এদেশে জামাতের অবস্থান কোন ভূইফোর, পরিচয়হীন পরগাছার মত নয় যে তাকে ছেটে ফেলা এত সহজ হবে। ইদানিং কালে কিছু কিছু বুদ্ধিঝীবীর কথা শুনলে মনে হয় যে জামায়াত এত অপকর্ম করেছে যে সে এখন হিন্দুদের ন্যাড়া চরিত্রের মত তাকে ছুলেই জাত চলে যাবে। এদের মধ্যে আবার কউ কউ আছেন যাদের জন্মই হয়নি জামাতের প্রতিষ্ঠা লগ্নে। সন্ত্রাসী, ফ্যাসিস্ট এমন কোন অপবাদ নেই এরা তা জামাতের বিরুদ্ধে উচ্চারণ করে না। অবশ্য ঠিক তারা যে অপবাদ দেয় ঠিক সেই অপরাধ আর কউ করলে সে হয় আদর্শবাদী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক অথবা ডন।
প্রতিষ্ঠালগ্নে জামাতের যে উদ্দেশ্য ছিল তা আজও অপরিবর্তনীয়। এটা কিয়ামতের আগ পর্যন্তও চেঞ্জ হবে না।
এদিক থেকে বাংলাদেশের অন্যান্য দলগুলোর কথা চিন্তা করলে বলা যায় তাদের আদর্শ বার বার পরিবর্তন হয়। আসি আমলীগের কথায়। প্রতিষ্ঠালগ্নে ছিল মসুলমানদের জন্য আলাদা বাসস্থান পাকিস্থানের প্রতিষ্ঠায় নিমগ্ন।
পাকিস্থানয় তাদের একমাত্র স্বপ্ন। তখন হিন্দুত্যবাদী ভঅরতও তাদের কাছে ছিল অভিশাপ। কিন্তু পাকিস্থানর অত্যাচার যখন বেড়ে গেল তখন তারাই পাকিস্থান ভাঙনের ষড়যন্ত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করল। চেঞ্জ হয়ে গেল তাদের আদর্শ। ধর্মনিরপেক্ষতা হয়ে গেল তাদের আদর্শ।
ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে তারা বোঝায় সব ধর্মই তাদের কাছে সমান। কিন্তু আচরণ দেখলে মনে হয় সব ধর্মই সে সহ্য করতে পারে কিন্তু একমাত্র ইসলামের সমস্ত আচার আচরণ তার কাছে বোঝা। তারা উদাহরণ দেখায় ভারতের। কিন্তু ভারতের কপট ধর্মনিরপেক্ষ একজন মুর্খর কাছেও স্পষ্ট।
অন্যান্য দলগুলো তো পরিস্থির কারনে সৃষ্ট।
আর বামদের কোন ঠায় বাংলাদেশে ছিল না যদিও আজও তাদের মগজ প্রসূত চিন্তার আলোকে বাংলাদেশের অধিকাংশ কার্যক্রমের সার্টফিকেট পায়।
৭১ সালে জামাতের পক্ষপাতিত্ব অবশ্যই নিন্দনীয় বাংলাদেশের সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে।
এই একটি ভুলের কারণে জামাত এখনও মাথা নিচু করে থাকে স্বাধীনতার কথা উঠলে। তারা বুকফুলিয়ে কোন কথা বলেও না বা এ নিয়ে কোন আলোচনা করা থেকে তারা দুরে থাকার চেষ্টা করে। আমি এটা তাদের ভাল গুণ হিসেবে বিবিচনা করি।
কারণ বিশ্বজিতের মত কাওকে হত্যা করে তারা বুক ফুলিয়ে বলে না এরা আমাদের দলের নয়। এরা অমুক তমুক।
এখন স্বাধীনতার ৪০ বছরের প্রজন্ম যারা ৭১ এর পরে জন্মেছে তারা বাংলাদেশের জামাতশিবির। তারা আর ঐ ৭১ এর নয়। তারা এখন ১০০% অধিকার রাখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গর্ভ করতে, স্বাধীনতাকে উৎযাপন করতে।
আর এই কারনেই বলি যতই পাকিস্থানের দালাল দালাল বলে গাল দেয়ার চেষ্টা করা হয় সেটা বুমেরাং হতে বাধ্য।
আর আমি কিছু সিম্পল প্রশ্ন দাড় করাতে চায়। বলা হয় ৭১ এ জামাতের লেঅকেরা ধর্ষনে নাকি সেরা ছিল! আমার প্রশ্ন আজ ৪০ বছরে আপনাদের যাদের পরিচয় আছে জমাতের সাথে তাদেরকে কি আপনারা ধর্ষক হিসেবে জানেন? কারণ এই প্রশ্ন আমি অনেককে করেছি তারা যেটা বলে আমি জামাত বলে যাদের চিনি তারা কখনও ধর্ষকের দারে কোছেও নয় কিন্তু মিডিয়া যে বলে! তাদেরকে কি হত্যা করতে দেখেছেন? কখনও নয় তারা তেমন ধরনের লোক নয় কিন্তু মিডিয়াযে বলে! তাদের কে কছনও লুটপাট করতে দেখেছেন কিংবা তাদের মধ্যে কোন জঙ্গীপনা স্বভাব দেখেছেন? না কিন্তু মিডিয়া বলে!
আমি এই উত্তরগুলো পেয়েছি । আশাকরি আপনাদের কাছে প্রশ্ন করলে সেই একই উত্তর আসতে বাধ্য।
এখন আমার প্রশ্ন এই ৪০ বছরে তাহলে কি জামাত তার চরিত্র খোলনলচে পরিবর্তন করে ফেলল! যে তার দ্বারাই আর সেসব সম্বব হচ্ছে না! আমার বুঝে আসে না।
আর একটি প্রশ্ন করি। হয়ত খেপে যাবেন তবুও করি ৭১ এর ঘটনা পরিক্রমায় বিহারী মসুলমানদের হতে হয়েছিল কচুকাটা তাদেরও মেরে বধ্যভূমিতে ফেলে আসা হত। আমি আজগুবি বলি নাই। এবং এগুলো হয়েছে আমলীগের দ্বারাই। এটা মুনতাসীর মামুন তার লেখায় স্বীকার ও করেছে পড়ে নিয়েন।
এখন আমার প্রশ্ন আমলীগ যে বিহারী মসুলমানদের হত্যাকরে যে বধ্যভূমি তৈরি করেছিল তার কি কোন আলাদা লিষ্ট আছে না তাদের ব্যিভূমিগুলোও ওই অপপ্রচারে চাপা পড়ে গেল।
আমার মনে এগুলেঅ এখন ভেবে দেখার সময়। আমাকে ভুল বোঝার ভূল বোঝার কোন কারণ নেই আমিও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে তবে তা নিরংকুশ স্বাধীনতার কারও দালালীর মাধ্যমে নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।