আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেট বেড়ানো

সুরমা নদীর তীর থেকে সিলেট বাংলাদেশের উওর-পূর্বে অবস্থিত একটি প্রাচীন জনপদ । জৈন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য, জাফলং এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, ভোলাগঞ্জের সারি সারি পাথরের স্তূপ পর্যটকদের টেনে আনে বার বার। আরো আছে, দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক জলপ্রপাত মাধবকুন্ড। শাহজালাল (র.) আর শাহপরাণের (র.) মাজার জিয়ারতের জন্যও এখানে দেশ বিদেশ থেকে বহু পর্যটক আসেন। সিলেট শহরে এসে প্রথমেই হযরত শাহজালাল (র.) এবং হযরত শাহপরাণ (র.)-এঁর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে শূরু করতে পারেন সিলেট ভ্রমন ।

তিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীদের পদচারণায় মাজার প্রাঙ্গন মুখরিত থাকে। এই মাজারের উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে গজার মাছ, জালালী কবুতর, জমজমের কূপ ও ঝরনা, ডেকচি, হযরত শাহজালালের ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, চিল্লাখানা ও দরগাহ শরীফ। সিলেট শহরেও আছে বেড়ানোর মতো নানা জায়গা। সিলেটের অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান হলো ক্বীন ব্রীজ। সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থলেই এই ব্রীজটি অবস্থিত।

ব্রীজটি এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক পর্যটক ভিড় জমান। সিলেট শহরের মির্জাজাঙ্গালে অবস্থিত মনিপুরী রাজবাড়ী প্রাচীন স্থাপত্য কীর্তির অন্যতম নির্দশন। এখনও ধ্বংস স্ত্তপের মতো টিকে থাকা স্থাপনাটি এ বাড়ীসহ সিলেটে বসবাসরত মনিপুরী সম্প্রদায়ের গভীর শ্রদ্ধা-ভক্তির স্থান। এ ভবনের নির্মাণ শৈলী সিলেট অঞ্চলের কৃষ্টি-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এককালের প্রভাবশালী রাজা গম্ভীর সিং এর স্মৃতিধন্য এ বাড়িটি আজ অবহেলিত ও বিলীন প্রায়।

বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে প্রকৃত ভবন হারিয়েছে তার স্বকীয়তা। বাড়ীর সুপ্রাচীন প্রধান ফটক, সীমানা দেয়াল, মনোহর কারুকাজের সিড়ি ও বালাখাঁনার ধ্বংসাবশেষই বর্তমান মনীপুরী রাজবাড়ীর স্মৃতি সম্বল। এয়ারপোর্ট রোডের পর্যটন পার্ক দেখতে যেতে পারেন। যাওয়ার পথে দেখতে পাবেন দেশের সবচেয়ে প্রাচীন চা বাগান মালনীচড়া ও লাক্কাতুড়া চা বাগান, অপরূপ সাজে সজ্জিত যা আপনার চোখে ও মনে প্রশান্তি এনে দিবে । শহরের মধ্যে রাজাদের যাদুঘর ও ওসমানী স্মৃতি যাদুঘর দেখে যেতে ভূলবেন না ।

হাতে একটু বেশী সময় নিয়ে এলৈ যেতে পারেন গোলাপগঞ্জ রোডে হিলালপুর নামক জায়গায় ড্রীমল্যান্ড পার্কে । বিভিন্ন ধরনের রাইড ছাড়াও কৃত্রিম লেকে প্যাডলবো চালিয়ে আ অনেক মজা পাবেন । সব মিলিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিলেট ভ্রমনে আসলে ভ্রমনের আনন্দ আরও অনেকগূন বেড়ে যাবে । সিলেটরে যেসব দর্শনীয় জায়গায় গেলে আপনাদের ভাল লাগবে তার মধ্যে রয়েছে প্রথমেই জাফলং । প্রাকৃতিক, নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা দর্শনীয় স্থান সিলেটের জাফলং।

