আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গেমস জোন [পর্ব-১৮৩] :: মেটাল গিয়ার রাইজিং: রিভেঞ্জ – প্রিভিউ (২০১৪)

আমার টিউনের সংখ্যা যত বাড়ছে, নিজের টিউনিং দায়িত্বটা আরো বাড়ছে আগের থেকে। চাইলেই যেনতেন টিউন করে ফেলতে পারি না আমি! প্রথম যখন ব্লগিং দুনিয়ায় আসি তখন এক সপ্তাহ লেগে যেত এক একটি টিউন করতে। মনের ভিতর অসংখ্য ভয় কাজ করতো। আমার টিউন পাঠকেরা পড়বে তো? টিউনটি ভালো হয়েছে তো? কমেন্ট পাবো তো? আর এখন??
আর এখন দিনে ৮টি করে টিউন করতে পারি। আগের মতো আর টিউন নিয়ে চিন্তা থাকে না।

তবে এখন টেকটিউনস এর শীর্ষে চলে আসায় আবারো টিউনের মান নিয়ে আমায় ভাবতে হচ্ছে। গেমস জোন এর ২ টি বছর পূর্ণ করে তৃতীয় বছরে পা দিতে যাচ্ছে এই ১১ই জানুয়ারী।
উফ! মেটাল গিয়ার সিরিজ নিয়ে এই প্রথম টিউন করছি। উফ এই জন্যই বললাম যে মেটাল গিয়ার সিরিজের এই গেমটি পিসি খেলা যাবে তবে . . . . . তবে এর নূন্যতম সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট (অফিসিয়ালভাবে) কোর আই ৫!! উফ উফ উফ!
মেটাল গিয়ার রাইজিং সিরিজের আপকামিং নতুন গেম রিভেঞ্জ (メタルギア ライジング リベンジェンス) বাজারে আসছে ৮ই জানুয়ারীতে। গেমটি একটি হ্যাক এন্ড স্ল্যাশ টাইপের গেম নির্মাণ করেছে প্ল্যান্টিয়াম গেমস এবং প্রডিউস করেছে কোজিমা প্রোডাক্টশন।

গেমটি প্লে-স্টেশন ৩, এক্সবক্স ৩৬০ গেমস কনসোল সহ মাইক্রোসফট উইন্ডোজ মানে পিসিতেও খেলা যাবে।
গেমটি মেটাল গিয়ার সিরিজের ৯ম সংস্করণ এবং মেটাল গিয়ার সলিড ৪ গেমটির ৪ বছর পরের কাহিনী নিয়ে নির্মিত। গেমটিতে তোমাকে একজন সাইব্রোগ “রেইডেন” এর ভূমিকায় খেলতে হবে এবং প্রাইভেট মিলিটারী কোম্পানি “ডেসপারডো এনফোর্সমেন্ট” এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে।
গেমটির গেম-প্লে মূলত হ্যাক এন্ড স্ল্যাশ টাইপের। যেখানে শত্রুর বিপদ্ধে তলোয়ার দিয়ে লড়তে হয় তবে তলোয়ার ছাড়াও অন্যান্য অস্ত্রের ব্যবহার করেও কমবাট সাজানো যায়।

অনেকটা ডেভিল মে ক্রাই সিরিজের মতোই। রেইডেন যখন “ব্লেইড” মোডে থাকে তখন সময় স্লো-মোশনের মতো হয়ে যায় এবং সে শত্রুর বডির বিভিন্ন পার্টস আলাদা করতে পারে।
২০০৯ সালে গেমটি মেটাল গিয়ার সলিড: রাইজিং নামে আত্মপ্রকাশ করলেও তলোয়ার বেইসড ফাইটিং গেম বানাতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পরায় গেমটি বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০১১ সালে প্লেটিনাম গেমস গেমটির নির্মাণের দায়িত্ব নেয় এবং নতুন নির্মাতা টিমের হয়ে গেমটির নাম পরিবর্তন করে মেটাল গিয়ার রাইজিং: রিভেঞ্জ রাখা হয়। এরই সাথে গেমটির গেম-প্লে এবং স্টোরিলাইনে আনা হয় ব্যাপক পরিবর্তন।

