আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসামির বদলে ভাড়ায় জেল খাটছে অন্যলোক

আশরাফুলের বদলে সাজু নামে সাজু নামে অপর ব্যক্তি এখন কারাগারে রয়েছেন।

এক চুরির মামলার প্রধান আসামি হিসেবে গত বুধবার রাতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার সোনারপাড়া গ্রামের তার বাড়ি থেকে আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, নথি ঘাটতে গিয়ে পুলিশ দেখে তার নামে আগে মাদক মামলা ছিল। আর তাতে সাজাও হয়েছে। ফলে তার এ সময় কারাগারে থাকার কথা।

তাই আরো খোঁজ নিতে আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে ওর সাজা সাজুকে দিয়ে খাটানোর কাহিনি।

২০০৮ সালে ১০৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আশরাফুল।

এরপর জামিনও পান তিনি। গত ২৭ জানুয়ারি গোবিন্দগঞ্জে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটির রায়ের দিন তার হাজির হবার কথা ছিল।

আশরাফুলকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, তার হয়ে আসামি হিসেবে হাজির করতে ‘আদালতের মোহরা জয়নাল মিয়ার’ পরামর্শে একই এলাকার সাজু নামের এক ব্যক্তিকে ১৭ হাজার টাকায় ভাড়া করেন আশরাফুল।

আশরাফুল সেজে আসামি হিসেবে ২৭ জানুয়ারি আদালতে সাজু হাজির হন।

সাজুকে বোঝানো হয়েছিল এ মামলায় কোনো সাজা হবে না। বরং আদালতের কাঠগড়ায় উঠলেই তার জামিন মিলবে।

কিন্তু সেদিন আদালত আশরাফুলকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়। আর তাতে আশরাফুলের বদলে জেলে যেতে হয় সাজুকে।

এদিকে চুরির মামলায় আশরাফুল বুধবার রাতে ধরা পড়ার পর এ ঘটনাটি গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মো. মোফাজ্জেল হোসেনের নজরে আসে।

গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, “পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। ”

এ ঘটনায় আদালতের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে আশরাফুল পরিচয়ে হাজিরা দেয়ার অভিযোগে সাজুসহ মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এবং মোহরার বিরুদ্ধে পুলিশ একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আগামী রোববার আদালতে এ ঘটনায় মামলা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.