আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজমিরের আনা সাগর ও হুমায়ুন কিলা যাদুঘর! (ছবি ব্লগ)

. আমার নাইবা হলো পারে যাওয়া...

খাজা মাইনুদ্দীন চিশতি (রঃ) মাজার জেয়ারতের পর দিন জয়পুর যাওয়ার কথা ছিলো আমাদের কিন্তু কুম্ভকর্ণের সেই বিখ্যাত হাঁচি শুরু হলো। যা এক বার শুরু হলে শ'খানেক দেওয়া নাহলে থামেনা। আর এতে বেচারা বিছানায় পড়ে থাকে। কি আর করা বেচারা থাকলো বিছানায় আর আমি এমনি কিছুখন এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ালাম।
পরদিন গেলাম আনা সাগর ও দৌলতবাগ দেখতে।

দৌলতবাগের গেট দিয়ে না ঢুকে আনা সাগরের কাছে গিয়ে রিক্সা থামালাম। বাগের কিছু সামান্য নমুনা ছাড়া আর কিছুই নেই।


এই সেই বিখ্যাত আনা সাগর বা লেক।

রাজস্থানের পাহাড়ী অঞ্চল আজমিরে পানির অভাব ছিলো বরাবর। উচ্চশ্রেনী ও ব্রাহ্মনদের জন্য মহারাজা পৃথ্বিরাজ চৌহান এই লেক তৈরী করেছিলেন।









লেকের পাড় এমনি শ্বেতপাথরে বাধানো।



আর সুরোম্য প্রাসাধ সাদৃশ্য ছোট ছোট কুঠিরিতে সাজানো। যেগুলো এখন ছিন্নমুল মানুষের দিবানিদ্রার স্থল।





কবুতরের ঝাঁক গম খাওয়ায় ব্যাস্ত!



আনা সাগর দেখার পর রওনা হলাম আকবরী কিলা দেখতে। পথের ধারে স্বর্ণ মহল পড়লো।

বাইরে থেকেই দেখলাম। গরমে কাহিল হয়ে ভেতরে যেতে আর ইচ্ছে করেনি।





আকবরী কিলা আসলে ছোট খাট একটি যাদুঘর। যার কয়েকটি ঘরে সে আমলের কিছু নিদর্শন আছে। বাকি সব দরজা বন্ধ।


প্রধান ফটক পার হয়েই হাতের ডান দিকে এই ছোট কামানটি নজরে পড়লো।





এখানেও অসংখ্য কাঠবেড়ালি চোখে পড়লো।





যাদুঘরে রক্ষিত সম্রাট হুমায়ুনের ছবি।



পাহাড়ের উপর আজমির শহর!



সেই সময়ের পানির মটকা!


আকবরী যুগের অস্ত্র-শস্ত্র!











অসংখ্য পুরোনো মুর্তির সংগ্রহও আছে সেখানে। আছে পেইন্টিং!




আপাতত এই পর্যন্তই থাক! আগামীতে অন্য কোনো জায়গায় নিয়ে যাবো আপনাদের।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.