আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘সম্পত্তি প্রতিবেদনের পেছনে বদিউল’

বৃহস্পতিবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ হাসিনার নতুন সরকারে বাদ পড়া এই নেতা আরো অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছ থেকে সুজন সম্পাদক বদিউল গবেষণার জন্য ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “তিনি (বদিউল) কয়েক বছর আগে নির্বাচন কমিশন থেকে গবেষণার নামে ৬০ লাখ টাকা নিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন এই টাকা ফেরত নেয়ার ব্যবস্থা করুক, দুদক অনুসন্ধান করুক। ”

তিনি আরো বলেন, “বদিউল আলম মজুমদার ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলে আত্মীয়দের পাশ কাটিয়ে তার শ্বশর-প্রদত্ত বাড়ি দখল করে আছেন, এটা তার পারিবারিক ব্যাপার। ”

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একমাত্র এনজিও হিসেবে নির্বাচনের কাজ পায় সুজন।

এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে নয় লাখ এবং কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে কাজ করার জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ পায় এনজিওটি।

“তবে পরবর্তীতে অন্যান্য এনজিও’র আপত্তির মুখে জাতীয় নির্বাচনে ইসি থেকে সুজনকে আর কোনো কাজ দেয়া হয়নি। ”

নিজের সম্পদ মাত্র ৪০ ভাগ সম্পদ বেড়েছে দাবি করে মহীউদ্দীন বলেন, “এটা এক হাজার ১৩৫ ভাগ নয়। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ঠিক নয়।

“আমার জ্যেষ্ঠপুত্র জালাল আলমগীর দুই বছর আগে মারা গিয়ে তার সম্পদ আমাকে পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে গেছে।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সাবেক এই মন্ত্রীর সম্পদের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তা বদিউল আলম মজুমদারের সরবরাহ করা বলেও দাবি করেন মহীউদ্দীন আলমগীর।

হলফনামায় দেয়া নিজের সম্পদের তথ্য নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের সমালোচনা করেন চাঁদপুরের সংসদ সদস্য মহীউদ্দীন আলমগীর।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের নাম ধরে তিনি বলেন, “এরা মিথ্যাচার করেছে। এরাই হলো সেই সংবাদপত্র যারা এক-এগারোকে সমর্থন করেছিল।

“এসব সংবাদপত্র স্বৈরতান্ত্রিক সরকার নিয়ে আসতে চেয়েছিল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় তৎপরতা চালিয়েছিল। ”

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাববধায়ক সরকার আমলে দুর্নীতির দায়ে ১৩ বছর কারাদণ্ড হয়েছিল আওয়ামী লীগ নেতা মহীউদ্দীন আলমগীরের। পরে উচ্চ আদালতের রায়ে ওই সাজা বাতিল হয়ে যায়।

বক্তব্য দেয়ার সময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াকে দুইবার ‘ডেপুটি স্পিকার’ সম্বোধন করেন মহীউদ্দীন আলমগীর।

এনিয়ে ডেপুটি স্পিকার বলেন, “যখন যিনি সংসদ অধিবেশন পরিচালনা করেন, তিনি স্পিকার।

ডেপুটি স্পিকার আর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য যিনি হোন না কেন তাকে স্পিকার হিসাবেই সম্বোধন করা হয়।

এর জবাবে মহীউদ্দীন আলমগীর বলেন, “আপনাকে দুইবার ডেপুটি স্পিকার বলেছি, আপনি ‘কুপিত’ হয়ে থাকলে দুঃখ প্রকাশ করছি। ”

সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজনও রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তারের আলোচনায় অংশ নেন।

এর পরপরই ডেপুটি স্পিকার সংসদ অধিবেশন আগামী রোববার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মুলতবি করেন।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.