আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মধুর খেলা।

নিজেকে চেন।

জামাত ছাড়লে BNP'র কোনো অস্তিত্বই থাকবেনা সেটা তারা ভালো করেই জানে। কারণ জামাতের হাতেই BNP'র জিয়ন কাঠি, মরণ কাঠি। আমরা যতই মুখে ফেনা তুলি কিন্তু BNP কখনই জামাত ছাড়বেনা।

বছরের পর বছর জোটবদ্ধ হয়ে তারা দেশ বিরোধী যত ষড়যন্ত্র, অপকর্মসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু তৈরী করতে অবৈধ অর্থের লেনদেন করেছে এর প্রতিটি সাক্ষী, প্রমানে জামাতিরা এখন "তা" দিচ্ছে, সব প্রমান জামাতের হাতে রক্ষিত আছ।

কাজেই জামাত সমর্থনের প্রশ্নে BNP একচুলও এদিক সেদিক নড়তে পারবেনা।

দেশী, বিদেশী চাপে যখন জামাতিদের বিরুদ্ধে ন্যুনতম কিছু না বললেই নয়, তখন বেগম জিয়া জামাতিদের মৃদু ভাষায় ধমক দিয়ে দেন, তাও জামাতিদের অনুমতি নিয়েই। অনেকটা উট পাখির বালিতে মুখ লোকানোর মতই, যেন কেউ কিছু দেখছেনা! সে এক মধুর খেলা।

জামাতের পাশে থাকা নিয়ে গত পরশু ফকরুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা জামাতিদের সাথে তাদের চুক্তিরই অংশ, জামাতি অনুদান পকেটে ঢুকিয়ে চুক্তির বরখেলাপ করলে জামাতিরা সেটা বরদাস্ত করে না, ক্ষেত্র বিশেষে চুক্তি ভঙ্গকারীকে বোমা মারতেও দ্ধিধা করেনা। এর ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই, ৫/৬ মাস আগে দৈনিক আমদের সময়ের সম্পাদক নাইমুল ইসলামের গাড়িতে জামাত বোমা হামলা করে, নাইমুল ইসলাম অল্পের জন্য বোমা খাওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছিলো, হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তাকে অনেকবার প্রাণনাশের হুমকিও দেয় জামাত, এরপর থেকে দৈনিক আমাদের সময়ের কোন ভুল হয়নি, মোক্ষম সময় গুলোতে তারা জামাতের পক্ষে আস্থার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

সেক্ষেত্রে জামাতের সাথে BNP'র পল্টি দেয়ার ফলাফল কি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। কিছু দিন আগে '' সময় এলেই জামাত ছাড়ার কথা ভাববে" বিয়েনপির এমন মন্তব্যে বাঁশেরকেল্লার আস্ফালন আমরা দেখেছি, তারা পারেনি কেবল বেগম জিয়াকে বাঁশেরকেল্লায় ডেকে এনে ঝুলিয়ে দিতে। কাজেই দলের অস্তিত্বের জন্যই BNP কখনো চাইবেনা জামাতকে ছেড়ে যেতে কিংবা জামাতকে ক্ষেপিয়ে তুলতে। তাছাড়াও দেশী-বিদেশী অনেক জঙ্গি সংগঠনের আশির্বাদপুষ্ট হয়ে তাদের নেক নজরে আছে জিয়া পরিবার। এই মুহুর্তে তারা নির্বাচন পরবর্তী প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে, তবে সাংগঠনিকভাবে সবকিছুই তাদের পরিকল্পনা মাফিক চলছে, এখন তাদের দরকার শুধু জনসম্পৃক্ততা, সেটা প্রপাগান্ডা দিয়েই হোক কিংবা ধোঁকা দিয়ে, কিছু যায় আসেনা।

সামনে আসছে বিয়েনপি শাসনামলের দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়, রাজাকার সাইদীর রায়ের শোনানি, অবশ্যই তারা পানি ঘোলা করে সেই সুযোগটা নিতে চাইবে...ওরা যে কিভাবে কি করবে তার ধারণা আমরা বিগত দিন গুলোতে পেয়েছি, কাজেই এবার তাদের নতুন কিছু ভাবতে হবে, সেটাই দেখার অপেক্ষায়.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।