আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেলুলয়েডের সুচিত্রা

শেষবার তাকে ক্যামেরার সামনে দেখা গিয়েছিল ১৯৭৮ সালে। 'প্রণয় পাশা' ছবিতে তিনি শেষ অভিনয় করেছিলেন। তারপর চলে গিয়েছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে তাকে ঘিরে কৌতূহল, রহস্যময়তা ও আগ্রহের পারদ ক্রমশ ঊধর্্বমুখী হয়েছে। তবু তিনি থেকে গেছেন পর্দার আড়ালেই।

মানুষের মণিকোঠায় অবশ্য আজও তার আসন সুরক্ষিত। তিনি সুচিত্রা সেন। এবার তার ফিল্ম জীবনকে সেলুলয়েডে তুলে ধরতে তৈরি হচ্ছেন পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী। বিজ্ঞাপন জগতে খ্যাতিমান এ পরিচালক এর আগে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের 'পাতাল ঘর' অবলম্বনে ছবি তৈরি করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। তারপর দীর্ঘ বিরতি।

তারপরই 'সুচিত্রা' চিত্রণ। তবে চমকের শেষ এখানেই নয়। ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার জন্য পরিচালকের কথা হয়েছে সুচিত্রা সেনের নাতনি রাইমার সঙ্গে। রাইমা জানিয়েছেন, 'আমি এখনই হ্যাঁ বা না কিছুই বলতে পারছি না। কারণ, চিত্রনাট্য এই ছবির সবচেয়ে বড় ব্যাপার।

যদি সব ঠিকমতো হয়, তাহলে এটা একটা ঐতিহাসিক ছবি হতে পারে। কারণ, ফিকশন আর নন-ফিকশন মিলিয়ে এ ধরনের ছবি এখানে আগে কেউ বানায়নি। ' ছবির চিত্রনাট্য নিয়ে এখনই কোনো কথা বলতে নারাজ পরিচালক। তিনি বলেছেন, 'আমার ছবিটি হলো বাংলা সিনেমা জগতের এক কিংবদন্তি স্টারকে নিয়ে। এটা ঠিক যে ছবিটা সুচিত্রা সেনের ক্যারিয়ারের ভিত্তিতে করতে চাই।

তবে কী স্ট্রাকচার হবে সেটা ঠিক হয়নি। চিত্রনাট্য লেখা শেষ হলে আমি রাইমার সঙ্গে দেখা করব। ' ছবিটি প্রযোজনা করতে চলেছেন 'ভূতের ভবিষ্যৎ'র প্রযোজক উজ্জ্বল সিংহ। তিনি আর সঞ্জয় অগ্রবাল যৌথভাবে ছবিটি প্রযোজনা করবেন বলে জানিয়েছেন। 'মূল গল্পটা এক সাধারণ মেয়ের বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে অনন্য হয়ে ওঠার কাহিনী।

তারপর খ্যাতির মধ্য গগনে থেকে, একটা সময় আড়ালে চলে যাওয়া। হয়ে যাওয়া ভারতের গ্রেটা গার্বো। ' জানিয়েছেন প্রযোজক সেলুলয়েডে সুচিত্রা সেনের এ ফিল্মজীবনের রূপায়ণ কীভাবে ঘটে সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলা তথা ভারতের তামাম সুচিত্রাভক্ত।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।