এটি পর্যটকের প্রধান আকর্ষণ। সৌন্দর্য আর আকর্ষণ নিয়ে সিলেটের খাসিয়া পাহাড়ের কোলে জাফলং তার নৈসর্গ নিকেতন সাজিয়েছে। পিয়াইন ও সারি নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পাথরের সাম্রাজ্য। চারদিকে শুধু বিচিত্র রঙ্গের পাথর। স্বচ্ছ হিমেল পানির উপর থেকে নদীর নিচে বালি দেখা যায়, যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

ভারত সীমান্তে রয়েছে ডাউকি ব্রিজ। এছাড়া জাফলং-এ রয়েছে গভীর অরণ্যাঞ্চল। খাসিয়াদের বসবাস এখানে। মাচার ওপর ছোট ছোট ঘরগুলো দেখতে বড়ই সুন্দর। আছে পান বরজ।

সিলেট জেলা সদর থেকে জাফলংয়ের দূরত্ব প্রায় ৫৬ কিলোমিটার। এটি গোয়াইনঘাট উপজেলা সীমান্ত ঘেঁষা অঞ্চল। জাফলংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে পাথর আর বালু। এক সময় সেখানে ছিল সবুজ বনানী, পানের বরজ ও সুপারি বাগান। জাফলংয়ের পাশেই রয়েছে তামাবিল স্থলবন্দর।

এ তামাবিল হয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং যেতে হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর জাফলং একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হিসেবে আত্দপ্রকাশ করে। প্রতিবছর শীত মৌসুমে হাজার হাজার নারী-পুরুষ পিকনিক করতে আসেন সিলেটের জাফলংয়ে। বাংলাদেশের বৃহত্তম একমাত্র প্রাকৃতিক জলপ্রপাত মাধবকুন্ড ইকোপার্ক, নয়নাভিরাম দৃশ্য ও নান্দনিক পিকনিক স্পট হিসাবে দেশী বিদেশী পর্যটকদের সুপরিচিত। সুবিশাল পর্বত গিড়ি, শ্যামল সবুজ বনরাজি বেষ্টিত ইকোপার্কে প্রবীন,নবীন,নারী-পুরুষদের উচ্ছাস অট্টহাসি আর পাহাড়ী ঝরনার প্রবাহিত জলরাশির কল কল শব্দ স্বর্গীয় ইমেজের সৃষ্টি করে।

তাছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির পাখী, বন্য বানর,ও কীট পতঙ্গের অচেনা সুর লহরী শিল্পী, সাহিত্যিক, গবেষক ও ভ্রমন পিপাসুদের মনে এন দেয় এক অনাবিল আনন্দ। এখানে গোটা বছর ছুটে আসেন ভ্রমন পিপাসু ও পর্যটকরা। সুউচ্চ পাহাড় শৃঙ্গ থেকে শুভ্র জলরাশি অবিরাম দ্রত গতিতে গড়িয়ে পড়ছে। পানি পতনের স্যাঁ স্যাঁ শব্দ অর্ধ কিলোমিটার দুর পর্যন্ত পর্যটকদের আকর্ষন করে। কখন শুরু আর কখন শেষ হবে স্রোত ধারা কেউ জানে না।

এখানে শীতের শুরুতে প্রচন্ড ভীড় জমে। শীত ছাড়াও দর্শনার্থীর কোলাহল মুখরিত থাকে গোটা বছর। জলপ্রপাতকে ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে ইকোপার্ক। গবেষক, পর্যটক, বিনোদন প্রিয় সৌখিন মানুষ এখানে এল খোঁজে নৈসর্গিক স্বাদ ও স্বর্গীয় অনুভূতি। জলপ্রপাতের অবিরাম স্রোতধারা প্রবাহিত হওয়ায় পাহাড়েরর গা পুরোটাই কঠিন পাথরে পরিনত হয়েছে।