কোজিমা প্রোডাক্টশন গেমটির যাবতীয় ডিজাইন এবং প্লট এর দায়িত্বে রয়েছে। গেমটি অনেক জায়গাতেই প্রশংসিত হয়ে এর স্টোরিলাইন ভিক্তিক গেম-প্লের জন্য যেখানে সিরিজের আগের গেমসগুলো শুধুমাত্র গেম-প্লেতে জোড় দিয়ে বানানো হয়েছিল।

নির্মাতাঃ
প্ল্যাটিনাম গেমস
প্রকাশ করবেঃ
কোনামি
সিরিজঃ
মেটাল গিয়ার
ইঞ্জিণঃ
প্ল্যাটিনাম ইঞ্জিণ
খেলা যাবেঃ
প্লে-স্টেশন ৩,
এক্সবক্স ৩৬০ এবং
মাইক্রোফট উইন্ডোজে
মুক্তি পাচ্ছেঃ
জানুয়ারী, ২০১৪ (পিসি)
ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ (প্লে-স্টেশন এবং এক্সবক্স)
ধরণঃ
একশন,
হ্যাক এন্ড স্ল্যাশ
খেলার ধরণঃ
সিঙ্গেল-প্লেয়ার
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টসঃ
**২৫ গিগাবাইট ফ্রি হার্ডডিক্স স্পেস লাগবে**
কমপক্ষেঃ
কোর আই ৩ ৩.১ গিগাহার্জ অথবা অপটেরন ৬১৪০ গতির প্রসেসর,
জির্ফোস জিটিএস ৪৫০ কিংবা রাডিয়ন এইচডি ৪৮৭০ গ্রাফিক্স কার্ড,
৪ গিগাবাইট র‌্যাম,
উইন্ডোজ এক্স পি সার্ভিস প্যাক ৩ (৩২বিট) অপারেটিং সিস্টেম,
ডাইরেক্ট এক্স ৯.০সি
অফিসিয়ালঃ
কোর আই ৫-৩৩৪০ ৩.১ গিগাহার্জ অথবা অপটেরন ৪২৪০ গতির প্রসেসর,
জির্ফোস জিটিএক্স ২৬০ অথবা রাডিয়ন এইচডি ৪৮৭০ গ্রাফিক্স কার্ড,
৬ গিগাবাইট র‌্যাম,
উইন্ডোজ সেভেন (৬৪বিট) অপারেটিং সিস্টেম
ডাইরেক্ট এক্স ১০
ভালোভাবে খেলতে হলেঃ
কোর আই ৭-৩৭৭৯৫ ৪-কোর ৩.১ গিগাহার্জ অথবা অপটেরন ৬২৬২ HE গতির প্রসেসর,
জির্ফোস জিটিএক্স ৬৫০ অথবা রাডিয়ন এইচডি ৭৭৫০ গ্রাফিক্স কার্ড,
১২ গিগাবাইট র‌্যাম,
উইন্ডোজ এইট অপারেটিং সিস্টেম (৬৪বিট),
ডাইরেক্ট এক্স ১১ সাথে শেডার মডেল ৫.০
গেমটির ইভেন্ট সমূহ সেট করা হয়েছে মেটাল গিয়ার সলিড ৪ গেমটির চার বছর পরের কাহিনী দিয়ে। যেখানে একটি পাওয়ারফুল শ্যাডো সংস্থা “দ্যা প্যাট্রিওয়স” দুনিয়ার যুদ্ধ চালাচ্ছে এবং প্রায় প্রতিটা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সেই সাথে প্রাইভেট মিলিটারী কোম্পানি (PMC) দুনিয়ার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।


এই কোম্পানিটি প্যাট্রিওয়স এর টেকনোলজির ব্যবহার করে তাদের সৈন্যদের এডভান্স সাইব্রোগ বানিয়ে ফেলেছে। তাদের অনেকেই সুপারহিউম্যান ক্ষমতাও অর্জন করেছে।
গেমটিতে তোমাকে খেলতে হবে রেইডেন এর ভূমিকায়। সেও আগে একজন সাধারণ সোল্জার ছিল। এখন PMC এর অন্যতম শক্তিশালী সাইব্রোগ সৈন্য।

সে PMC এর সিকুরিটিতে কাজ করে।
গেমটি শত্রুপক্ষ হিসেবে রয়েছে PMC Desperado Enterprises । ডেসপারডো চায় পুরো দুনিয়াকে একটি শহরে পরিণত করতে। ডেসপারডোর অপারেটিং স্যামুয়েল রোড্রিগেজ গেমটির খলনায়ক চরিত্রে থাকছে। স্যাম হচ্ছে সাইব্রোগ এসাসিন্স টিম “Winds of Destruction” এর লিডার।

