আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজ্ঞানে বাঙালীদের অবদান - ১

ক্ষুদ্র পরিসরের এই জীবনটাকে আমি ইচ্ছেমত উপভোগ করব। নিষিদ্ধ গলিতে প্রবেশ করে আমি শুদ্ধ হয়ে বের হব। ।

বাঙালী গণিতবিদ ও বিজ্ঞানীদের সাথে পরিচিত হবার ইচ্ছে থেকে ইন্টারনেটে কিছুটা সার্ফিং। ভাবনার আকাশে উকি দিল ধারাবাহিকভাবে এই গুনীজনদের সাথে আমার সময়টা কেমন কাটছে তা একটু শেয়ার করি।

তারই ফলাফল ধারাবাহিক এই লেখার প্রথম পর্বটি। আজ যিনি আমাদের সাথে থাকবেন তাকে বলা হয় "বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষার অগ্রদুত"। খেতাবটাই তো তাকে জানার আগ্রহ তৈরি করে দেয়!

ড. এম এ নাসের
প্রাক্তন ভিসি, বুয়েট


জন্ম ও বাল্যকাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় প্রতিষ্ঠার ঠিক ৮৯ দিন আগে মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের শ্রীনগর উপজেলার দামলা গ্রামে তার জন্ম। লোহাগঞ্জের কাজীর পাগলা এ টি ইন্সটিটিউটে তার শিক্ষা জীবন শুরু হয়। এখান থেকেই তিনি তৎকালীন ম্যট্রকুলেশন পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ন হন ১৯৩৭ সালে।



শিক্ষাজীবন
ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেন বরিশাল বিএম কলেজ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪২ ও '৪৩ সালে রসায়নে যথাক্রমে বি.এসসি(সম্মান) ও এম.এসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। এর পর তিনি পশ্চিমবঙ্গের শিবপুরে যান বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে রাসায়নিক প্রকৌশল(Chemical Engineering) পড়ার জন্য।

শিবপুরে পড়াশুনা করার সময় তিনি John Hopkins University, Baltimore, U.S.A তে কেমিক্যল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশুনার জন্য স্কলারিপ পান। অবিভক্ত ভারত থেকে তার এই স্কলারশিপ ছিল এক বিরাট অর্জন, যখন মুসলিমরা এক্ষেত্রে খুব কমই বিবেচিত হত।



১৯৫৫ সালে আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষকতা করা কালীন তিনি Nuffield Foundation এর ফেলোশীপ নিয়ে University of London এ একবছর পড়াশুনা করতে যান। ১৯৬২ সালল‌ে তিনি আবারো Columbia University,USA তে যান চার বছরের জন্য তার পিএইচডি সম্পন্ন করার জন্য। প্রথম দুই বছর পর তিনি Texan A & M এ তার পিএইচডি শেষ করেন।

ক্যরিয়ার
দেশে ফিরে তিনি প্রথমে শিল্পমন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন পরে কারিগরি শিক্ষা পরিদপ্তরে যোগদান করেন। এরকিছুদিন পরেই তিনি তার প্রিয় পেশা শিক্ষকতার দেখা পান তৎকালীন আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে(বর্তমান বুয়েট)।



১৯৭০ সালে তিনি বুয়েটের ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান, এবং তিনি স্বাধীনতার পরেও একই পদে বহাল ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বুয়েটের প্রথম সমাবর্তন সম্পন্ন করেন। এটি শুধুমাত্র বুয়েট না, বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যন্সেলর তৎকালীন প্রেডসিডেন্ট বিচারপতি আবুসাঈদ চৌধুরী ঐদিন ২২২৪ জন গ্রাজুয়েট ও ৩৯ জন পোস্ট গ্রাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান।



১৯৭৫ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যন নিযুক্ত হন এবং অবসরের আগে পর্যন্ত তিনি এই পদেই বহাল ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, খুলনার(বর্তমান কুয়েট) বোর্ড অব গভর্নরের চেয়ারম্যন হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।

অর্জন
১৯৮৭ সালে তিনি বাংলাদেশর সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানা পুরস্কার "একুশে পদক" অর্জন করেন।

১৯৮৮ সালে বুয়েটের কেমিক্যল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ তাকে আমৃত্যু প্রফেসর এমিরেটাস সম্মাননা দেয়।

একই বছর তিনি বিক্রমপুর স্বর্নপদকে ভুষিত হন।



১৯৯৫ সালে তিনি আব্দুল হাকিম বিক্রমপুরী মেমোরিয়াল মেডেল লাভ করেন।

পরবর্তীতে বুয়েটে এম এ নাসের ফান্ড চালু করা হয় বুয়েটের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার জন্য যা এখনো চালু আছে।

২০০৪ সালের ১২মে তিনি ইহজাগতিক জীবন থেকে বহু দুরের ভ্রমন শুরু করেন।

ছবিতে এম এ নাসের এর সাথে কিছুক্ষন

নিরাপদ সড়ক চাই প্রেসিডেন্ট ইলিয়াস কাঞ্চনের সাথে ড. এম এ নাসের


ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে ড. এম এ নাসের।


ড. এম এ নাসের এর সাথে চেরি ব্লেয়ার


তথ্যসুত্র:
The Daily Star

Wikipedia

munshigonj.com

ছবিগুলো নিয়েছি এখান থেকে।



খুব বেশি তথ্য যোগাড় করতে পারিনি। উপরের তিনটি লিংকেই ইংরেজিতে হুবহু একই লেখা দেখতে পাবেন একটু কম আর বেশী। আমি তারই সরল তর্জমা করলাম। ভুলত্রুটি মার্জনীয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.