জলরাশি নির্গত কুন্ডের ডানদিকে রয়েছে বিশাল গুহা। আদিম যুগের মানুষ গুহায় বসবাস করলেও আধুনিক যুগের মানুষ গুহার সাথে তেমন পরিচিত নয়। তবে মাধবকুন্ডে এলে গুহার ভেতর প্রবেশ করে নতুন আমেজ পাওয়া যায়। তাছাড়া বৃষ্টির মৌসুমেও শতাধিক দর্শনার্থী গুহায় আশ্রয় নিতে পারে। স্থানীয় ভাষায় গুহাকে ‘কাব’ বলা হয়ে থাকে।

পাহাড়েরর গভীরে তৈরী গুহাকে মনে হবে আধুনিক কারুকচিত পাথরের একচালা। আদুনিক ভাষায় বলা যায় বাংলোর ফটক। গুহাটির সৃষ্টি প্রাকৃতিক ভাবে হয়েছে বলে অনেকে ধারনা করলেও মুলত এটি ছিল সন্যাসী মাধবেশ্বরের ধ্যান মগ্নের গোপন আস্তানা। এটি কিভাবে, করা তৈরী করেছিল তার সঠিক তথ্য আজও রহস্যাবৃত। মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে এলে চোখে পড়বে উচু নীচু পাহাড়ী টিলায় দিগন্ত জোড়া চা বাগান।

টিলার ভাঁজে ভাঁজে খাসিয়াদের পান পুঞ্জি ও জুম চাষ। পাহাড়ীদের সনাতনী বাড়ি ঘর আর উপজাতি ললনাদের অর্ধ নগ্ন গোসলের দৃশ্য সত্যিই অপুর্ব। যা পর্যটকদের আনন্দই দেয়না, গবেষক ও কবি-সাহিত্যিকরা খোঁজে পায় রসালো লেখার রসদ। মাধবকুন্ড অতিত থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থ স্থান হিসাবে পরিচিত। ভগবান মাধবেশ্বরের আশির্বাদ নিতে হাজার হাজার মানুষ আসেন প্রতি বছরের চৈত্র মাসে।

এ সময় মধুকৃষনা ত্রয়োদশীতে পুণ্যার্জন ও বারুনী স্নান করে পাপ মুক্তির কামনা করেন। মাধবের মন্দির ছাড়াও রয়েছে শিব মন্দির। বিশালাকার শিবলিঙ্গ পুজা করাও হয়ে থাকে। চৈত্রমাসের ওই সময়ে বিশাল মেলা বসে। মেলায় আসলে শুন্যই নয় পাওয়া যায় মানসিক প্রশান্তি ও আনন্দ।

অনেকে আনন্দ ভ্রমনে এসে সুবিশাল পর্বত শৃঙ্গে পাথর বেয়ে উঠে। কিন্তু সর্তকতার অভাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনাও আশংকা রয়েছে। কর্তপ পাহাড়ে উঠা নিষেধ করলেও দুরন্ত সাহসী তরুনরা হিমালয় বিজয়ের স্বাদ নিতে চেষ্টা করে। উচু থেকে অবিরাম গড়ানো পানির স্রোতে সৃষ্টি কুন্ডটি প্রায় ২৫ ফুট গভীর। গত ৩ বছরের মধ্যেদুঃখ জনক ভাবে ৪/৫ জনের মৃত্যু হয়েছে হিম শিতল পানির পরশ পাওয়ার লোভে গভীর কুন্ডতে নেমে।

পানিতে নামতে নিষেধ রয়েছে। এ জলপ্রপাতের সুচনা কখন হয়েছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও ভূ-তাত্বিকদের ধারনা প্রায় হাজার বছর আগে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সন্যাসী মাধবেশ্বর আস্তানা করেন। পাহাড় বেষ্টিত নির্জন স্থানে সন্যাসী ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। মাধবেশ্বরের আস্তানা ঘেষে বয়ে গেছে একটি ঝরনা ধারা। এটি পাথারিয়া পাহাড়েরর প্রায় ২‘শ ৫০ ফুট উচু থেকে গা ঘেষে টিলার নীচুতে কল কল শব্দে প্রবাহিত পানি গভীর কুন্ড হয়ে ঝরনার সৃষ্টি করে।

