আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দশম সংসদের সাংবিধানিক বৈধতা নেই

এই সরকারের কোনো সাংবিধানিক বৈধতা নেই। সাংবিধানিক বৈধতা রাখতে হলে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আরেকটা পদ্ধতি ছিল মেয়াদ শেষ করার পূর্ববর্তী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া। আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সেই হিসেবে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন দিলেন। কিন্তু মেয়াদ শেষ করার আগেই আপনি নবম সংসদ বিলুপ্ত করেছেন।

গতকাল আশরাফুল ইসলাম সাহেব বলেছেন, 'দশম পার্লামেন্ট যাত্রা শুরু করেছে বলে নবম বিলুপ্ত হলো। ' আর মেয়াদ শেষ করার আগে সংসদ বিলুপ্ত করলে আপনাকে ১২৩ এর (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। তাই দশম সংসদ সাংবিধানিক বৈধতা হারিয়েছে। গত শুক্রবার চ্যানেল আইয়ের 'তৃতীয় মাত্রা' অনুষ্ঠানে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এ কথা বলেন।   

জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) চেয়ারম্যান ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী।

৪০ ভাগ মানুষ ভোট দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে- প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমি তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে বলতে পারি না তিনি মিথ্যা কথা বলছেন। এটা শোভা পায় না। কিন্তু এটা যে কতখানি অসত্য তা মনে হয় বাংলাদেশের প্রত্যেকটি লোক জানে। এখানে কত শতাংশ ভোট হয়েছে তা সব মিডিয়ায় এত ক্লোজলি মনিটর হয়েছে যে, গোপন করার সুযোগ নেই। কয়েকটি আসনে ভোটার উপস্থিতি মানুষ টেলিভিশনে সরাসরি দেখেছে।

ঢাকা-১৭ আসনে আবুল কালাম আজাদ সাহেব জিতলেন, সেখানে তো বিভিন্ন পত্রিকা দেখিয়ে দিয়েছে কী হয়েছে। কিন্তু ভোট শেষে সেই পার্সেন্টিজ কোথায় উঠে গেল! এগুলো তো বলে লাভ নেই। অনেকটা 'জোর যার মুল্লুক তার' পরিস্থিতিতে আমরা আছি। ব্যারিস্টার হুদা বলেন, যে সরকার গঠিত হচ্ছে তা নিয়ে কারও কোনো মন্তব্যই করা উচিত না। সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থীভাবে এ সরকার গঠিত হচ্ছে।

আমরা সবাই জানি এ কয় দিনে কী হল। জনগণ সব ক্ষমতার উৎস। সেখানে কীভাবে তারা বঞ্চিত হলো তা কারও অজানা নয়। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনে রায়ের মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হওয়ার কথা সেটাই হবে জনগণের সরকার। রবিবার যে সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে সেটা জনগণের সরকার না।

জনগণকে কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। কেউ মুখ উঁচু করে প্রতিবাদ করতে পারে না।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।