আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামীলীগ সরকার আরও কিছু বছর ক্ষমতায় থাকলে কি মাইন্ড করবেন?২০৩০ সাল পর্যন্ত?ব্যক্তিগত ভাবনামূলক কিছু কথা

Hope

(মোস্তাক খসরূ ভাইয়ের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় সে পোস্টে যে কমেন্ট দিলাম তা পোস্টাকারে দিলাম। যদি ধরেন আওয়ামীলীগের বিজ্ঞাপন দিচ্ছি তাহলে ব্যাপারটা তাই)

আওয়ামীলীগ নিরবিচ্ছিন্ন গণতন্ত্র উপহার দেওয়ার উদাহরণ দেখাতে পারসে সেটা অবশ্যই নজর কাড়ছে। নিরবিচ্ছিন্ন গণতন্ত্র কি তা পরিস্কার ধারনা নিয়ে এগিয়ে গেলে ব্যাপারটা সহজ হয়। নিরবিচ্ছিন্ন গণতন্ত্রের জনপ্রতিনিধি থাকলে দেশ স্হানীয় সরকারে(গ্রাম,ইউনিয়ন,উপজেলা,জেলা)শক্ত হবে>স্হানীয় সরকার শক্ত হলে জাতীয় পর্যায়ে(সমগ্রদেশ)সামগ্রিক শক্তি অর্জনে প্রভাব পড়বে>আর একচেটিয়াভাবে জাতীয়পর্যায়ের শক্তিশালী অবস্হাটায়(মানে পুরো বাংলাদেশ)একদিন বিশ্বের বুকে দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রভাবশালী হতে সাহায্য করবে। এগুলো একটার পরে একটা প্রক্রিয়া এবং সবগুলোই একটা আরেকটার সাথে সম্পর্কিত।

সাম্প্রতিক উন্নত হওয়া দেশগুলোর দিকে তাকান তাহলেই ব্যাপারটা নজরে পড়বে যা এতদিন চোখের সামনেই ঘুরঘুর করত কিন্তু এক করতে পারেন নি। আপনি বললেন ১০ বছর কিন্তু আমার মতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন সরকার এদেশে থাকা দরকার!কথাটা অনেকেই বিভিন্নভাবে নিলেও ব্যাখ্যাটা করি,আওয়ামীলীগ দেশের একমাত্র গণতন্ত্রকামী দল যা ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাস রেখে কে হিন্দু কে মুসলিম এসব না করে কে মানুষ কে জন্মগতভাবে বাংলাদেশী তার হিসাব রাখে। আগে পরে যুগের প্রয়োজনে অন্যদলগুলোও এনীতিতে চলে আসবে বিশ্বাস করেন বা নাই করেন। এমনকি সব রাজনৈতিক আদর্শ বিলুপ্ত হয়ে আওয়ামীলীগে এসে মিশে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। বর্তমানের বিশ্বায়নের প্রভাবিত বিশ্বব্যবস্হাতে বাংলাদেশ একযুগ আগেই ঢুকে গেছে।

বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতার এযুগে একচেটিয়া ইমেজ বা নিজের পরিচয়ে বাঁচা ছাড়া উপায় নাই। এখানে দেশের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। তাই বর্তমানের এই কঠিন দুনিয়াতে তিনটি বিষয়ে যদি আমরা শক্ত না হই তাহলে এজাতির ম্যাচুরিটি আসবেনা ততদিন। এই তিন ভিত্তি হল অধিক শিক্ষার হার,সৎ পথে তৈরী মাজা(কোমড়)শক্ত অর্থনীতি,মাজা শক্ত সামরিক বাহিনী। নাইলে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন চুক্তির বেড়াজালে বন্দি করে এমন সব প্রস্তাব দিতে থাকবে যা হয়ত জনগণের অনিচ্ছাস্বত্ত্বেও সরকার এড়িয়ে যেতে পারবেনা।

