আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২ বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন

রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই দুটিসহ মোট ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

১৩ প্রকল্পে মোট খরচ হবে ৯ হাজার ১১০ কোটি টাকা, যার মধ্যে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা যাবে দুটি বিদ্যুৎ প্রকল্পে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের সরকার বিদ্যুৎ খাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে। ”

আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। ২০১৬ সালের মধ্যে উৎপাদন ১৬ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্যও ঠিক করেছে।

একনেক সভায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরো একটি কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি কেন্দ্র রয়েছে।

নতুন কেন্দ্র স্থাপনের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে চায়না ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক (আইসিবিসি) এর কাছ থেকে ১ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা বায়ার্স ক্রেডিট হিসেবে পাওয়া যাবে।

২০১৭ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যে গৃহীত এই প্রকল্পে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৬৪৮ কোটি টাকা এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি)তহবিল ২০৪ কোটি টাকা যেগান দেয়া হবে।

অনুমোদিত দ্বিতীয় বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের আমনুরায়। দুই বছরের মধ্যে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।

এই প্রকল্পে হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) ৮৯৩ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দেবে। এতে সরকার ও পিডিবির অর্থায়ন যথাক্রমে ১৪৬ কোটি ও ৭৫ কোটি টাকা।

এছাড়াও খুলনায় প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ৫৫ কোটি টাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের অন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক।

মুস্তফা কামাল বলেন, অনুমোদিত ১৩টি প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ৩ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেয়া হবে। বাকি ৫ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য থেকে মেটানো হবে।

সভায় অনুমোদিত অন্য ১০টি প্রকল্প হচ্ছে- সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট (মোট ব্যয় ৩৪০১ কোটি টাকা), ইনোভেটিভ ম্যানেজমেন্ট অব রিসোর্সেস ফর পোভার্টি এলিভেশন থ্রো কম্প্রিহেনসিভ টেকনোলজি (ইমপেক্ট) প্রজেক্ট (৩৮ কোটি টাকা), লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (১৮০ কোটি টাকা), কনস্ট্রাকশন অব স্মল ব্রিজেজ/কালভার্টস (আপ টু ১২মি লং) এন চিটাগাং হিল ট্র্যাকস রিজিওন প্রজেক্ট (১৩৩ কোটি টাকা), বৃহত্তর ময়মনসিংহ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ( ৪৪৪ কোটি টাকা), জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় চারটি সেতু নির্মাণ (১৫২ কোটি টাকা)।

৩৭টি জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্প (৭৫৪ কোটি টাকা), বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের আশুগঞ্জ-আখাউড়া সেকশনের ৩টি স্টেশনের সিগন্যালিং ও ইন্টারলকিং ব্যবস্থার প্রতিস্থাপন ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প (৪০ কোটি টাকা), বাংলাদেশ রেলওয়ের খুলনা রেলওয়ে স্টেশন ও ইয়ার্ড রিমডেলিং এবং বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের অপারেশনাল সুবিধাদির উন্নয়ন প্রকল্প (৭৬ কোটি টাকা), এবং মির্জাপুর (গড়াই)-সখিপুর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (৩৬ কোটি টাকা)।

শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ অন্যান্য মন্ত্রী, উপদেষ্টা, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।