আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩দিন, ১০দিন, এক চিল্লা, ৩ চিল্লা আল্লার রাস্তায় বেরুনো কি কুরআন-হাদিসে পাওয়া যায়?



৩দিন, ১০দিন, এক চিল্লা, ৩ চিল্লা আল্লার রাস্তায় বেরুনো কি কুরআন-হাদিসে সম্মত? এইভাবে সময় সময় নির্দিষ্ট করলে কুরআন ও হাদিসের দলিল থাকা দরকার নয় কি? শুধু মাত্র জানার উদ্দেশ্যেই এই পোষ্ট

যেমনঃ

এক মাস রোজা রাখা- "রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর"। -সূরা বাকারাহ'র ১৮৫ তম আয়াত।



সোম ও বৃহঃস্পতি বার রোজা রাখা-
আহমদ ইবন বাককার (রহঃ) আর সালামা ইবন আব্দুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ) -এর কাছে গিয়ে বললাম, হে চাচা! রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনাকে যা বলেছিলেন তা আমাকে বলুন। তিনি বললেন, হে আমার ভ্রাতূষ্পুত্র, আমি দৃঢ় সংকল্প করেছিলাম যে, আমি অত্যধিক পবিশ্রম করব, এমনকি মনে মনে বলেছিলাম যে, আমি অবশ্যই সারা জীবন সাওম পালন করব এবং প্রত্যেক দিবা রাত্রে একবার কুরআন খতম করব। এ খবর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কানে ফেললে তিনি আমার কাছে আসলেন এবং ঘরে প্রবেশ করে বললেন যে, আমি শুনেছি - তুমি নাকি বলেছ যে, আমি অবশ্যই সারা জীবন সাওম পালন করব এবং সারাক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করব? আমি বললাম, ইয়া রাসুলল্লাহ! আমি অবশ্যই বলেছি। তিনি বললেন, তুমি এরুপ কর না বরং তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সাওম পালন করবে।

আমি বললাম, আমি তো এর চেয়েও অধিক সাওম পালন করার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তাহলে তুমি প্রত্যেক সপ্তাহে দুই দিন সাওম পালন করবে সোমবার এবং বৃহষ্পতিবার-। আমি বললাম, আমি তো এর চেয়েও অধিক সাওম পালনের সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তাহলে তুমি দাঊদ (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ন্যায় সাওম পালন করবে। কেননা সেটাই আল্লাহ তাঁআলার নিকট সর্বোত্তম সাওম।

একদিন সাওম পালন করবে আর একদিন সাওম ভঙ্গ করে ফেলবে। আর দাঊদ (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন ওয়াদা করতেন তা পূর্ণ করতেন আর যখন শক্রর মুখোমুখী হতেন পলায়ন করতেন না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সুনানে নাসাঈ | অধ্যায়ঃ ১৭/ সাওম (রোজা)| হাদিস নাম্বার: 2395

৩৩ বার সুবহান আল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪ আল্লাহু আকবর বলা-
নামায শেষে ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ্‌ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্‌ ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ১ বার বলবে, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরিকাওলাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি সাইয়িন কাদীর"
[মুসলিম, ১২৪০]


গননার মাস ও সম্মানিত মাসঃ
" নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না।

আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন"। (At-Tawba: 36)

সালাতের সময়ঃ সূরা আল আ’রাফ (মক্কায় অবতীর্ণ)
(০৭:২০৫) অর্থ- আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে (ফজর) ও সন্ধ্যায় (মাগরিব)। আর বে-খবর থেকো না।
সূরা হুদ (মক্কায় অবতীর্ণ)
(১১:১১৪) অর্থ- আর নামায প্রতিষ্টা কর দিনের দুই প্রান্তেই (ফজর ও আছর) এবং রাতের নিকটবর্তী অংশে (মাগরিব ও ইশা); প্রকৃতপক্ষে সৎকর্ম অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক।




সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.