কিন্তু এগুলো আসবে একমাত্র নিরবিচ্ছিন্ন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। কিন্তু জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের বাইরে সামরিক শাসন,একনায়কতন্ত্র,কম্যুনিজম বা অন্য কোন অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্হা দেশকে রুগ্ন করবে। তাহলে অর্থনীতিও দূর্বল হয়ে যাবে আর দূর্বল হবে সামরিক বাহিনী। আরও টান পড়বে শিক্ষা,যাতায়াত,বিদ্যুত খাতে। এককথায় বললে নিরবিচ্ছিন্ন গণতন্ত্র মানে সংবিধানঅনুসারে জনগণের ভোটে নির্বাচিত আমি,আপনি বা আমার,আপনার ভাইব্রাদার,পরিচিতজনদের মধ্য থেকে ভোটের মাধ্যমে(৫ বছর পর পর)জিতে আসা জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে তৈরী সরকার যা চিরদিন,মানে দুনিয়ারশেষদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্ষমতায় বহাল থাকবে।

অন্যদিকে একনায়কতন্ত্র,সামরিক সরকার,তত্বাবধায়ক সরকার এগুলো কোনভাবেই একসেকেন্ডের জন্যেও এলাউড না।

গত দুইটা বিশ্বযুদ্ধ হইসিলো ক্যাপিটালিজম আর কমিউনিজমের মধ্যে অর্থাৎ অর্থনৈতিক ইস্যু নিয়া। এখন অনেকেই শংকা করেন যে "তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যদি লাগে তবে তা হবে ধর্ম নিয়া লাগবে এবং তাতে প্রাণহানি আগেরগুলোর চেয়ে আরও বেশী বেশী হবে। আর এমন যুদ্ধ লাগলে তা এই উপমহাদেশেই লাগবে আর প্রাণহানি খুব বেশী হবে এবং আমরা সবাইই নিজেদের আপনজনদের হারাবো। " -হতেই পারে সেরকম অস্বাভাবিক কিছুনা(গত শতাব্দীতে ১৯১৪ সালেই প্রথমবিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল এবং কাকতালীয়ভাবে এ উপমহাদেশেই অনেকে হিটলার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে)।

কিন্তু এগুলাসহ অন্যান্য সম্ভাব্য সকল বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে যেন বাইরের কোন আঘাত এখানে এসে না পরে। আর এসবের জন্যে যে জিনিষটি আমাদের মত মিশ্র জাতির সবচেয়ে বেশি দরকার তা হল শক্তিশালী আর প্রভাবশালী সরকার। গণতন্ত্রের উপর বিরক্ত লোকজন যেজিনিষটাতে পয়েন্ট করার চেষ্টা করেন তা হল গণতন্ত্রে দূর্নীতি হয় বেশী তাই আর্মিশাসন ভালো। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা তা না কারণ এই ডেমোক্রেসীতে জনগণের সার্বিক উন্নতি হয়,দূর্নীতি ধীরে ধীরে কমে যায়। এটি যে উন্নতিটা দেবে তা আর্মিশাসনে একেবারেই সম্ভব না।

গণতন্ত্রে দূর্নীতি হবেই। কেউ যদি গণতান্ত্রিক সরকার না থাকার বুদ্ধি দেয় বাংলাদেশকে তাহলে বুঝতে হবে তার মনে শয়তানী বা ধান্দা আছে। একটু দেরী হলেও এর সুফল পাওয়া যায়। একলাফে যেমন দশসিঁড়ি বেয়ে ওঠা সম্ভব না ঠিক তেমনি।

যদি তেমন সিচ্যুয়েশন দাঁড়ায় তবে আমাদের এমন প্রস্তুতি নিতে হবে যেন বাংলাদেশের উপর কিছু এসে না পড়ে আর পড়লে যেন শক্তভাবে ঠেকানো যায়।

এরজন্যে নিজের পরিচয়ে বাঁচতে হবে। বিশ্বযুদ্ধে দেখা গেসে যুদ্ধবাজ দেশগুলো নিজ থেকে জড়িয়ে বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করে যেমন জার্মানী,জাপান ইত্যাদি। কিন্তু যেসকল রাষ্ট্রে জনগণের মধ্যেই সুস্হ গণতন্ত্রের চর্চা ছিল যেমন ফ্রান্স,ব্রিটেন তারা কিন্তু নিজ থেকে জড়ায়নি বরং তাদের আঘাত করে জড়িয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। এসকল দেশ যুদ্ধ আসলে আক্রান্তদেশে অস্ত্র,খাদ্য,ঠিকাদারি,চিকিতসাসহ যাবতীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজ করে যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে মোটাঅংকের মুনাফা বেশী নিয়ে আসে। বাংলাদেশকেও সিদ্ধান্ত হবে এসব দেশের কাতাড়ে নিজেকে শামিল করতে হবে নাকি উগ্রবাদী,রুগ্ন,অসুস্হ দেশের কাতাড়ে নিজেকে জড়িয়ে জনগণের অনিচ্ছা স্বত্তেও তাকে বিপদে ফেলা হবে।

