আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দাঙ্গাবাজ মোদি রাজতন্ত্রের রাহুলকে দিল্লির মসনদে দেখতে নারাজ মমতা

দিল্লির মসনদে দাঙ্গাবাজ 'নরেন্দ্র মোদি' বা রাজতন্ত্রের 'রাহুল গান্ধী'কে দেখতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অল ইন্ডিয়া তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ কথা বলেছেন। রবিবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ভারতের রাজনীতি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন, সরকার গঠনে মমতার ভূমিকাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। বেলা ৩টায় তৃণমূল ভবনে পৌঁছে দেখি ঝাড়খন্ডের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মুকুল রায়ের বৈঠক চলছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা এসেছেন, পার্টির প্রচারপত্রসহ নানা বই, পুস্তিকা নিয়ে যাচ্ছেন।

নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। গোটা পার্টি অফিস গমগম করছে। তৃণমূল ভবন নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে সরগরম। লোকসভা নির্বাচনই এখন তৃণমূল নেত্রী মমতা ও তার অনুসারীদের মাথার ভেতর। মুকুল রায় বললেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় আসছে না এটি চূড়ান্ত।

কারণ, কংগ্রেস গরিবের কথা ভাবে না, উল্টো দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। লোকসভা নির্বাচনে তাদের করুণ পরাজয় দেখা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি বলেন, এক লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকার কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে কংগ্রেস ও তার মন্ত্রীরা জড়িত। কমনওয়েলথের ৫৫ হাজার কোটি টাকারও দুর্নীতি হয়েছে। মুকুল রায়ের দাবি ইউপিএ জোট থেকে তৃণমূল বেরিয়ে আসার পর এই সরকার মাইনোরিটি হয়ে গেছে এবং পার্লামেন্টকে ম্যানেজ করে চলছে।

সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের এক কথা_ কংগ্রেসের শোচনীয় ভরাডুবির মধ্য দিয়ে বিজেপি গণরায় নিয়ে ক্ষমতায় আসবে এই সম্ভাবনা একেবারেই নেই। বিগত এক দশক ধরে কেউ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। আগামী দুই দশকেও পাবে না। আঞ্চলিক দলই ঠিক করবে দিলি্লর ক্ষমতায় কারা বসবে। তিনি বলেন, আগামী দিনের সরকার গঠনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় ভূমিকা রাখবেন।

তার মতামতের বাইরে সরকার গঠন হচ্ছে না।

প্রখ্যাত লেখিকা মহাশ্বেতা দেবী ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনশন করে দিলি্ল সরকারের ঘাম ঝরানো অহিংসবাদী নেতা আন্না হাজারে ভারতের ভাবী প্রধানমন্ত্রীর আসনে 'সৎ নেত্রী' মমতাকে দেখতে চান বলে মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তাহলে কি মমতা আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসছেন_ এমন প্রশ্নের জবাবে মুকুল রায় বললেন, না, মমতা প্রধানমন্ত্রিত্বের পথে হাঁটছেন না। তিনি তৃণমূলকে পশ্চিমবঙ্গের সীমানা অতিক্রম করে সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে চান। ভারতবর্ষে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারই তার লক্ষ্য, প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়।

৩০ জানুয়ারি প্রায় ২৫ লাখ মানুষের সমাবেশে মমতা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, দিলি্লর মসনদে কোনো দাঙ্গাবাজ বা রাজতন্ত্রের মুখ দেখতে চান না। তিনি চান সাধারণ মানুষ বা জনগণের সরকার। মুকুল রায়ের ভাষায়, মমতা চান সামনের সরকার হবে প্রো-পিপল বা গণমুখী সরকার। এই সরকার হবে কোয়ালিশন সরকার, যেখানে তার কর্তৃত্ব থাকবে। সরকার পেট্রল, ডিজেল, সারের দাম বাড়িয়ে জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে না।

