আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১০ই মহররম কি শুধু কারবালার ঘটনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ?

সিরাতুল মুস্তাকিম চাই, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আল্লাহের গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে **** দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়েগেছে

মিথ্যার বেড়াজালে সত্য যে কখনো আটকা পড়েনা এই কথাটি যেমন চিরন্তন, আবার সত্য যে কখনো মিথ্যাকে ক্ষমা করবেনা এই কথাটিও চিরন্তন। সত্য যখন চাপা থাকে তখন তাহা কাঁদে নিরবে ও নিভৃত্তে, আর তখন তার সঙ্গী হয়ে থাকে শুধু এই মহাকাল। ( যুগে যুগে বহু জালিম দুনিয়ার এসেছে, কেউ মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি )। ।



আসছে শুক্রবার পবিত্র আশুরা, আর এই পবিত্র আশুরা নিয়ে রয়েছে বিশিষ্টজণদের ভিন্ন রকম মত। তবে আশুরা বা কারবালার ময়দানে সেইদিন ঘটে যাওয়া নিয়ে লেখা সবচেয়ে সারাজাগানো বই হচ্ছে মীর মোশরফ হোসেনের ' বিষাদ সিন্ধু '। (যদিও এই বইটি পরবর্তীতে সমালোচনার মুখে পড়ে, এবং এই বইতে অনেক ভূল রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন মদীনার বড় কিছু মুফতি) । ।

আশুরা শব্দটি মূলত আরবী শব্দ ' আশেরা ' থেকে এসেছে, যার বাংলা অর্থ হচ্ছে দশক বা দশ।

আরবী প্রথম মাস মহররমের 10 তারিখ হচ্ছে পবিত্র আশুরার দিন। ।

কিছু কিছু লেখক অবশ্য confusion রেখে গেছেন তাদের লেখায় যে আশুরার দিনটি মহররম মাসের 9ম তারিখ নাকি 10 তারিখ এই ব্যপারে। তবে শব্দের শাব্দিক অর্থে বুঝাই যায়, আশুরা মহররম মাসের 10তারিখ, তার পরেও বিশিষ্টজনরা কেন ভিন্নমত রেখে গেছেন তারা আমার বোধগম্য নয়। ।



আশুরার দিনে যে শুধু হযরত হোসাঈন (রাঃ) বা অন্যান্য যারা সেইদিন কারবালার ময়দানে শহীদ হয়েছলেন তাদের স্বরনে পালন করা হয় তা কিন্তু নয় কারন, এই মহররম মাসের 10ম তারিখ অনেক ঘটনাই ঘটেছে এবং ঘটবে। আমার জানার মধ্যে কিছু তুলে ধরলামঃ-

১. এই দিনে হযরত আদম (আঃ) ও হযরত হাওয়া (আঃ) দীর্ঘ নির্বাসনের পর একত্রিত হয়েছিলেন।
২. হযরত মুসা (আঃ) এর জয় এবং কাফের ফেরাউনের পরাজয়।
৩. হযরত ইউনুস (আঃ) এর মাছের পেট থেকে মুক্তি লাভ।
৪. হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আগুন থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন।


৫. হযরত আইয়ুব (আঃ) ভয়ানক দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন।
৬. এই দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছিল।
৬. এই দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে জাবে এবং কেয়ামত হবে। ।

এছাড়াও এই মাস অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।

মহানবী (সঃ) এই দিনে রোজা রাখতেন। কিছু কিছু মাওলানা এই রোজা রাখাটাকে ওয়াজিব বলেছেন কিন্তু এই রোজা সুন্নাত।

হযরত আয়সা (রাঃ) (peace be upon her ) থেকে বর্ণিত, কোরাইশ গোত্র জাহেলী যুগে আশুরার রোজা রাখত এবং নবী (সাঃ)আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও রোজা রাখতেন। অতঃপর তিনি যখন মদীনায় হিযরত করলেন, তখন তিনি নিজে রোজা রাখলেন এবং অন্যান্যদের রোজা রাখার আদেশ করলেন। তারপর যখন রমজান মাসের রোজা ফরজ করা হল, তখন তিনি বললেন, "ইচ্ছা হলে রোজা রাখ না হলে রেখোনা" (সহীহ মুসলিম, ২৬৩২ )।



এইবার দেখব আশুরাকে ঘিরে আমাদের সমাজে ও গোষ্ঠিতে প্রচলিত কিছু বিদআতbr />
১. ঢোল-বাজনা, লাঠি খেলা ও অন্যান্য প্রোগ্রামের মাদ্ধমে এই দিনটি উদযাপন।
২. তাজিয়া তৈরি করা এবং তাজিয়াকে সম্মান দেখান।
৩. কাল জামা ও ধারাল অস্র দিয়ে শরীরকে ক্ষত-বিক্ষত করা।
৪. কারবালার ঘটনাকে স্বরন করে মুর্চা যাওয়া।


৫. হায় হোসেন, হায় হাসান করে মাতম করা।
৬. এই দিনে মুরগি জবাই করে ভাল মন্দ কিছু খেতেই হবে তা না হয় সারা বছর আল্লাহ খারাপ খাওয়াবেন।

এ ছারাও আর অসংখ বিদআত সমাজে প্রচলিত আছে।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে এই সব বিদআত থেকে আমাদের হেফাজত করুন, এবং যুগে যুগে যেই সব ইয়াজিদ ও ইবলিশ শয়তানের বাচ্চা এই দুনিয়ায় এসেছিল তাদের থেকে যেভাবে হেফাজত করেছে , বর্তমানে যেইগুলি আছে ও ভবিষ্যতে যেইগুলি আসবে এইগুলি থেকে হেফাযত করুন ___________ আমিন
শাহরিয়ার:

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।