অনেকেই সাম্প্রদায়িক দিক থেকে পয়েন্ট আউট করতে চায় যে হিন্দুদের এদেশ থেকে ভারতে চলে যেতে হবে তাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ হবে। ব্যাপারটা কিন্তু তা না বরং এতে দেশের জন্যে ক্ষতিটায় হবে বেশি। কারণ একটা সমাজে সবধরনের জিনিষ থাকাটায় সবচেয়ে ভালো অপশন এতে ঘর থেকেই সবকিছুর ব্যাপারে আমাদের ধারণা ক্লিয়ার হবে,দেশ হবে শক্তিশালী আর বিদেশ থেকে কষ্ট করে শিখতে হবেনা। ব্যাপারটা স্কুললেভেলে কৃষিশিক্ষায় বাস্তুসংস্হান যেমন পড়ছিলেন একেবারেই তাই। তো এতে লাভটা কি হবে?লাভ হবে গণতন্ত্র নিয়ে চর্চা করার সুযোগ পাবো।

এখন গণতন্ত্র আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে?গণতন্ত্রের চোরচাট্টার চেয়ে সামরিক বাহিনীর সৎ শাসন ভালো ভাবছেন?ভাবছেন হিটলার,সাদ্দাম,এরশাদের একনায়কতন্ত্র ভালো?তাইলে দূর্নীতি থাকবেনা আর দেশ শক্ত হবে?

যারা এমনটা ভাবেন তারা আসলেই রাষ্ট্রযন্ত্র সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা রাখেন না। শাসনব্যবস্হায় একনায়কতন্ত্র,সমরতন্ত্র,কম্যুনিজম কিংবা জনগণের প্রতিনিধিত্বহীন সরকারব্যবস্হা রুগ্নব্যবস্হা ছাড়া আর কিছুই না যা উপর থেকে যাই অনুভূত হোক না কেন ভেতরে ভেতরে ইনডিভিজ্যুয়ালি জনগণের ক্ষতিটায় করে বেশি!আর জনগণের অবনতি মানেই দারিদ্র্যতা আর দেশের ক্ষতি। তাই সাম্প্রদায়িক ছদ্মাবরনে কিংবা সাম্প্রদায়িক উস্কানীদেওয়া দলগুলোকে দেশের ক্ষমতায় আসতে দেওয়ার একেবারেই প্রয়োজন নেই।


প্রতিটা মহাদেশ বা অঞ্চলেই একটা মাতৃরাষ্ট্র(যেমন উত্তর আমেরিকায় ইইউএসএ,লাতিন আমেরিকার মত গরীব মহাদেশেও ব্রাজিল,এশিয়ায় চীন,অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে অস্ট্রেলিয়া....তবে ইউরোপে একটু ভিন্ন যে ঐখানে সবাই ম্যাচিউর)থাকে। এদের পিছনে আবার ঐসব মহাদেশেই প্রতিদ্বন্দী আরেকটা দেশ থাকে যেমন এশিয়ায় ভারত,মধ্য এশিয়ায় জাপান,দ:কোরিয়া,ভিয়েতনাম,উত্তর আমেরিকায় কানাডা,ওয়েস্ট ইন্ডিজ,মেক্সিকো।

মাতৃরাষ্ট্র ধরনের দেশগুলা ঐ অঞ্চলে আর কিছুতে(শিক্ষা,অর্থনীতি,সামরিক শক্তি এগুলার মধ্যে) থাক বা না থাক অর্থনীতি আর সামরিক শক্তি এদুইটা জিনিষ দিয়ে আশেপাশের অন্য দেশগুলো থেকে এত ধরাছোয়ার বাইরে থাকে যে তারা রীতিমত অন্যদের নেতা হয়ে বসে।


তো দক্ষিণ এশিয়াও এর ব্যতিক্রম কিছুনা। এখানে ইন্ডিয়া ঐধরণের মাতৃরাষ্ট্র হওয়ার ধান্দায় আছে। থাক তবে এক বনে দুই বাঘ থাকেনা। এখানেও ইন্ডিয়ার লাথিগুথা খেয়ে নেপাল,শ্রীলংকা,ভূটানকে থাকতে হয়।

