আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন্ধী জোসনা, শিশির ফোঁটা ছুঁয়ে

আমার লেখা জুড়ে আমার ভালবাসা ছাড়া আর কিছু নেই।

মেয়েটার অনেক শিশির ফোঁটা হবার সখ। ঘাসের উপর কিংবা ফুলের উপর। ধুলার উপর না। কাদা বড় বিচ্ছিরি লাগে।

ছেলেটাও বলে, তবে আমিও হব। তোর সাথে সাথে থাকব। টপ টপ করে পড়ে মিশে যাব তোর সাথে।
- যাহ্‌ তাই হয় নাকি? তুই বরং জোসনা হ। আমার উপর কুয়াশা সরিয়ে এসে পড়বি।

কি অপূর্ব লাগবে দেখতে।
- হ্যাঁ, তাই তো? তুই জোসনা ভালবাসিস?
- অনেক।
- তবে আমি জোসনা। কিন্তু মেঘ থাকলে তখন?
- মেঘলা দিনে শিশির পড়ে না।
- যদি অমাবস্যা হল?
- তবে আঁধার হয়ে যাবি।

ঘোর আঁধার। চুপি চুপি কথা বলব, কেউ দেখবেও না। জানবেও না।
- তোকে ভালবাসতে দিবি তখন?
- ছুঁয়ে দেখিস। হাত ভেঙ্গে দিব।




ছেলেটা মন খারাপ করে থাকে। মাঝে মাঝেই বড্ড ইচ্ছে করে, একটু ছুঁয়ে দিতে। মেয়েটাও মুখ ঘুরিয়ে চোখের দিকে তাকায়। জোসনা বা আঁধার কিছু খুঁজতে চায় চোখে। এলোমেলো করে দেয়, এই আঁধার এই জোসনা।

মাথাটা আস্তে করে ঠেকিয়ে দেয় বুকে মেয়েটা। ছেলেটার বড্ড ইচ্ছে করে, শিশির ফোঁটা ছুঁয়ে দিতে। অনেক বেশিই ইচ্ছে করে। হাত দুটোতে শক্তি খুঁজে। অনেক আগেই অসাড় হয়ে গিয়েছে।

তাই কিছুই ছুঁয়ে দিতে পারে না। চোখ দিয়ে ছুঁতে পারে, হাত দিয়ে না। মেয়েটা বুকের ভিতর মুখ লুকিয়ে বলে, বুকে থাকতে দিবি? সারাজীবন মাথা রাখতে দিবি?
- দিব। ভালো তো বাসতে দিবি না।
- দিব।

একটু ছুঁয়ে দিবি?
- হাত ছাড়া কেউ ছুঁতে পারে?
- গালের সাথে গাল মিশিয়ে দে তাহলে?


গালের গালের মিশায়। মেয়েটার চোখের জল দুই গাল বেয়ে পড়ে। একটা গাল নিজের, অন্যটা ছেলেটার। আলতো করে মুছে দেয় জল ছেলেটা। শিশির ফোঁটার মত জল।

মেয়েটার শিশির ফোঁটা হবার সখ। ঘাসের উপর না, ফুলের উপর না। ছেলেটার হাতের উপর। বুকের ভিতর। ধুলার উপরও না।

কাদা বড় বিচ্ছিরি লাগে। ছেলেটার জোসনা হবার সখ। নড়বে না চড়বে না। ঠায় বসে থেকে হুইল চেয়ারে, শিশির ফোঁটা মুছবে। ভালবেসে জড়িয়ে রবে।

বাহির থেকে বলতে পারে নানা কথা লোকে। তাতে কি? শিশির ফোঁটায় জোসনা,সে হবেই। মেয়েটা যে জোসনা ভালবাসে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।