গেমটির সময়কাল সেট করা হয়েছে ২০১৭ সালকে ঘিরে।
 
গেম-প্লেঃ
রেইডেন, একজন সাইব্রোগ এর ভূমিকায় গেমটিতে তোমাকে খেলতে হবে। রেইডেন এর দুটি মোড রয়েছে, একটি হলো “ওয়াইট” মোড আরেকটি হলো “ব্ল্যাক” মোড যা গেমটির শেষের দিকে আনলক হবে। দুটি মোডের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। তবে তুমি চাইলেই এই দুটি মোড এর মধ্যে চেঞ্জ করতে পারবে না।


রেইডেন এর মূল অস্ত্র হচ্ছে তার হাই ফিকোয়েন্সির তলোয়ার। এছাড়াও বাকি অস্ত্রসমূহ গেমটির গেমটির বসগুলোকে হারিয়ে আনলক করতে হবে।
গেমটির সকল বস্তুকে তলোয়ার দিয়ে কেটে ফেলা যাবে। শত্রু থেকে ধরে গাড়ি, বাড়ি, লাইটল্যাম্প ইত্যাদি। গেমটিতে ব্লেইড মোড রয়েছে তা ম্যাক্স পেইন সিরিজের বুলেট টাইম ফিচারটির মতোই।

যেখানে টাইম হয়ে যাবে স্লো-মোশন এবং তখন ইচ্ছে মতো কোপাকুপি করা যাবে! তবে এটি সীমিত সময়ের জন্যই একটিভ থাকবে এবং ব্লেইড মোড রেইডেন এর এনার্জি কে আস্তে আস্তে শেষ করে দিতে থাকবে। গেমটির এক পর্যায়ে তুমি রিপার মোড আনলক করবে, যেটা ব্লেইড মোডের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সময়বহুল।
গেমটিতে তুমি ফাইটিং অথবা স্টেলথ যেকোনো মোডে খেলতে পারবে। স্টেলথ মোডে খেলার জন্য গেমটিতে রয়েছে “নিনজা ড্যাস” মোড। এছাড়াও ব্লেইড মোডে এনার্জি ফিরে পেতে রেইডেন “জ্যানডাটসু” ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবে যেখানে যতগুলো রোবট এবং সাইব্রোগ সে মারবে তত বেশি এনার্জি সে ফেরৎ পেতে থাকবে।


প্রতিটি মিশন কমপ্লিট করার পর তোমাকে তোমার পারফরমেন্স এর উপর ভিক্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট দেওয়া হবে। যাদের মধ্যে সর্বোচ্চ রেঙ্কিং হচ্ছে “S” । এইসব পয়েন্ট দিয়ে রেইডেন এর জন্য আপগ্রেড খরিদ করা যাবে। গেমটিতে তোমাকে সঙ্গ দিবে তোমার রোবট কুকুর “ব্লেইডঊলফ”। সে তোমাকে বিভিন্ন সময় ম্যাপের ইনফরমেশন এনে দিবে।










নির্মাণঃ
গেমটি প্রথম দিকে মেটাল গিয়ার সলিড: রাইজিং নামে নির্মিত হতে থাকে। গেমটিতে বস মানে শত্রুপক্ষকে শক্তিশালী রেখে এবং মূল চরিত্র কোবরা ইউনিটকে রেখে নির্মিত হতে থাকে যেটা মেটাল গিয়ার সলিড ৫ হতে আইডিয়া নেওয়া হয়েছে। তবে তরুণ নির্মাতাদের এক্সপেরিয়েন্স এর ঘাটতির জন্য গেমটির নির্মাণ কাজ ২০১০ সালে মাঝামাঝিতে বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১১ সালের শুরু দিকে নতুন নির্মাতা কোম্পানি প্ল্যাটিনাম গেমস এর আন্ডারে মেটাল গিয়ার সিরিজের এই নতুন গেমটির নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে এখানে গেমটির আসল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোজিমা প্রডাক্টশন এর কিছু আশংঙ্কা থেকে যায় যে, একটি নিনজা একশন বেইসড গেম জাপানিস কোম্পানি ভালো বানাতে পারতো।