এখন ঐসব দেশের মত অবস্হানে কি বাংলাদেশকে দেখতে চান?বাংলাদেশকে এখন ডিসিশন নিতে হবে ঐসব দেশের মত বাজে পরিস্হিতিতে চলে যেতে হবে নাকি নিজ পরিচয়ে দাঁড়াতে হবে। এজন্যেই গণতান্ত্রিক সরকার দরকার। আর আওয়ামীলীগ একটা খাঁটি জনপ্রতিনিধি দিয়ে তৈরী দল যার লক্ষ্য সামাজিক ভেদাভেদের উর্ধে উঠে জনকল্যান। সেই পঞ্চাশের দশক থেকে আওয়ামীলীগ আছে এবং আওয়ামীলীগ থাকবে চিরকাল। পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জাতিকে একত্র করে যুদ্ধ জেতা দল দেশের ভেতরেও বিরোধীদের সাথে রাজনীতি করে টিকে থাকবেই।

এসব দল কখনও ধ্বংস হয়না। সবদেশেই এমন দল থাকে তবে সবদেশে এভাবে টিকে থাকতে পারেনা। সেটা নির্ভর করে সেসব দেশের মানুষ কেমন। বাংলাদেশে টিকে আছে মানে বাংলাদেশের মানুষ গোল্লায় যায় নাই। অতএব স্বপ্ন দেখতে বাঁধা কোথায়?ভূটানে এখনও রাজাশাসন চলে,নেপালে গণতন্ত্রের জন্ম হইসে ১৫ বছরও হয়নাই কিন্তু মাওবাদীদের হামলায়(শিবির,জেএমবি)যা আছে তা রুগ্ন গনতন্ত্র,শ্রীলংকাতে এখনও রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার আর সেখানে সদ্য তামিল টাইগার থেকে মুক্ত হইসে তারা এবং খুব গরীব।

পাকিস্তানের খবর তো পানই নিয়মিত। একনায়কতন্ত্র,সামরিক সরকার,তত্বাবধায়ক সরকার,কমিউনিসম এসবদেশের মেরুদন্ডে ক্যান্সারের মত হয়ে গেসে মানে জনগণের রক্তে ঢুকে গেসে যা থেকে চাইলেও বেড়িয়ে আসা যাবেনা এখন। কিন্তু ভারত,ইউরোপীয় দেশ,যুকরাষ্ট্র,কানাডা?কয়দিন গদিতে জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোন সরকার বসছে?উত্তর একদিনও না। এসবদেশে কখনও সামরিক শাসন আসেনা এবং কখনও আসবেওনা। শুধুজনগনের ক্ষমতায়ন করেই ওরা আজ দুনিয়ার বুকে ক্ষমতাবান।

ওদের বুদ্ধি আছে বলেই ওরা সামরিক শাসন,কমিুনিজম,একনায়কতন্ত্র এসবকে সযত্নে ক্ষমতার বাইরে রাখে। অন্যদিকে বাংলাদেশে '৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত এবং এরপরে ১৯৯০ থেকে গণতন্ত্র নিরবিচ্ছিন্ন থাকলেও ২০০৭ থেকে ২০০৮ পুরাটায় ডিস্টার্বড হইসে,যদি বলেন দূর্নীতি কমসে তাইলেও বলব রাষ্ট্রযন্ত্র আহত হইসে,যা হইসে নিজের আত্মসম্মান নিয়া বাংলাদেশ পরিচিত হয়নাই। আরও সহজ করি। আপনি পছন্দমত একটা উন্নতদেশ বেছে নেন। দেখেন সেখানে বিরোধীদলের কর্মসূচী কিভাবে চলে!সেখানে এত বিপ্লব,বিদ্রোহ,হরতাল জ্বালাওপোড়াও মানুষের গায়ে আগুন লাগিয়ে ভয় লাগিয়ে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঘরে বসিয়ে রাখার নীতি নাই।