সন্যাসী তার প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতেন এই পাথর ঘেষা ঝরনার শীতল পানি দ্বারা। সন্যাসীকে ঘিরে প্রতিদিন আগমন ঘটতো পূন্যার্থীদের। সেই থেকে প্রাকৃতিক জলধারাটির নাম মাধব কুন্ড। মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের ২ টি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট। দেশের সর্ববৃহত অকৃত্রিম জলপ্রপাত এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গুরুত্বপুর্ণ স্থান।

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত মাধবকুন্ড। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সাথে মাধবকুন্ডে আসার সুবিধারও উন্নতি হয়েছে। মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কটি পর্যটক, গবেষক ও ভ্রমন পিপাসুদেরদের জন্য বিনোদনের খোরাক যোগাবে নিঃসন্দেহে। স্বচ্ছ নীল জল রাশি আর দুধারের অপরূপ সৌন্দর্য, দীর্ঘ নৌ পথ ভ্রমনের সাধ যেকোন পর্যটকের কাছে এক দূর্লভ আর্কষণ। তেমনি এক নির্জন মনকাড়া স্থান সিলেটের লালাখাল।

লালাখাল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সন্নিকটে অবস্থিত। সারি নদীর স্বচ্চ জলরাশির উপর দিয়ে নৌকা অথবা স্পীডবোটে করে আপনি যেতে পারেন লালা খালে। ৪৫ মিনিট যাত্রা শেষে আপনি পৌছে যাবেন লালখাল চা বাগানের ফ্যাক্টরী ঘাটে। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। সিলেটের আর একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হলো ভোলাগঞ্জ।

রোপওয়ে, পাথর কোয়ারী আর পাহাড়ী মনোলোভা দৃশ্য অবলোকনের জন্য এখানে প্রতিদিনই আগমন ঘটে পর্যটকদের। যোগাযোগ ব্যবস্থা ঢাকা থেকে সিলেটের সাথে সড়ক, রেল ও বিমান সকল রুটেই যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যন্য রুটের চেয়ে রেলপথে ভ্রমণই সুবিধাজনক। সড়কপথে ঢাকার সায়েদাবাদ, কমলাপুর, কল্যাণপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দিনে-রাতে বিভিন্ন পরিবহনের অসংখ্য বাস এই রুটে চলাচল করে। এই রুটে এসি ও নন-এসি দুই ধরনের বাসই রয়েছে।

