আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই নষ্ট শহরে নাম না জানা যে কোন মাস্তান: মেরিনা ইয়াসমিন, হেড অফ নিউজ এন্ড ইনফরমেশন, যুক্তরাষ্ট্র দুতাবাস ঢাকা

স্বাগতম

লেখার শিরোনামে "মাস্তান" শব্দটা দেখে ভড়কে যাবেন না। কারন নগর বাউল জেমসের একটি গান আছে "আমি দিওয়ানা, আমি মাস্তানা"।
এই গানটা মেরিনা আপার প্রিয় গানগুলির একটি।

মেরিনা ইয়াসমিন যুক্তরাষ্ট্র স্টেস্ট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ (যুক্তরাষ্ট্র দুতাবাস ঢাকা) এর হেড অফ নিউজ এন্ড ইনফরমেশন। প্রথম আলো পত্রিকার ডেপুটি এডিটর ও গদ্য কার্টুন লেখক আনিসুল হক তার স্বামী।

গত রবিবার, ২ ফ্রেব্রুয়ারী ২০১৪ ইং ইয়াসমিন আপার জন্য পদার্থ বিজ্ঞান ও সাইকোহিস্ট্রি নিয়ে আমার প্রকাশিত গবেষনা বই (Prime Radiant da Luxuries Physics: Hatashe's Hypothesis and the Principle Mathematics of Applied Psychohistory) পাঠালাম। বইটি পেয়ে তিনি অফিস থেকে বের হয়ে আসলেন।

তার সাথে বেশ কিছুক্ষন কথা বললামঃ আনিসুল হককে আগে আমি চিনতাম না আপা।
কথা বলে মনে হল ভুলই হয়ে গেল।
পরক্ষনে বললামঃ না মানে, তার গদ্য কার্টুন পড়তাম মাঝে মাঝে।

অফিসে আপনার ইমেইল পেতাম তো, তাই আপনার পরিচয় খোজ করতে গিয়ে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে দেখলাম ম্যারিড টু আনিসুল হক। এবং জানলাম উনি বেশ জনপ্রিয় লেখক।
ম্যারিনা আপা বললেনঃ আচ্ছা, আনিসুলকে আমি আপনার বইটা দিয়ে দেব।
আরো কিছুক্ষন কথা বলেছিলাম।


ছবি: স্বামী আনিসুল হক এর সাথে মেরিনা ইয়াসমিন।



মেরিনা ইয়াসমিন মিডিয়া ব্যাক্তিত্য কিনা আমি জানি না, কারন তাকে চেনার আগে আনিসুল হকেও আমি জানতাম না।
কিন্তু বাংলাদেশে ছোট-বড় বিভিন্ন এনজিও, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যন্য যে সব প্রতিষ্ঠান যাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্র দুতাবাস ঢাকা কাজ করে সেখানে মেরিনা ইয়াসমিন একটি পরিচিত নাম। কারন তাদের কাছে নিয়মিত যে বার্তাগুলি যায় সেখানে লেখা থাকে; মেরিনা ইয়াসমিন, হেড অফ নিউজ এন্ড ইনফরমেশন, যুক্তরাষ্ট্র দুতাবাস ঢাকা, বাংলাদেশ।

অনেকে তার পরিচয় জানেত চায়, তার বয়স কত, তিনি কি বিবাহিত, কিংবা তার স্বামী কে? এমনও হয়েছে যে যখন তারা জেনেছে তার স্বামী আনিসুল হক। তখন অনেকে ক্লান্ত বোধ করেন কারন তারা আশা করেছিলেন তার স্বামী হয়তো কোন প্রভাবশালী ড়িপ্লোমেট কিংবা কংলোম্যারেট ম্যাগনেট হবেন।



মুলত, মেরিনা ইয়াসমিন আনিসুল হক স্যারের চেয়ে জনপ্রিয় একজন ইনফরমেশন সেলিব্রেটি এবং অনেক ক্ষমতাবান একজন নারী। যদিও তুলনা করা ঠিক নয় তবুও বোঝার জন্য বলতে হলে স্টেস্ট ডিপার্টমেন্টের এই প্রকারের অফিসাররা আমাদের মন্ত্রীদের পদমর্যাদা হয়তো পান না কিন্তু তারা তাদের চেয়েও বেশী ক্ষমতা রাখেন অনেক সময় যা তারা নিজেও হয়তো অনুধাবন করতে পারেন না।

সুতরাং কেউ যদি সৌভাগ্যক্রমে তার সাক্ষাত পেয়ে যান কখনো তবে সাবধানে বুঝে-শুনে কথা বলবেন নতুবা বাসায় ফিরে বা অফিসে গিয়ে দেখলেন আপনার নামে একটা কম্পেলেইন তৈরী হয়ে গেছে। আবার তাকে সামনে পেয়ে ভয়ে বা বিব্রত হয়ে এড়িয়ে যাওয়াও ভাল কোন কাজ হবে না।

যাইহোক, তিনি (মেরিনা ইয়াসমিন) রুবাবা দৌলা মতিন (গ্রামীন ফোনের মার্কেটিং হেড় ছিলেন) এর মত ফ্যাশন ফ্যাশনেবল প্রফেশনাল নারী নন, বরঞ্চ তিনি বাংলাদেশী গ্রাম-বাংলার সংস্কৃতিমনা নারীদের মতই একজন।

তিনি অনেক ভাল আর মিশুক মানুষ। তার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।


ছবি: মেরিনা ইয়াসমিন (বামে), হেড অফ নিউজ এন্ড ইনফরমেশন, যুক্তরাষ্ট্র স্টেস্ট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র দুতাবাস ঢাকা!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।