আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিমের রস

কোন কাইজ্জ্যার মধ্যে নাই , আম্লীগ, বিমম্পী বুঝিনা, রাজাকার দূরে যা, শিবির তোরা দূরে থাক । দেশে সুশাসন চাই । তবে দেশের বিচারপতি গন হতে হবে পাকি বিচার পতিদের মত ।

মিষ্টি আমার খুবই প্রিয় খাবার। মিষ্টি দেখলে বা মিষ্টির নাম শুনলেই আমার জিভের ডগায় পানি এসে যায়।

আমি জানি না, মিষ্টির প্রতি আমার এই অস্বাভাবিক দুর্বলতার উৎস কোথায়!
মা-বাবার মুখে শুনেছি, খুব ছোটবেলায় আমি নাকি মিষ্টি ছুয়েও দেখতাম না। তাহলে আমার এ পরিস্থিতির হেতু কি!

মিষ্টি খাওয়ার পেছনে আমার একটি গোপন স্বার্থ লুকিয়ে আছে। দীর্ঘ দিন ধরে খেয়াল করে দেখছি, আমার কথা-বার্তা, আচার-ব্যবহার কেমন যেন একটু তেতো তেতো প্রকৃতির।

বন্ধুদের অনেকে মাঝে মধ্যেই বলে, জন্মের পর তোর মুখে মধু দেয়ার পরিবর্তে নিশ্চয় তোর মা-বাবা তোকে নিমের রস দিয়েছিল। তাই আজ তোর এমন অবস্থা।



বন্ধুদের মুখ থেকে নিমের রসের কথা শুনে আমি একবার আমার মাকে বলেছিলাম, মা, তোমরা কি আমার জন্মের পর আমার মুখে নিমের রস জাতীয় কিছু দিয়েছিলে?

আমার এই কথা শুনে মায়ের রাগ যেন হঠাৎ করেই স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তিনি মুহূর্তের মধ্যে অগ্নিমূর্তির রূপ ধারণ করে আমার নরম গালে সজোরে চড় বসিয়ে বলেছিলেন, তোর মাথা-টাথা কি খারাপ হয়ে গেছে নাকি? কিসব পাগলের মতো কথাবার্তা বলিস। পড়ালেখার তো নাম-গন্ধও নেই। সারা দিন শুধু আজগুবি সব চিন্তা নিয়ে পড়ে থাকিস। যা এখনি বই-খাতা নিয়ে পড়তে বস।

আর যেন এ জাতীয় কথা কখনো তোর মুখ থেকে না শুনি।

আমার মা একটু রাগী টাইপ মানুষ। সুতরাং ওনাকে পুনরায় বিরক্ত করে চড় খাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কিন্তু মাঝে মধ্যেই আমার মনের গহিনে মনে হয়, সত্যি সত্যিই হয়তো আমাকে জন্মের পর পরই নিমের রস জাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছিল। না হলে এতো মিষ্টি খাই।

তবুও কেন আমার মুখ থেকে মিষ্টি কথা কখনো বের হয় না?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।