আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিত্যপণ্য আনতে ভারতের সঙ্গে চুক্তির সিদ্÷

নিত্যপণ্য আমদানি করতে ভারতের সঙ্গে চুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই চুক্তির ফলে পাশর্্ববর্তী দেশটি থেকে সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্যে চাহিদা অনুযায়ী পিয়াজ, মসুর ডাল, ছোলা, আদা-রসুন ও মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আনা যাবে। চুক্তিটি হবে মূলত দুই দেশের সরকারি ট্রেডিং কোম্পানির মধ্যে। তবে এই চুক্তির আওতায় বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ীরাও পণ্য আমদানি করতে পারবে। ভারতের রাষ্ট্রীয় ট্রেডিং করপোরেশন (এসটিসি)-এর সঙ্গে এ ধরনের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের ব্যাপারে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর বোর্ড সভায়। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে সংস্থাটি। সূত্র জানায়, গত বছরের আগস্ট মাসে ভারতে পিয়াজের দাম ঊধর্্বমুখী হতে শুরু করলে তার প্রভাব পড়ে স্থানীয় বাজারে। ভারত নিজের দেশের বাজার সামলাতে পিয়াজের রপ্তানি মূল্য প্রথমে টনপ্রতি ৬০০ ডলার ও পরে ৯০০ ডলারে উন্নীত করে। এর ফলে দেশের বাজারে পণ্যটির দাম কেজিতে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের আওতায় টিসিবি কর্তৃক পিয়াজ, মসুর ডাল, ছোলা, আদা-রসুন ও মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য 'জি টু জি (সরকার বা সরকারি সংস্থা ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান)' ও 'জি টু বি (সরকার বা সরকারি সংস্থা এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান)' পদ্ধতিতে আমদানি সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ডিসেম্বরে ভারত সফর করে। সফরে প্রতিনিধি দল ভারতের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ দেশটির রাষ্ট্রীয় ট্রেডিং করপোরেশনের (এসটিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিত্যপণ্য আমদানির ব্যাপারে আলোচনা করে। ওই আলোচনায় ভারতের এসটিসি বাংলাদেশে নিত্যপণ্য রপ্তানি অব্যাহত রাখতে টিসিবির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তাব দেয়। জানা গেছে, পিয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত সরকারের সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য এবং ডাল ও ছোলা রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এসটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব বিষয় এমওইউ-তে অন্তর্ভুক্ত করে উভয় সরকারের অনুমতিক্রমে চুক্তি করলে আর সমস্যা থাকবে না। তখন চুক্তির আওতায় চাহিদা অনুযায়ী পণ্য নিতে পারবে বাংলাদেশ।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কোনো চুক্তি নেই। চুক্তিটি সই হলে বছরের যে কোনো সময় চাহিদা অনুযায়ী নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারবে টিসিবি। এ ক্ষেত্রে কোনো পণ্যে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চুক্তির আওতায় পণ্য দিতে বাধ্য থাকবে ভারত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.