পেনশন থেকে বীমা, ব্যাংক বেসরকারিকরণ করবে না। কৃষকের জমি কেড়ে নেওয়া হবে না। এক কথায় জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করবে না। গণতন্ত্রে জনগণের ইচ্ছাই শেষ কথা। জনগণ ভুল করেছে এমন কথা যারা বলেন তৃণমূল তাদের সঙ্গে নেই।

গণতন্ত্রে মানুষকেই বেশি মূল্যায়ন করতে হয়। আঞ্চলিক দলগুলো মিলে কীভাবে সরকার গঠন করবে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মুকুল রায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট দুই ডিজিট অনেক আগেই খুইয়ে এক ডিজিটে এসেছে। রাজনীতিতে এখন বামফ্রন্টের কোনো গুরুত্বই নেই। সামনে নির্বাচনে দেখেন এক ডিজিট থাকে কি-না। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতে তৃণমূলের দাপট লোকসভা নির্বাচনে আরও বড় আকার নেবে।

মুকুল রায় বলেন, মহাশ্বেতা দেবীর মতো শ্রদ্ধেয় লেখিকা, আন্না হাজারের মতো নন্দিত সামাজিক নেতাসহ সর্বস্তরের সমাজকর্মী মমতাকে সমর্থন দিচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে আন্না হাজারে তৃণমূলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নামবেন। এমনিতেই তৃণমূলের বিধায়ক রয়েছেন আসামে, মণিপুরে, অরুণাচলে, উত্তর প্রদেশে। এবারের লোকসভায় এসব এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলে তৃণমূল লড়বে জেতার জন্য এবং সেখানে ইতিবাচক ফল হবে বলে আমরা আশা করছি। তৃণমূল কোনো জোটেই যাবে না।

মমতার ইচ্ছা তৃণমূলকে সর্বভারতীয় পার্টিতে রূপ দেওয়া। জাতীয় দল হিসেবে একে সম্প্রসারিত করা। তিনি বলেন, লালু প্রসাদ যাদব, রাম বিলাস, মোলায়েম সিং যাদব, মায়াবতী, জয় ললিতা, চন্দ্র বাবু নাইডুর দলগুলো বাংলার দিকে তাকিয়ে, আগামী দিনে এই দলগুলো সরকার গঠনে মুখ্য ভূমিকা নেবে। কংগ্রেসের ভরাডুবির সঙ্গে বিজেপিও গণরায় নিয়ে হাসতে পারবে না।

কর্মীবেষ্টিত মুকুল রায় সারাক্ষণই পার্টির জন্য সময় দিচ্ছেন।

তৃণমূল ভবন জুড়ে কর্মী আর কর্মী। নিচ তলায় দেয়াল জুড়ে মহাত্দা গান্ধী, পণ্ডিত জওহর লাল নেহেরু, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, নেতাজি সুভাস চন্দ্র বসুসহ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, স্বামী বিবেকানন্দ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং বিপ্লবী ক্ষুদিরামসহ অনেকের পোর্টেট শোভা পাচ্ছে। এখানকার গণমুখী রাজনৈতিক দলগুলোর মতোই দেখলাম নদীয়া থেকে আসা এক তৃণমূল নেতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কমিটি গঠন নিয়ে যত খুনসুটি করছেন। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরেক কর্মী বলছেন, ইচ্ছামতো ঝেড়ে বলেছি আজ।

মুকুল রায় জানান, মমতা ৪০ বছর ধরে যানবাহনে ইকোনমি ক্লাসে চড়ছেন।

চপ্পল পায়ে অতি সাধারণ শাড়ি পরে গণমানুষের সঙ্গে চলতে চলতে আস্থা অর্জন করেছেন। এখনো রোজ মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার আগে তৃণমূল কার্যালয়ে দলের কর্মী ও মানুষের সঙ্গে দুই ঘণ্টা দর্শন দিয়ে যান। সঙ্গে থাকে মুড়ির কৌটা। পার্টি অফিসে বসেই মুড়িতে পিয়াজ, মরিচ আর শর্ষের তেল মেখে কর্মীদের নিয়েই খেয়ে ফেলেন। একটু আলুভাজি, ডালভাত হলেই তার চলে যায়।