আছে ঐ নেপাল,ভুটান,ইন্ডিয়া,পাকিস্তানের মতন দেশে। বরং যা আছে তা হল রাস্তায় দাঁড়িয়ে ব্যানার ফেস্টুন সহকারে প্রতিবাদ যা সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করা। এখন বাংলাদেশকেও ডিসিশন নিতে হবে এমন পর্যায়ে চলে যাওয়ার জন্যে। যেখানে খাইয়াফেলামু,দেইখা নিমু ধরনের চিন্তাধারা বিলুপ্ত হয়ে জনগন ও দেশের প্রয়োজনে সরকার ও বিরোধীদল একটেবিলে বসবে এবং ৫ বছর পরপর ভোট হবে। আগের বিরোধীদলে থাকা বিএনপিকেই দেখেন,তারা আওয়ামীলীগের পদ্মাসেতু ইস্যুতে জনগণকে এক করতে পারত।

কিন্তু তা তারা করতে পারেনি। কিন্তু তত্বাবধায়ক ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত ছিল যার সাথে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক নাই যেমন সম্পর্ক দূর্নীতি বিষয়ে আছে। উল্টা কি দাঁড়ালো?বিএনপি প্রতিসপ্তাহে ৬ দিন হরতাল দেবে এটা জনগণকে অঘোষিতভাবে অলরেডী জানিয়ে দিয়েছিল,হরতালে মানুষ মরবে আর দিনশেষে বিএনপিরে বিপদে ফালাইতে লীগ মানুষ মারসে এটা প্রচার করে বেড়াবে নিজেদের তৈরী পারসোনাল নিউজব্লগগুলোতে। আর সাধারণ মানুষ বেকুব তাই এসবে বিশ্বাস করবে। আসল কথা হল সাধারণ মানুষ যখন মরবেই জানো তখন হরতাল,অবরোধ ডাকো কেন?কেন শত্রুদের সুযোগ করে দেবে তোমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার?কেন নতুন কোন আন্দোলন পদ্ধতি নয়?

যাই হোক,২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের নতুন চমকজাগানিয়া কিছু ঘটনা আওয়ামীলীগকে এদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সাহসী দলে পরিণত করে যারা বিদেশীশক্তিকে অন্যান্য দলের তুলনায় চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে।

বর্তমানে বাইরের দেশগুলোর মধ্যে বিএসএফের বর্ডারকিলিং আমাদের সাথে সবচেয়ে বড় সংঘাত। এসব থেকে বাঁচতে দরকার শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। প্রয়োজনে বড়শক্তিগুলোর সাথে কৌশলী নিরাপত্তাচুক্তি করে ভারতকে ধমক দেওয়ার যোগ্যতা ও সাহসও আওয়ামীলীগের আছে। মায়ানমারের বিরুদ্ধে সমুদ্রবিজয়,তিস্তার পানির ন্যায্যচুক্তিতে মমতার আপত্তিতে বাংলাদেশেরও প্রবেশ করতেই মুখের উপর মনমোহনকে না বলে দেওয়া জাতির কাছে একটি নতুন আশাপ্রদ ইমেজ নিয়ে এসেছে। এছাড়াও পাকিস্তানকে ৭১ এর গণহত্যার জন্য ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণ চাইতে বলা এবং ডি-৮ এর আমন্ত্রণ বাতিল করে দেওয়া নি:সন্দেহে দূর্দান্ত সাহসিকতার পরিচয় রাখে যা নতুনভাবে আওয়ামীলীগকে জাতির সামনে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এবং যা বিএনপি জামায়াতের কেউই কখনও না ভারত না পাকিস্তান কাউকে কখনও ধমক দেওয়ার নজির স্হাপন করতে পেরেছে।

যেহেতু মায়ানমারের বিরুদ্ধে সমুদ্রজয় সম্ভব হয়েছে তাই এবছরই ভারতের বিরুদ্ধে সমুদ্রসীমা জয় নি:সন্দেহে আওয়ামীলীগের কাছ থেকে আশা করা যায়। বিদেশী শক্তিগুলোর লবিংয়ের পরেও কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিতে পারা আর পাকিস্তানের মাথা খারাপ হয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ক্ষমতা বাড়িয়েছে। আর এটাকে যদি আমরা শুরু হিসেবে বিবেচনা করি তাহলে পরবর্তীধাপ নিয়ে ভাবতে প্রবলেম কই?

তাই নিরবিচ্ছিন্ন গণতন্ত্রের বিকল্প নাই যাই হয়ে যাক না কেন!আর যুগের এসব চাহিদাপূরণে ধর্মনিরপেক্ষ,গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগই একমাত্র অপশন!আগে গণতন্ত্র

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.