এসি বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রীণ লাইন, আল-মোবারাকা সোহাগ, সৌদিয়া ও এস.আলম। আর নন-এসি বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্যামলী পরিবহন, হানিফ পরিবহন, মামুন, ইউনিক পরিবহন। পরিবহনের নাম/ যোগাযোগের ফোন নং সোহাগ পরিবহন ৯৩৩১৬০০ (ফকিরাপুল) ৯১৩২৩৬০ (কমলাপুর) ৯১৩২৩৬০ (কল্যাণপুর) ৭১০০৪২২ (আরমবাগ) ৭২২২৯৯ (সোবাহানীঘাট) ভাড়া ১,১০০/- (এক্সিকিউটিভ) ৯০০/- (রেগুলার) আল-মোবারকা ফোন: ৭৫৫৩৪৮৩, ০৪৪৭৭৮০৩৪২২ মোবাইল: ০১৭২০-৫৫৬১১৬, ০১৮১৯-১৮৩৬১১, ০১৭১৫-৮৮৭৫৬৬ ভাড়া ৮০০/- (এসি) ৩৫০/- (নন-এসি) গ্রীণ লাইন ৭১৯১৯০০ (ফকিরাপুল) ০১৭৩০-০৬০০৮০ (কল্যাণপুর) ৭২০১৬১ (সোবাহানীঘাট) ভাড়া ১,১০০/- (স্ক্যানিয়া) ৮৫০/- (ভলবো) সৌদিয়া পরিবহন ০১৯১৯-৬৫৪৮৫৬ (সায়েদাবাদ – ১) ০১৯১৯-৬৫৪৮৫৭ (সায়েদাবাদ – ২) ০১৯১৯-৬৫৪৭৫২ (সায়েদাবাদ – ৩) ০১৯১৯-৬৫৪৮৫৮ (ফকিরাপুল) ০১৭১২৯২০৯০৯ (হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর) ভাড়া ১,১০০/- (এসি) ৪৪০/- (নন-এসি) হানিফ এন্টারপ্রাইজ ০১৭১৩-৪০২৬৬১ (কল্যাণপুর) ০১৭১১৯২২৪১৩ (কদমতলী বাসস্ট্যান্ড) ভাড়া ৪৫০/- (নন-এসি) শ্যামলী পরিবহন ৯০০৩৩১, ৮০৩৪২৭৫ (কল্যাণপুর) ০১৭১৬০৩৬৬৮৭ (কদমতলী বাসস্ট্যান্ড) ভাড়া ৪৫০/- (নন-এসি) ইউনিক পরিবহন ৯০০৮৩২৬, ০১৮২১৪৯৮৮৩৩, ০১১৯৩০৯১১২০ (কল্যাণপুর) ভাড়া ৪৪০/- (নন-এসি) মামুন পরিবহন ৭৫৪৫৩১৭, মোবাইল:০১৭১১-৩৩৭৮৫১, ০১৭১৮-৪৩৮৭৩২, ০১৯১২-০৬৪০৩২ (সায়েদাবাদ) ৭২১৬৯৬ (কদমতলী বাসস্ট্যান্ড) ভাড়া ৩০০/- (নন-এসি) রেলপথে ঢাকা থেকে সরাসরি সিলেটের সাথে রেল যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন একাধিক ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা – সিলেট রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো হলো।

* কালনী এক্সপ্রেস * পারাবত এক্সপ্রেস * জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস * উপবন এক্সপ্রেস যোগাযোগ কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন ফোন নম্বর: ৯৩৫৮৬৩৪,৮৩১৫৮৫৭, ৯৩৩১৮২২ মোবাইল নম্বর: ০১৭১১৬৯১৬১২ বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন ফোন নম্বর: ৮৯২৪২৩৯ ওয়েবসাইট: http://www.railway.gov.bd বিমান পথে ঢাকা থেকে সিলেটের সাথে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি করে ফ্লাইট সপ্তাহে ৪ দিন ঢাকা- সিলেট ও সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচল করে। মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি ও রবিবার এই ফ্লাইট চলে। ভাড়া : ওয়ানওয়ে- BDT 3000 রিটার্ন : BDT 6000 যোগাযোগ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ উত্তরা টাওয়ার (৬ষ্ঠ তলা) ১ জসীমুদ্দিন এভিনিউ, উত্তরা ঢাকা-১২৩০, বাংলাদেশ। ফোন: ৮৯৩২৩৩৮, ৮৯৩১৭১২ ফ্যাক্স: ৮৯৫৫৯৫৯ ওয়েব: http://www.uabdl.com ইমেইল: ঢাকা এয়ারপোর্ট সেলস অফিস ডমেস্টিক উইং কুর্মিটোলা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঢাকা-১২৩০, বাংলাদেশ।

ফোন: ৮৯৫৭৬৪০, ৮৯৬৩১৯১। মোবাইল: ০১৭১৩-৪৮৬৬৬০ সিলেট্ থেকে দর্শনীয় স্থানে যাতায়াত ও থাকা-খাওয়া জাফলং সিলেট থেকে আপনি বাস/ মাইক্রোবাস/ সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় যেতে পারেন জাফলং এ। সময় লাগবে ১ ঘন্টা হতে ১.৩০ ঘন্টা। ভাড়া : বাস -জনপ্রতি ৬৫ টাকা, মাইক্রোবাস- ১৭০০-২০০০/-টাকা এবং সিএনজি চালিত অটো রিক্সা: ৭০০/ টাকা। থাকার তেমন বেশি সুব্যবস্থা জাফলং এ নাই।

