আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভিডিওবার্তায় ভোট ঠেকানোর ডাক তারেকের

দেশবাসীকে আজকের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ২২ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওবার্তায় এ আহ্বান জানিয়ে ১৮ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন সর্বশক্তি দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময়। আর নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা নয়। এখন থেকে লক্ষ্য একটাই- সব ক্ষুদ্র বিভাজন ভুলে স্বৈরাচারী সরকার আর তার প্রহসনের নির্বাচনকে যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। ভিডিওবার্তার শুরুতেই তারেক রহমান বলেন, আমাদের দেশ যখন এক গভীর অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত, তখন আপনারা ভালো আছেন, এ প্রত্যাশা যেন নিছকই এক আনুষ্ঠানিকতা।

তারেক রহমান বলেন, গত পাঁচ বছরে দেশের সম্পদের অভূতপূর্ব লুটপাট, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ন্যক্কারজনক বিনাশ আর রাজনৈতিক বিরোধী ও সমালোচকদের নজিরবিহীন দমনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, গত নির্বাচনে তাদের ক্ষমতালাভের প্রক্রিয়াটি প্রকৃতপক্ষেই কলঙ্কজনক ছিল। বাংলাদেশজুড়ে গভীর রাজনৈতিক সংকট চলছে। জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের ওপর বিক্ষুব্ধ হয়ে আছে মানুষ। জনসমর্থন ও আত্দবিশ্বাস শূন্যের কোঠায় পেঁৗছানো আওয়ামী লীগ সরকার গণমানুষের ইচ্ছাকে তাদের হীনরাজনৈতিক স্বার্থের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতা, রাজনৈতিক গুম-খুন, সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের গণহত্যা, আর দুর্নীতির স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব অভিযোগের মুখে মানুষ পদে পদে এ সরকারের ওপর অনাস্থার কথা জানিয়ে দিয়েছে।

রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ন্ত্রিত স্থানীয় নির্বাচনগুলোয় প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বিএনপি প্রার্থীদের ব্যাপক বিজয়ের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অবস্থান দুটোকেই দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি বলেন, ২০০৬ সালে সংবিধান অনুযায়ী বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগ মেনে নেয়নি। এখন শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হতে চাচ্ছেন। তিনি কেবল অনিরপেক্ষই নন, খোদ আওয়ামী লীগেরও প্রধান। কোন ভরসায়, কীসের ভিত্তিতে বিএনপি বা অন্য যে কোনো দল শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে? দলের এই সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, সংবিধান তো ঐশীবাণী নয় যে একে পরিবর্তন করা যাবে না।

দেশের প্রতিটি মানুষের মতো আমিও প্রশ্ন করতে চাই- সংবিধানের জন্য জনগণ, নাকি জনগণের জন্য সংবিধান? তিনি বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে এ পর্যন্ত ১৫বার আমাদের সংবিধান সংশোধিত হয়েছে। এমনকি পাশের দেশের সংবিধানে যদি ৯৮বার সংশোধন এসে থাকে, তাহলে জনগণের চাওয়া অনুযায়ী, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে, আমরা কেন ষোড়শ সংশোধনী করতে পারব না? নির্দলীয় সরকারের দাবি অসাংবিধানিক বলে সরকার এটিকে প্রত্যাখ্যান করছে। এটিই যদি তাদের যুক্তি হয়, তবে আমাদের সংবিধানের একটি সংশোধনও করা সম্ভব হতো না। আমরা পড়ে থাকতাম সেই '৭২-এর গণআকাঙ্ক্ষাবিরোধী সংবিধানে। আওয়ামী লীগ যা বলছে, তা কোনো যুক্তির কথা নয়; বরং সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ আসনের আশীর্বাদ নিয়ে দেশকে অভিশাপের দিকে ঠেলে দেওয়ার অপপ্রয়াস।

ভিডিওবার্তায় তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সরকার ১৮-দলীয় জোটসহ সব বিরোধী দলকে বাইরে রেখে একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। অথচ দেশে-বিদেশে নানা জরিপ, পর্যালোচনা ও গবেষণা থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ। এরই মধ্যে সরকার পরিকল্পিতভাবে একটি প্রহসনের নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে আওয়ামী লীগকে মুক্তিকামী জনতা এমনভাবেই প্রত্যাখ্যান ও ধিক্কার জানাল যে তারা শত চেষ্টা করেও একতরফা নির্বাচনে ৩০০টির এমনকি অর্ধেক আসনেও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড় করাতে পারল না। এ দেশের হতভাগ্য জনসাধারণকে পাঁচ বছর অন্তর ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত্র অনুশীলনের একমাত্র সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চিত করতে চাইছে।

