আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা টু সিলেট...... ( মুকুন্দপুর, স্টেশন নং-২৬)

এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।

ঢাকা টু চিটাগাং রেল লাইন ধরে হাটা শেষ করেছি।

পরবর্তি পরিকল্পনা ছিল ঢাকা টু সিলেট রেল লাইন ধরে হাটার । আখাউড়া স্টেশনের আগে তিতাস নদীর কড্ডা ব্রিজ পর্যন্ত ঢাকা টু চিটাগাং আর ঢাকা টু সিলেটের একই রুট হওয়ায় আমি সিলেটের পথে হাটা ধরেছি আসলে তিতাস নদীর কড্ডা ব্রিজ থেকে। আর কড্ডা ব্রিজের আগে যতগুলো স্টেশন আছে সেগুলোও আমি গননায় আনবো। সুতরাং আমার ঢাকা টু সিলেট প্রথম পোষ্টই হবে ঢাকা টু সিলেট ২৪তম স্টেশন। তারপর ২৫..২৬......এভাবেই ক্রমান্বয়ে সিলেট পর্যন্ত যতগুলো স্টেশন গনণা হয়ে যাবে।



আমার হাটার ধরণ তো আপনাদের জানাই আছে। আমি এক ষ্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানগুলোর ছবি দিব এবং প্রতি ষ্টেশনের জন্য একটা করে পোষ্ট । এতে করে স্টেশনের নাম এবং সংখ্যাটা ও হিসেব হয়ে যাবে ।

আমাদের হাটার ধরণঃ- সারাদিন রিলাক্স মুডে রেল লাইন ধরে হাটব, সন্ধ্যায় গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরে আসব । এই সপ্তায় যেখানে আমার হাটা শেষ হবে আগামী সপ্তায় সেখান থেকে হাটা শুরু করবো এবং আবারো সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসব ।

এভাবেই পর্যায়ক্রমে আমি সিলেট এর দিকে অগ্রসর হব এবং যতদিন না আমি সিলেট পৌছতে পারি । প্রতি সপ্তাহে হাটা আমার দ্বারা সম্ভব হচ্ছে না, তাই সিলেট পর্যন্ত কবে গিয়ে পৌছব এখনো জানি না, বলতে পারেন অজানা গন্তব্য

স্টেশনের অবস্থানঃ এটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার অন্তর্গত একটি স্টেশন ।

(২) মেরাসানী স্টেশন পার হয়ে আমরা এগিয়ে চললাম সিলেটের দিকে।


(৩) দু'জন মাছ শিকারি জাল নিয়ে চলছে গন্তব্যে।


(৪) একটা ব্রীজের উপর খেলছে কিছু স্কুল ছাত্রী।




(৫) পানিতে ডুবে আছে দুটি মহিষ।


(৬) সামনে দীর্ঘ পথ, আর আমাদের কাজ শুধুই এগিয়ে চলা।


(৭) রাস্তার পাশে ফুটে থাকা কালকসুন্দার বা কালকসিন্দা ফুল।


(৮) ছুটে আসছে যান্ত্রিক অজগর।


(৯) ব্যস্ত কৃষক।




(১০/১১) ল্যান্টানা গুলে প্রজাপতি।



(১২) পথ যত দীর্ঘই হোক, এমন চোখ ধাঁধাঁনো সবুজ আপনাকে ক্লান্ত হতে দেবে না।


(১৩) এই ফুলটির নাম দাঁতরাঙ্গা, এইগুলো সাধারণত পাহাড়ি এলাকায়ই দেখা যায়।


(১৪) সবুজ ভেদ করে ছুটে আসছে একটা ট্রেন।


(১৫) এই ফুল আর ফলের নাম আমি জানিনা নিশ্চিৎ।




(১৬) এক ঝাক সাদা বক।


(১৭) এই ফল ও ফিলের নাম আমি জানতাম, কিন্তু এখন ার মনে পড়ছে না।


(১৮) লজ্জাবতি ফুল, ভালোবাসার ফুল নাকি পাথরেও ফুটে


(১৯) ধর্ম জাল দিয়ে মাছ ধরছে এক মাছ শিকারি।


(২০) রেল লাইনের পাশেই মুকুন্দপুর যুদ্ধক্ষেত্র।


(২১) সামনে খুব কাছেই পরবর্তি স্টেশন আর বাম দিকে অল্প আগেলেই মুকুন্দপুর বর্ডার গার্ডের আস্তানা।




(২২) ঐ তো সামনেই পরবর্তি স্টেশন।


(২৩) এক সময় আমরা পৌছে গেলাম পরবর্তি স্টেশন মুকুন্দপুরে।


আগের পর্বঃ ঢাকা টু সিলেট...... ( মেরাসানী, স্টেশন নং-২৫)
পরবর্তি পর্ব হবেঃ ঢাকা টু সিলেট...... ( হরষপুর, স্টেশন নং-২৭)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.