আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনি আল্লাহর কাছে কিছু চাচ্ছেন? কিন্তু দোয়া কবুল হচ্ছেনা? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।

মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায় , কারণে অকারণে বদলায়

ইসলাম নিয়ে কোন পোস্ট দিলে অনেক মুসলিম ভাই শিবির মনে করেন। আরে ভাই ইসলাম কি শিবিরের বাপের সম্পত্তি বলুন? দয়া করে শিবির এবং ইসলাম ২ টাকে মিশিয়ে ফেলবেন না। ইসলাম এক পরিপূর্ণ জীবন বিধান। এ ধর্মের মূল স্তম্ব ঈমান। যদি কেউ বিশ্বাস করেন আল্লাহ এক, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ সঃ আল্লাহর প্রেরিত রসুল তাহলে সে মুসলমান।



ধর্মের কথা বললেই কেউ শিবির হয়ে যায়না আবার কেউ শিবির না করলে নাস্তিক হয়ে যায়না। আমি শিবির করিনা। শিবির দেখতেই পারিনা। কিন্তু আমি ঈমান মান এনেছি। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি।

তাহলে কি আমি নাস্তিক? এদেশের ৮৫ % মুসলমান। সবাই কি শিবির? এমন অনেক লীগ আছেন যারা খুব ধার্মিক। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। হজ্ব করেছেন। কোরান পড়েন।

ছেলে মেয়েদের কোরান শিক্ষা দেন। তারা কি করে নাস্তিক হয়?

যারা আল্লাহতে বিশ্বাস করেন তারাই শুধু এই পোস্টটি পড়ুন। ইনশাআল্লাহ দোয়া কবুল হবে। আমরা যখন আল্লাহর কাছে কিছু চাই তখন আমাদেরকে ৩ টি জবাব দেনঃ

১) ঠিক আছে আমি তোমার দোয়া কবুল করলাম
২) ঠিক আছে তোমার দোয়া কবুল করলাম তবে এখন নয় আরও পরে এবং দোয়া কবুল হওয়া তখনই তোমার জন্য মঙ্গলজনক হবে।
৩) তুমি আমার কাছে যা চাচ্ছ আমি তোমার জন্য তার চেয়েও উত্তম কিছু রেখেছি।



খেয়াল করবেন আল্লাহ কিন্তু না বলেন না।

মানব কল্যাণের জন্য জন্য আল্লাহ যুগে বহু নবী রসুল প্রেরণ করেছেন। সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর জীবন আদর্শ মেনে চললে ও তাঁর উপর নাজিল কৃত মহান আল কোরানে দেওয়া দিক নির্দেশনা গুলো মেনে আখিরাত তো অবশ্যই দুনিয়াতেও নিশ্চিত ভাবে সফল হওয়া যায়। তবে ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার জীবনের চেয়ে পরকালকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

দুনিয়ার সমস্যা গুলোর সমাধান, দোয়া কবুল হওয়ার জন্য ও আখিরাতে উত্তম ফল লাভের জন্য আল্লাহর জিকির ও তার রসুল সঃ এর উপর দরুদ ও সালাম জানানো খুব ফলপ্রসূ।

নিচের আমলটি করে আমার জীবনের বহু সমস্যা সমাধান হয়ে এবং আল্লাহ দোয়া কবুল করেছেন। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে তার শক্তি সামর্থ্য সম্পর্কে পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে নিচের আমলটি করলে দোয়া কবুল হয়ে। পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

রাতের শেষ তৃতীয়াংশে ওযু করে পবিত্র হয়ে দুই রাকাত সালাতুত তওবার নামাজ পড়ে ও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েঃ

১০০ বার সুবাহানাল্লা ( আল্লাহ পবিত্র)
১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ ( সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য)
১০০ বার আল্লাহু আকবার ( আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ)
১০০ বার ইয়া ওয়াহহাব ( আল্লাহ সবকিছু দানকারী)
১০০ বার আসতাগফিরুল্লাহ ( আমি আমার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি)
১০০ বার দোয়া ইউনুছ তথা লা ইলাহি ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইনি কুন-তু মিনাজ জোয়ালেমিন ( আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, আল্লাহ পবিত্র মহান , আমি তো সীমা লঙ্ঘনকারী )
১০০ বার আল্লাহর মহান রসুল সঃ এর উপর ১০০ বার দরুদ পড়ে দোয়া করলে ইনশাআল্লাহ দোয়া কবুল হবে।