গণতন্ত্রের সহস াধিক বছরের ইতিহাসে, শতাধিক দেশের রাজনৈতিক পটভূমি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিশ্ব ইতিহাসে এমন প্রতারণামূলক নির্বাচন এর আগে কখনো ঘটেনি। আর তাই বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট দেশব্যাপী আন্দোলন করছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের। দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে আমাদের যে আন্দোলন, তাতে অনেক নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। তাদের জীবন উৎসর্গের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য হলেও আমাদের ঘরে-ঘরে, গ্রামে-গ্রামে, শহরে-শহরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনে শহীদ সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানান তারেক রহমান।

নতুন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি কথা দিচ্ছি তাদের আত্দত্যাগকে আমরা বৃথা যেতে দেব না। ইনশা আল্লাহ, এ দেশে আবারও আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনব; নিশ্চিত করব উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি; বয়ে আনব আর্থিক ও সামাজিক অগ্রগতি। দেশবাসীর উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশে আমরা যারা গণতন্ত্রের মূলনীতিতে বিশ্বাস করি, আজ সময় এসেছে আমাদের সবার এক হয়ে আজকের নির্বাচন প্রতিরোধ, প্রতিহত ও বর্জন করার। ব্যক্তিস্বার্থে নয়, দলীয় স্বার্থে নয়, এটি করতে হবে দেশের স্বার্থে, দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে, দেশের অস্তিত্বের স্বার্থে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও প্রশাসন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মনে রাখতে হবে যে আপনারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারেরই কর্মী।

দেশের পরিস্থিতি বা সরকারে থাকা দলের উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা যা-ই হোক, আপনারা দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যেতে পারেন না। আপনাদের চালক আপনাদের বিবেক, আর আপনাদের চাকরিদাতা এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষ; যাদের কষ্টার্জিত অর্থে আপনাদের সংস্থান হয়। এই মানুষদের ওপর জুলুম-নির্যাতনে আপনাদের অনেকেরই অংশগ্রহণ রয়েছে। আপনাদের পরিবার-পরিজনরাই তা মেনে নিতে পারছেন না, আমি নিশ্চিত। আর এ রাজনৈতিক অচলাবস্থারও শীঘ্রই নিরসন হবে।

আজ যারা গণবিরোধী কাজ করতে আপনাদের প্রণোদনা দিচ্ছে, গণমানুষের চাপে যখন তাদের অবশ্যম্ভাবী পতন ঘটবে, তখন জনতার কাঠগড়ায় সেসব অপরাধীর পাশাপাশি যদি আপনাদেরও দাঁড়াতে হয়, তবে তা হবে অত্যন্ত লজ্জার ও কলঙ্কের।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আমাদেরই মতো দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছেন। মানুষের মতামত ও তাদের বক্তব্য উপলব্ধি করা আপনাদের রাজনৈতিক স্বার্থেই একটি অবশ্যকরণীয়। ভেবে দেখুন, দেশের সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে, পদে-পদে আমাদের প্রাণপ্রিয় ইসলাম ও ধর্মীয় সম্প্রীতিকে রক্তাক্ত করে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো গণদাবিকে ধূলিসাৎ করে, এমন লজ্জাজনক নির্বাচন কি কোনো গণতান্ত্রিক দলকে মানায়? এ নির্বাচন দিয়ে মানুষের ঘৃণা-অভিশাপ ছাড়া আপনাদের আর কী অর্জন হবে? স্বাধীনতার সপক্ষের দাবিদার হিসেবে বর্তমান পরিস্থিতি- যেখানে আপনাদের সরকারের স্থায়িত্ব নির্ভর করে অন্য এক রাষ্ট্রের নীতির ওপর, যেখানে সরকার দেশবাসীর ওপর পরাধীনতার শৃঙ্খল চাপিয়ে দেয়; সেই রাজনীতি আপনারা কী করে মেনে নেন? এ কেমন রাজনৈতিক সমর্থন যা দেশের গভীর সংকটেও দলীয় আনুগত্যকে জাতীয় স্বার্থের ঊধের্্ব স্থান দিয়ে মানুষের ওপর নৃশংসতা চালায়? ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে এর পরিণাম শুভ হয় না।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করে ভিডিওবার্তায় তারেক রহমান বলেন, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধেও যে পরিমাণ সেনা কর্মকর্তা আমরা হারাইনি, তার চেয়েও বেশিসংখ্যক সেনা কর্মকর্তাকে তাদের পরিবার-পরিজনসহ হত্যা, নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করা হলো আমাদের রাজধানীরই বুকে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ অবদান রাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের ভেতরে যেভাবে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অশান্তি ও রক্তপাতের শিকার হয়েছে, তা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিডিআর আর সেনাবাহিনীকেই কেন আওয়ামী লীগের প্রথম ও প্রচণ্ড ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হলো, স্বাধীনতাকামী-সার্বভৌমত্বকামী বাংলাদেশিদের কাছে তা সহজেই বোধগম্য।