ভারতের মানুষ তাকে বিশ্বাস করে, তার প্রতি আস্থা রাখে। এই আস্থা ও বিশ্বাস দীর্ঘ পথ হেঁটেই তাকে অর্জন করতে হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আপনার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষও তাকে ভালোবাসে। পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও প্রয়াত সিপিএম নেতা জ্যোতি বসু গঙ্গার পানি চুক্তিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছিলেন।

আমরা আশা করেছিলাম তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভূমিকা রাখবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি ঢাকা সফরে গেলেন না। এই মুহূর্তে তিস্তার পানি চুক্তি, ছিটমহল সমস্যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু সম্প্রতি এক সমাবেশে আপনার নেত্রীর প্রতি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াত ও ভারতের সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল বিজেপির সঙ্গে এক পাল্লায় ওঠার অভিযোগ এনে বলেছেন, বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় যখন জামায়াত সন্ত্রাসীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যার নাম পাঠানো হয়েছে সেই (আহমেদ হাসান ইমরান) তিনি ভারতের জামায়াতের সঙ্গে জড়িত এবং সাতক্ষীরার সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছেন। বিমান বসু আরও অভিযোগ করেছেন, প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে তিস্তা চুক্তি সম্পাদিত না হওয়ায় এবং ছিটমহল ইস্যুর সমাধান না ঘটায় যে সংকট দেখা দিয়েছে তাতে সীমান্ত পেরিয়ে এ রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ চলে আসছে। তিনি মমতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং তিস্তার পানি বণ্টন ও সীমান্ত চুক্তির ব্যাপারে আপত্তির কারণ হিসেবে জামায়াতকে খুশি করার অভিযোগ এনেছেন।

পরিষ্কার বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সচেতনভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের জনগণ মমতাকে কখনো ক্ষমা করবে না। তিনি বিজেপির সঙ্গে মমতার সখ্য নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন, বিজেপি মমতার সামনে মুলো ঝুলিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা ও সিপিআইএম পলিট ব্যুরোর সদস্য সূর্য কান্ত মিশ্র শুক্রবার বিধানসভার লবিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সংগঠন জামায়াতের কারণেই তিস্তার পানি বণ্টন ও ছিটমহল ইস্যুতে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের ফাটল তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই'র মদদপুষ্ট জামায়াতের পাশাপাশি ভারতের বিজেপিও দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির নিষ্পত্তি চায় না। এই দুই সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে অবস্থান নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই তিন শক্তির অভিন্ন ইচ্ছা রাজ্য তথা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। সম্প্রতি রাজ্যের অস্থায়ী সচিবালয় নবান্নে ভারতে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত সালমান বাসিরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের দিকে আঙ্গুল তুলে সূর্যকান্ত আরও বলেন, আমরাও পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্কের পক্ষপাতী। কিন্তু দীর্ঘদিনের বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশের বিনিময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে মিত্রতা গড়ার পক্ষপাতী আমরা নই।

বামফ্রন্টের এই বক্তব্য ও প্রচারণার ব্যাপারে তৃণমূলের বক্তব্য কি জানতে চাইলে তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় কমিউনিস্টদের একহাত নিয়ে উল্টো বলেন, জামায়াত-বিজেপির সঙ্গে বিমান বসুদেরই যোগাযোগ রয়েছে। তাদের জন্মগত কর্মকাণ্ডই হচ্ছে রাষ্ট্রবিরোধী।