তবে যে কয়টি ব্যবস্থা আছে তার মধ্যে জেলা পরিষদের নলজুরী রেস্ট হাউস(থাকতে হলে পূর্বে অনুমতি নিতে হবে), শ্রীপুর পিকনিক স্পট উল্লেখযোগ্য। কিছু বোডিং এর ব্যবস্থা আছে। এছাড়া শ্রীপুর ফরেস্টে এর একটি বাংলো আছে পর্যটকদের থাকার জন্য। খাওয়া-দাওয়ার জন্য আছে ভালো কিছু রেস্টুরেন্ট লালাখাল সিলেট শহর হতে লালাখাল যাবার জন্য আপনাকে পাড়ি দিতে হবে ৩৫ কি.মি রাস্তা। আপনি অনেক ভাবে লালাখাল যেতে পারেন।

বাস, মাইক্রো, টেম্পু যোগে আপনি যেতে পারেন। লালাখালে থাকার তেমন কোন সুবিধা নাই। সাধারনত পর্যটকরা সিলেট শহর হতে এসে আবার সিলেট শহরে হোটেলে রাত কাটায়। সাম্প্রতিক নাজিমগড় রিসোর্ট নামে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত পিকনিক স্পট গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে। ভোলাগঞ্জ সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ৩৩ কিলো মিটার।

শহর থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত সরাসরি কোন যানবাহন সার্ভিস নেই। আগন্তুকরা সিলেট থেকে টুকেরবাজার পর্যন্ত যাত্রীবাহি বাস অথবা ফোরস্ট্রোকযোগে যাতায়াত করেন। টুকের বাজার থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত রয়েছে বেবিটেক্সি সার্ভিস। জেলা পরিষদের একটি রেস্ট হাউস আছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাধানে। থাকতে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি নিতে হয়।

এ ছাড়া ভোলাগঞ্জ বা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় থাকার জন্য তেমন কোন ভাল ব্যবস্থা নাই। আপনি ভোলাগঞ্জ দর্শন শেষ করে সিলেটে এসে অবস্থান করতে পারবেন। সিলেটে থাকার ব্যবস্থা হোটেল রোজভিউ ইন্টারন্যাশনাল (৫ স্টার) টেলিফোন: ০৮১-৭২১৮৩৫, ২৮৩১২১৫০৮-১৪, ২৮৩১৫১৬-২১ মোবাইল: ০১১৯৫১১৫৯৬৪ ইমেইল- হোটেল ফরচুন গার্ডেন Tel : +880-821-715590 , 722499 Fax : 880-821-715590 Mobile : 0171-115153 E-mail : Web: http://www.hotelfortunegarden.com হোটেল ডালাস Tel : 880-821-720945, 720929. E-mail : Web : http://www.hoteldallassylhet.com হোটেল সুপ্রিম Tel : 0088-0821-813169 , 720751, 813172 & 813173 Fax : 0088-0821-813173 Cell: 01711-197012, 01674-074157 E-mail : , হোটেল হিলটাউন ফোন: ০২৮১-৭১৮২৬৩ মোবাইল:- ০১৭১১৩৩২৩৭১, ৭১৬০৭৭ ওয়েব: http://www.hiltownhotel.com হোটেল গার্ডেন ইন Phone: 0821 814507,0821 824500-06 (Extension: 4000) Mobile: +88 01711271185 Fax: 88-0821-814509 Email: নাজিমগড় রিসোর্ট ফোন: ০৮২১- ২৮৭০৩৩৮-৯ ওয়েব: http://www.nazimgarh.com স্পাইসি ০৮২১-২৮৩২০০৮ রয়েলশেফ ০৮২১-৭২৩০৯৬ নিউ গ্রীণ ০৮২১-৮১২৮৬৪ আগ্রা ০৮২১-৭১২১৭৭ সুরমা ভেলী রেস্ট হাউস ০৮২১-৭১২৬৭০  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.