আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তবু শঙ্কা ক্রিকেটপ্রেমীদের ****

গত মাসে দুবাইতে আইসিসির সভা নিয়ে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না। ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া প্রস্তাব দিয়েছিল টেস্টে দ্বিস্তর পদ্ধতি চালু করতে। কিন্তু বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা বিরোধিতা করায় সে সভা প্রস্তাবেই ওঠেনি। তিন দেশ তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় দ্বিস্তর পদ্ধতি বাতিল হয়ে যায়। প্রস্তাব পাস হলে সবচেয়ে বিপদে পড়তে হতো বাংলাদেশকে। কেননা তিন দেশের প্রস্তাব অনুযায়ী টেস্ট র্যাংকিংয়ে নবম ও দশম নম্বরে থাকা দলকে খেলতে হতো ইন্টার-কন্টিনেন্টাল কাপ। অর্থাৎ যাকে রেলিগেশনই বলা যায়। এ অবস্থায় বাংলাদেশে টেস্ট স্ট্যাটাসই হুমকির মধ্যে পড়ে যেত। এ নিয়ে দেশে ক্রিকেটপ্রেমীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। শঙ্কামুক্ত হওয়ায় তাদের মধ্যে এখন স্বস্তি নেমে এসেছে।

বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও বারবার আশ্বাস দিয়েছেন, যে শঙ্কাটা ছিল তা দুবাই বৈঠকে শেষ হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশ বরং আরও বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে। তার পরও মনে যখন ভয় ঢুকে গেছে তিন দেশের মনোভাব নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারছেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা। পাপনের কথা মতে আজ সিঙ্গাপুরে আইসিসির সভায় দ্বিস্তর নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। এর সব কিছু আগেই বৈঠকে শেষ হয়ে গেছে। আইসিসির সভা নিয়ে অনেকে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনে ফোন করে তাদের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড আবার সিঙ্গাপুরে নতুন করে চাল খাটাতে চাইবে কি না, তা-ই আমাদের দুশ্চিন্তা। মূলত আজ যে সভা হবে সেখানে প্রাধান্য পাবে থ্রি-বিগের অন্যান্য প্রস্তাব। গত বৈঠকে নয়টি বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। সেগুলো চূড়ান্ত করতেই সিঙ্গাপুরে সভা ডাকা হয়েছে। এগুলো পাস হলে বাংলাদেশের ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে পাপন এর বিরোধিতা করেননি। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা এসব প্রস্তাবের কোনোভাবেই পক্ষে যাবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং পক্ষ আর বিপক্ষ নিয়ে আজকের সভাটি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। এদিকে আবার দ্বিস্তরবিশিষ্ট টেস্ট খেলার প্রস্তাব বাতিল হলেও নতুন প্রস্তাবে র্যাংকিংয়ে ১০ নম্বর দেশকে খেলতে হবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। তবে এতে কোনো দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কারণ হারলেও টেস্ট খেলুড়ে দেশের কোনো অবনমন হবে না।

বিসিবির সাবেক এ সহসভাপতি জানান, পাপন মিডিয়াকে বারবার বলছেন বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা কেটে গেছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো কীভাবে? কারণ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, টেস্ট র্যাংকিংয়ে ১০ নম্বর দেশকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল খেলতে হবে সহযোগী দেশের সঙ্গে। বাস্তবে যদি তাই হয় তাহলে আমরা কী পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত থাকব। আসলে শেষ পর্যন্ত কী হয় তা এখনো বলা মুশকিল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.