এই কমিউনিস্টরা মহাত্দা গান্ধীজীকে বুর্জোয়ার দালাল, নেতাজি সুভাস চন্দ্র বসুকে তেজো কুকুর, রবীন্দ্রনাথকে বুর্জোয়া কবি বলেছিল। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যখন কংগ্রেসের 'ভারত ছাড়' আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠেছিল, স্বাধীনতা সংগ্রামীরা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে জীবন দিচ্ছিল তখন এই সিপিআই বলেছিল, 'ইয়া আজাদি ঝুটা হায়, বোলো মাত, ভোলো বাত'। ৬২- তে ভারত-চীন যুদ্ধের সময় তারা বলেছিল চীন ভারতকে আক্রমণ করেছে। মুকুল রায় বলেন, ভারতবর্ষের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে কমিউনিস্টদের কোনো জায়গা নেই। তারা আমাদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতাদের নাম মুছে দিতে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এসে শিক্ষার্থীদের সহজ পাঠ তুলে দিয়েছিল।

বিমান বসু এবং সিপিএম থেকে আর যাই হোক জাতীয়তাবাদী কোনো পাঠ নিতে ভারতবাসী রাজি নয়। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ আনছেন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে, ভারতের রাজনীতিতে গুরুত্বহীন হয়ে আলোচনায় আসার জন্য। বাংলার স্বার্থকে লঙ্ঘিত করে এমন কাজ বাংলার সরকার করবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাস্টোডিয়ান অব বেঙ্গল। পশ্চিমবাংলার জনগণের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব তার।

মুকুল রায় বলেন, মমতা ক্ষমতায় এসে তিন কোটি ২০ লাখ মানুষকে দুই টাকা কেজি দরে চাল খাইয়ে আসছেন। কৃষানরা ক্রেডিট কার্ডে শস্যবীমা, নতুন হাসপাতাল, শিশু চিকিৎসালয়, ন্যায্যমূলে ওষুধালয়, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, সেতু, রাস্তা, ৩৬ লাখ সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীর বৃত্তি, চাকরি ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের জন্য শতকরা ১৭ ভাগ কোটা বরাদ্দ, মেয়েদের ১৮ বছরে বিয়ে না হলে করুণাশ্রয়ী প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা শিক্ষা বাবদ, এক লাখ যুবককে উৎসাহ ভাতা, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রথম সম্মানী ভাতা দানসহ মানুষের সেবায় বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছেন। তাই পঞ্চায়েত থেকে পুরসভায় তৃণমূলের জয়লাভের সীমানা আরও বেড়েছে। মানুষের আস্থার জায়গায় এখন বাংলায় তৃণমূল ছাড়া আর কিছু নেই। পশ্চিমবাংলা থেকে দিলি্লর রাজনীতিতে বামফ্রন্ট এখন বিচ্ছিন্ন ভুলে যাওয়া এক নাম।

তাদের এখানে কোনো গুরুত্বই নেই। কারণ মানুষের আলোচনা বা আস্থায় তারা নেই।

শনিবার রাত থেকেই কলকাতায় বৃষ্টি নেমেছিল জোরেশোরে। রবিবার ছুটির দিনে জল-কাদায় নগরবাসীর জীবনে নেমেছিল দুর্ভোগ। শীতের হাওয়া ফিরে এসেছিল কলকাতাবাসীর বসন্ত জীবনে।

তৃণমূল ভবন বিকালে সরগরম দেখা গেলেও সেখান থেকে যখন আলিমুদ্দীনে কমরেড মোজাফফর ভবনের সিপিআইএম অফিসে সন্ধ্যায় ঢুকলাম তখন তত কোলাহল নেই। তৃণমূল অফিসে মুকুল রায় দুধ-চায়ে আপ্যায়ন করালেন। অন্যদিকে সিপিআইএম অফিসে বিমান বসু দীর্ঘ আলাপচারিতায় আপ্যায়ন করান লাল-চায়ে। দুই অফিসের চায়ে মিল একটাই_ কারও কাপেই চিনি ছিল না।

বি: দ্র: আগামীকাল পড়ুন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সিপিআইএম'র সম্পাদক বিমান বসুর সাক্ষাৎকার।

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, 'হাসিনা ভুল করেননি, মমতাই ভুল করেছেন। '

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।