দল ও জোটের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইতিহাস ও রাজনীতির পালাবদল আমাদের আজ এক অন্যরকম অবস্থানে নিয়ে এসেছে। সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী থেকে আজ আমরা পরিণত হয়েছি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সেনানীতে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার 'দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও' স্লোগানের মর্মার্থ আজ দেশবাসী পদে-পদে অনুভব করছে।

উজ্জ্বল প্রভাতের আগে রাত যেমন গভীর ও অন্ধকার হয়, তেমনি আমাদের ওপর নেমে এসেছে অন্য দেশের তাঁবেদারিতে নিমজ্জিত জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের গুম, খুন, হামলা, মামলা ও নির্যাতনের স্টিমরোলার। আজ আমাদের লড়াই কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। আজ আমাদের লড়াই একটি বন্দী জাতির মুক্তির জন্য এক অশুভ আশীর্বাদপুষ্ট স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে। সেই অশুভ তৎপরতাই একদিন আমাকে আপনাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে অনেক দূরে নিয়ে গিয়েছিল। আজও শারীরিক অসুস্থতার জন্য আমি সশরীরে আপনাদের মাঝে উপস্থিত নেই।

তবে আমি প্রতিটি মুহূর্তে নিজেকে আপনাদের মাঝেই অনুভব করি। আপনাদের ওপর আসা আঘাত, আপনাদের ত্যাগ, আপনাদের সংগ্রাম আমাকে সব সময় আচ্ছন্ন করে রাখে। আপনাদের প্রতি আমি আহ্বান জানাই, এখন সর্বশক্তি দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময়। আর নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা নয়। এখন থেকে লক্ষ্য একটাই- সব ক্ষুদ্র বিভাজন ভুলে স্বৈরাচারী সরকার আর তার প্রহসনের নির্বাচনকে যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী আর অন্ধ সমর্থক ছাড়া প্রতিটি বাংলাদেশি নারী ও পুরুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। কেউ সশরীরে আছেন; আর বাকিদের সমর্থন, প্রেরণা ও দোয়া আমাদের সঙ্গে আছে। দেশের মানুষ রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তির কামনায় চেয়ে আছেন বিএনপির দিকে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের দিকে। এত জনসমর্থিত একটি আন্দোলনের সাফল্য ইনশা আল্লাহ অনিবার্য। প্রয়োজন শুধু এই সংগ্রামকে- যা চলে আসছে আমাদের বিপুল ত্যাগ-তিতিক্ষা, বহু সহযোদ্ধা ও নিরপরাধ সাধারণ মানুষের প্রাণের মূল্যে; সেই সংগ্রামকে, এই দেশ ও জাতির স্বার্থে যে কোনো মূল্যে অব্যাহত রাখা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আজ সময়ের অন্যতম দাবি। সেই পরিবর্তনের মূল ভিত্তি হবে রাজনীতিতে জাতীয় ঐক্য ও আপনাদের নতুন ধারার অংশগ্রহণ। আসুন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আজকের আন্দোলন সফল করে আমরা পরিবর্তনের সেই রাজনীতির পথকে প্রশস্ত করি।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।