আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অ্যাজমার চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তি

আমি মিথ্যাকে, অন্যায়কে সহ্য করতে পারি না । তাই আমি স্পষ্টবাদী

অধিকাংশ শিশুদের বাবা মায়েদের ধারণা শিশু বড় হলে বা সাঁতার কাটা শিখলেই অ্যাজমা সেরে যাবে। তাই তারা বাচ্চাদের সঠিক চিকিৎসা করেন না। এতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেরে যায় বটে কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্রনিক হয়ে সারা জীবন ভোগ করতে হয়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা রোগীর পারিবারিক ইতিহাস ও অন্য লক্ষণগুলো দেখে বলে দিতে পারেন যে এটা সেরে যাবে না ক্রনিক হবে।

আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা গেছে যে ১২ বছর বয়সের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ বাচ্চাদের একেবারে সেরে যায়, একতৃতীয়াংশ বাচ্চাদের আগের মতোই থাকে আর বাকি এক তৃতীয়াংশ বাচ্চাদের আগের তুলনায় বেশি ভুগেন।

আবার অনেকে ইনহেলার ব্যবহার করতে চান না, অনেকে মনে করেন এটা শেষ চিকিৎসা বা একবার ব্যবহার শুরু করলে সারাজীবন ব্যবহার করতে হবে- এটাও সঠিক নয়। ইনহেলার পদ্ধতি হলো সরাসরি কাজ করে, ওষুধ কম লাগে, অল্প সময়েই কাজ করে এবং পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও কম, এটা সবার জন্য সর্বাধিক কার্যকর। শিশুদের জন্য স্পেসারের মাধ্যমে দিতে হয়।

অ্যাজমা যেহেতু এলার্জি জনিতরোগ তাই এলার্জি দ্রব্যাদি পরিহার করলেই অনেকটা সুফল পাওয়া যায় তাই এলার্জি বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে এলার্জি পরীক্ষা করা দরকার।

ঘরের পুরান ধুলাবালু ও মাইট এলার্জি হচ্ছে অ্যাজমার অন্যতম এলার্জি। তাই মাইট প্রুফ বিছানার ও বালিশের কভার ব্যবহার করলে এলার্জির আক্রমণ অনেকটা কমে যায়। অনেক ডাক্তাররা ভ্যাকসিন বা ডিসেনসিটাইজেশন পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না, তাই তারা এ পদ্ধতি সম্পর্কে রোগীদের নিরুৎসাহিত করে থাকেন। বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এ ভ্যাকসিন পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এমনকি বাংলাদেশেও। যদিও আজ প্রায় ৮০ বছর ধরে ভ্যাকসিন বিভিন্ন দেশে প্রচলিত এবং এক এক দেশে এক একভাবে প্রয়োগ করা হয় এবং কোনো সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা ছিল না, তাই ভ্যাকসিন বা অ্যালার্জেন ইমুনোথেরাপি ব্যবহারের দিক নির্দেশনা তৈরির জন্য ১৯৯৭ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সারা বিশ্বব্যাপী অ্যালার্জি, হাঁপানি ও ইসুনোথেরাপি সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থা যথা আমেরিকান একাডেমি অব অ্যালার্জি, অ্যাজমা এন্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলোজি, ইউরোপিয়ান একাডেমি অব এলারগোলজি

এন্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলোজি, জাপানিজ সোসাইটি অব এলারগোলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি এন্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিস একত্রিত হয়ে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী দ্রব্যাদি বা অ্যালার্জেনের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক মূলক

অ্যালার্জেন ইমুনোথেরাপি বা ভ্যাকসিনের ব্যবহারের দিক নির্দেশনা তৈরি করেন।

অ্যালার্জি জনিত হাঁপানি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস ও অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস এর ক্ষেত্রে এ ভ্যাকসিন কার্যকারী বলে অভিমত

প্রকাশ করেন। অ্যালার্জি ভ্যাক-সিন চিকিৎসাতে মারাত্দক কোনো পাশর্্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

লেখক : ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, শহীদ সোহরাওয়ার্দী

মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ফোন : ৮১২৯৩৮৩

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।