আল্লাহ আপনার সমস্যা সমাধান করে দিবেন।


এই আমল গুলো নিয়মিত করল, নিয়মিত নামাজ পড়লে ও প্রতিদিন অন্তত কোরান থেকে ৫ টি আয়াত অর্থ সহ তেলোয়াত করলে আল্লাহ আপনার ঈমান বাড়িয়ে দিবেন। ঈমানকে বাড়াতে বাড়াতে আল্লাহ এমন পর্যায়ে আপনাকে নিয়ে যাবেন যে, দুনিয়ার কাউকে আপনি পরওয়া করবেননা সবকিছুতেই একমাত্র আল্লাহর উপরেই ভরসা করবেন।

জেনে রাখুন কিছু গুরুত্ব পূর্ণ জিনিস। কোন সময় কি বলতে হবে এবং সেগুলোর বাংলা অনুবাদ।




আল হামদুলিল্লাহ: আল হামদুলিল্লাহ শব্দের অর্থ, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। যে কোন সুখবর বা ভালো অবস্থা সম্পর্কিত সংবাদের বিপরীতে সাধারণত এটি বলা হয়ে থাকে। যেমন ভাই আপনি কেমন আছেন? জবাবে বলা উচিত, আল হামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।

ইনশাআল্লাহ: ইনশাআল্লাহ শব্দের অর্থ, মহান আল্লাহ যদি চান তাহলে। ভবিষ্যতের হবে, করবো বা ঘটবে এমন কোন বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলা সুন্নত।

যেমন ইনশাআল্লাহ আমি আগামী কাল আপনার কাজটি করে দিবো। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ মুমিনদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছেন।

মাশা আল্লাহ: মাশা আল্লাহ শব্দের অর্থ, আল্লাহ যেমন চেয়েছেন। এটি আল হামদুলিল্লাহ শব্দের মতোই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অর্থাৎ যে কোনও সুন্দর এবং ভালো ব্যাপারে এটি বলা হয়।

যেমন, মাশা আল্লাহ তুমি তো অনেক বড় হয়ে গেছো।

সুবহানাল্লাহ: সুবহানাল্লাহ শব্দের অর্থ আল্লাহ পবিত্র ও সুমহান। আশ্চর্য জনক ভালো কোন কাজ হতে দেখলে সাধারণত এটি বলা হয়ে থাকে। যেমন সুবহানাল্লাহ! আগুনে পুরো ঘর পুরে গেলেও কুরআন শরীফ অক্ষত আছে।

নাউযুবিল্লাহ: নাউযুবিল্লাহ শব্দের অর্থ, আমরা মহান আল্লাহর কাছে এ থেকে আশ্রয় চাই।

যে কোনও মন্দ ও গুনাহের কাজ দেখলে তার থেকে নিজেকে আত্ম-রক্ষার্থে এটি বলা হয়ে থাকে।

আসতাগফিরুল্লাহ: আসতাগফিরুল্লাহ শব্দের অর্থ আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। অনাকাঙ্ক্ষিত কোন অন্যায় বা গুনাহ হয়ে গেলে আমরা এটি বলবো।

ইন্নালিল্লাহ বা ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রা-জিউন: অর্থ, নিশ্চয়ই আমরা মহান আল্লাহর জন্য এবং আমরা তার দিকেই ফিরে যাবো। যে কোনও দু:সংবাদ বা বিপদের সময় আমরা এটি বলবো।



লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ: অর্থ; মহান আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তা ছাড়া আর কোন আশ্রয় ও সাহায্য নেই। শয়তানের কোন ওয়াসওয়াসা বা দুরভিসন্ধিমূলক কোন প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য এটি পড়া উচিত।

কারো সাথে দেখা হলে- হাই, হ্যালো না বলে বলুন- আস সালামু আলাইকুম (আপনার উপর মহান আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক)
কেউ আপনার কোন উপকার করলে- তাকে থ্যাংক ইউ না বলে বলুন- জাযাকাল্লাহ খায়রান (মহান আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন
কারো কাছ থেকে বিদায় নেয়ার সময়- টা টা না বলে বলুন- আল্লাহ হাফেজ (মহান আল্লাহ সর্বোত্তম হিফাজতকারী) অথবা ফি আমানিল্লাহ।



পোস্টটি আপনি নিজে পড়ুন আপনার পরিচিত সবাইকে পড়ান। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি আল্লাহ তোমার কোন বান্দা যদি তোমার শক্তিতে বিশ্বাস করে এই আমলটি করে তুমি তার দোয়া কবুল করে নিও।

পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করবেন। যদি একজন মানুষও এই আমলটি করে কল্যাণের ও আলোর পথে আসে তাহলে মন্দ কি?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.