্ভবত: নতুন আসবাবপত্র কেনা হয়নি তাই। যদি তাই হয় তাহলে দাম আরও কম ধরা উচিৎ কারণ আগের তুলনায় সেগুলি আরো ৫ বছর বেশি পুরোনো হয়েছে।
৭. স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে কৃষিজমি এক একর কমেছে দেখা যায়।

তাহলে আমরা শুরুতে যে কৃষিখাতে আয় কমার যে কারণ অনুমান করেছিলাম তা কিছুটা ঠিক।
৮. আগে স্বামীর মালিকানাধীন একটি বাড়ি হিসেবে ছিল যেটি এখন আর নেই।
তাহলে আমরা যে মতলব নিয়ে এই আলোচনা শুরু করেছি সেটিতে ফেরত যাই। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ৩২ জন মন্ত্রীর মধ্যে সন্দেহভাজন দুর্নীতির ভিত্তিতে একটি রেংকিং করা। রেংকিংয়ে উপরের দিকে আছেন এমন কয়েকজনকে নিয়ে আমরা আবারও ভাল করে বুঝে দেখব তাদের হিসেবগুলো কি আমরা নিজেদের দোষে মিলাতে পারছি না নাকি আসলেই কিছু গোলমাল আছে।

যদি আমাদের বিশ্বাস স্থির হয় (তার জন্য তথ্য অধিকার আইনের সুবিধা নিতে হওয়ার কথা) তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ হল ভাল একজন আইনজীবির সাথে কথা বলে দেখা যে আমরা আমাদের অনুমানকে আইনের চোখে সন্দেহ হিসেবে দেখাতে পারব কিনা। যদি পারি তাহলে তো ভাল আর যদি না পারি এবং আইনজীবির কথায় যদি আমরা কনভিন্সড হই তাহলে দুই লাইনের একটি চিঠিতে সৎ থাকার জন্য ধন্যবাদ লিখে পাঠাতে পারি।
তো আমি তো কেস স্টাডি করলাম একজন মন্ত্রীর জন্য এবং প্রাথমিক ব্যক্তিগত অনুমান হল এনার বিরুদ্ধে আমরা ভাল কোন অভিযোগ দাঁড় করাতে পারব না। দেখি কতজন একমত হন আর কতজন ভাল কোন আপত্তি দাঁড় করাতে পারেন যেটি আমি মিস করে গেছি।
আরো ৩১ জন স্বেচ্ছাসেবক দরকার বাকি মন্ত্রীদের জন্য।

আছেন কেউ? সচলায়তনে আপনার পোস্টের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।

সোর্স: http://www.sachalayatan.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।