তবে গেমটির প্লেয়ার চরিত্র রেইডেন এর সমস্ত ডিজাইন করেছেন ইয়োজি শিনকাওয়া, একজন জাপানিজ আর্টিস।

রেইডেন এর ভয়েস একটর হিসেবে কাজ করেছেন কুইনটন ফ্লিন। যাকে আগে কোজিমা ভয়েস একটর হিসেবে দলে নেয় নি।
গেমটির টাইটেল রিভেঞ্জ টি দিয়েছে এই কোজিমা প্রোডাক্টশনই। এর অন্য মানে হচ্ছে গেমটির মূল সংস্করণ রাইজিং এর ব্যার্থতার রিভেঞ্জ নেওয়া।


গেমটি সকল প্ল্যাটফর্মে ৬০ ফ্রেমরেট পার সেকেন্ডে চলবে। তবে পিসিতে এই কোয়ালিটি পেতে হলে প্লেয়ার এর থাকতে হবে একটি উচ্চ গতি সম্পন্ন গেমিং পিসি।
জাপানের সেন্সর জড়িত কিছু সমস্যার জন্য গেমটি থেকে হিউম্যান সোল্জারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গেমটির ডেমো সংস্করণ অক্টোবর ৩০, ২০১২ সালে বাজারে আসে শুধুমাত্র প্লে-স্টেশন ৩ এবং এক্সবক্স ৩৬০ কনসোলের জন্য। আর পূর্ণাঙ্গ সংস্করণটি বাজারে আসে ফ্রেব্রুয়ারী, ২০১৩ সালে প্লে-স্টেশন ৩ এবং এক্সবক্স ৪৬০ গেমিং কনসোলের জন্য।


গেমটির পিসি সংস্করণের জন্য গেমটিতে আরো বহু গ্রাফিক্স ইফেক্ট যোগ করা হয়েছে। আর পিসি সংস্করণের যাবতীয় DLC সমূহ পাওয়া যাবে শুধুমাত্র স্ট্রিমের মাধ্যমে খরিদকৃত গেমসগুলোর জন্য।
জ্ঞাতব্য:
> গেমস জোন শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর উপাদান সমূহের দ্বারা কেউ মনে কষ্ট কিংবা আঘাত পেলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।
> গেমস জোনে ব্যবহৃত বাংলা কভার, ওয়ালপেপারসমূহ সর্ম্পূণ ভাবে লেখকের নিজস্ব সৃস্টি।

এর সাথে আসল গেমটির কোনো সর্ম্পক নেই
> গেমস জোন এর সাথে উক্ত গেমসগুলোর কোনো সরাসরি সম্পৃত্ত নেই এবং থাকবে না।
> গেমস জোন এর গেমসগুলোর রিলিজ তারিখ, নির্মাতা, প্রকাশক, মুক্তির তারিখ, সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস এবং চিটকোড  তথ্য গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে সংগৃহকৃত। লেখক এখানে শুধুমাত্র বাংলায় লিখেছেন।
> ডাউনলোড লিংক এবং এর ফাইলসমূহ সর্ম্পূণ ভাবে অন্য সাইট হতে কপিকৃত। লেখকের সাথে ডাউনলোড লিংক এর কোনো সম্পৃত্ততা নেই।


> সর্বপরি গেমস জোন লেখক গেমওয়ালার ব্যক্তিগত কর্ম মাত্র। এর সাথে এই ব্লগের কোনো সর্ম্পক নেই এবং গেমস জোনের সকল তথ্য (ডাউনলোড লিংক ব্যাতিত) এর জন্য শুধুমাত্র লেখক গেমওয়ালা দায়ী থাকবে।
> গেমস জোন একটি সর্ম্পূণ ফ্রি গেমস রিভিউ এবং প্রিভিউ টিউন। তাই এর যেকোনো উপদান স্বাধীনভাবে “ব্যক্তিগত” উদ্দেশ্যে যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে। তবে গেমস জোন কে “করপোরেট” ভাবে কখনোই ব্যবহার করা যাবে না।


> গেমস জোন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা, পরামর্শ, অভিযোগ এবং অন্যান্য যে কোনো বিষয়ের জন্য গেমস জোন এর ফেসুবক পেইজ http://www.facebook.com/games.zone.bd তে যোগাযোগ করুন অথবা সরাসরি লেখক গেমওয়ালার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন fb.com/talented.fahad

সোর্স: http://www.techtunes.com.bd/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.