আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রামে নির্বাচিত সাংসদদের গণসংবর্ধনা

শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি মাঠে আয়োজিত চট্টগ্রামের মন্ত্রী ও সাংসদদের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, “নির্বাচন হবে পাঁচ বছর পর। এর আগে কোনো সুযোগ নেই। ”

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “কিছুদিন পর উপজেলা নির্বাচন হবে। আপনাদের লোকজন নির্বাচন করবে না? তাদের থামাতে পারবেন?

“তাহলে সংসদ নির্বাচন করলেন না কেন? বেগম খালেদা জিয়া এটা আপনাদের রাজনৈতিক ভুল।

আপনি ভুলের মধ্যে থাকবেন আর অনুশোচনা করবেন। ”

বিএনপি চেয়ারপারসনের উদ্দেশে মোশাররফ বলেন, ‘‘ম্যাডাম খালেদা জিয়া এখন কি চিন্তা করছেন? উনি একূল-ওইকূল সবই হারিয়েছেন। উনি ভাবছেন আবার সংলাপ হবে, নির্বাচন হবে। ’

“আমরা পরিষ্কার বলেছি, জামায়াতকে ছেড়ে আসুন। আবার আলোচনা করব পাঁচ বছর পর কিভাবে নির্বাচন হবে।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের উন্নয়নের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে মোশাররফ বলেন, “ইনশাল্লাহ্ চট্টগ্রামবাসীর বহুদিনের স্বপ্ন কর্ণফুলীর তলদেশে ‘টানেল’ বাস্তবায়ন হবে। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মন্ত্রীরা কাজ করব। ডিসি হিলকে পূর্ণাঙ্গ পার্ক করার উদ্যোগও নেব। ”

পাশাপাশি প্রতি মাসে একদিন চট্টগ্রামে অফিস করারও আশ্বাস দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল দেশের স্বাধীনতা ও সংবিধান রক্ষা এবং ধর্মের ভেদাভেদহীন সমাজ নির্মাণের জন্য।

“যারা ভেবেছিল বিদেশি শক্তির সহায়তায় নির্বাচন হতে দেবে না, তাদের বলতে চাই বাংলাদেশ কারও পরাধীন নয়, দরিদ্র নয়। কারো মতামত নিয়ে বাংলাদেশ চলে না। ”

জাসদ নেতা মঈন উদ্দিন খান বাদল বলেন, “গাড়ির প্লাগে ময়লা জমে। ময়লা পরিস্কার না করলে গাড়ি চলবে না। জামায়াতে ইসলামীও ‘বাংলাদেশ গাড়ি’র ময়লা।

আমরা এটা পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং তা বাস্তবায়ন করব। ”

কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল, কালুরঘাট সেতুসহ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বাদল বলেন, “গত সংসদে অভিজ্ঞতা হয়েছে চট্টগ্রামের কথা বললে ফাণ্ড থাকে না। ”

ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেন।

অনুপস্থিত পাঁচজন

চট্টগ্রাম জেলার ১৬ সাংসদ এবং পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের সংবর্ধনায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও এক প্রতিমন্ত্রী ও চার সাংসদ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিলেন না।

নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাংসদদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপের মাহফুজুর রহমান মিতা, রাঙ্গুনিয়ার ড. হাছান মাহমুদ, বোয়ালখালী-চান্দাগাঁও আসনের মঈন উদ্দিন খান বাদল, সীতাকুণ্ডের দিদারুল আলম, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, বাঁশখালীর মোস্তাফিজুর রহমান, চন্দনাইশের নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও কোতোয়ালীর জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু।

 

অনুপস্থিত সাংসদরা হলেন- ডবলমুরিং আসনের আফসারুল আমীন, রাউজানের এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, পটিয়ার শামসুল হক চৌধুরী, বন্দর-পতেঙ্গার এম এ লতিফ ও ফটিকছড়ির নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি।

চার মন্ত্রীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইসহাক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, উত্তর জেলার সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল ইসলাম ও মিরসরাই উপজেলার চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন।                                                                                                                           

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের থেকে নির্বাচিত ষোল সাংসদের মধ্যে তিনজনকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.