আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাবির উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে ৯৩ সিনেটরের ৭৮ জন মেয়াদোত্তীর্ণ, শূণ্য ১১




জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৯৩জন সিনেটরের মধ্যে ইতিমধ্যে মেয়াদ শেষ হয়েছে ৭৮জনের এবং বিভিন্ন কারণে শূণ্য রয়েছে ১১ টি সিনেট সদস্যের পদ। মাত্র চার জন সিনেট সদস্য পদাধিকার বলে বৈধ সিনেট সদস্য হিসেবে বহাল আছেন। সিনেট সদস্যদের নিয়োগ এবং এর মেয়াদকাল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণে এসব জানা যায়। বিদ্যমান সিনেট দিয়ে ভিসি প্যানেল নির্বাচন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট সমাধান না হয়ে আরো ঘনীভূত হতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষকদের বিভিন্ন অংশ।


আবার অনেক শিক্ষকই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরবর্তী সিনেট নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সিনেটই বহাল থাকবে। একমাসের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের নির্দেশনা এই বিষয়টিকে আরও গুরত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ১৯’র (১) ধারা অনুসারে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯৩ জন সিনেটর নির্বাচিত ও মনোনিত হন। সিনেটরদের ভোটে নির্বাচিত তিন জনের উপাচার্য প্যানেল থেকে রাষ্ট্রপতি ১ জনকে উপাচার্য নিয়োগ দিতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯৩ জন সিনেট সদস্য রয়েছেন।

এদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (ঢাকা) এর চেয়ারম্যান ছাড়া বাকী ৭৮ জন মেয়াদোত্তীর্ণ। এদিকে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের পর অধ্যাপক এম এ মতিন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব নেয়ায় তাঁর উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার গ্রাজুয়েট হিসেবে দুটি সিনেট সদস্য পদ শূণ্য হয়, সাবেক সিনেটর আব্দুল জলিল ভূঞা জাবি স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মনোনিত হওয়া, সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাসির উদ্দিন ও আতাউর রহমান মৃত্যু বরণ করা, অধ্যাপক আফসার আহমেদ উপ-উপাচার্য হওয়ায় তাঁর রেজিস্ট্রার গ্রাজুয়েট হিসেবে মোট ৬টি সিনেট সদস্য পদ ও দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ৫জনসহ মোট ১১টি সিনেট সদস্যের পদ শূণ্য রয়েছে।


৬ টি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সিনেট সদস্যদের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। অধ্যাদেশের অনুযায়ী সরকার কর্তৃক মনোনীত ৫জন সরকারী কর্মকর্তার মেয়াদ ২৫ জুন ২০১৩ তারিখ, স্পিকার কর্তৃক সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে মনোনীত ৫ জন, চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত ৫ জনের ২৬ জুন ২০১২ তারিখ, সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত ৫ জনের ২৫ জুন ২০১৩ তারিখ, শিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক মনোনীত ৫ জন কলেজ অধ্যক্ষের মেয়াদ ২৬ জুন ২০১২ তারিখ, ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েটের মেয়াদ ২৮ জুন ২০০১ তারিখ এবং নির্বাচিত ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধির মেয়াদ গত ২৫ জুন ২০১৩ তারিখে শেষ হয়।

এদিকে এক যুগ ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েটরা বিগত দু’টি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে ভোট দিয়ে আসছেন।

বিগত ২০০৪ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ গ্রাজুয়েটদের ভোটে উপাচার্য নির্বাচিত হন অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান। ২০১২ সালের ২০ জুলাইয়ের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনেও এসব মেয়াদোত্তীর্ণ গ্রাজুয়েটরাই ভোট প্রদান করেন। মেয়াদোত্তীর্ণ সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের ব্যানারে ২০১২ সালের জুলাই মাসে বিভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষকরা আন্দোলন করেছিলেন। এজন্য তারা ২০ জুলাই কে কালো দিবস হিসেবে পালন করে। বর্তমান সিনেটে নির্বাচন হলে ২০১২ সালের মে মাসে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগকারী উপাচার্য ড.শরীফ এনামুল কবির আবারও উপাচার্য নির্বাচিত হবেন ধারনা করা হচ্ছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.