আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা সবাই রাজা,

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

আমরা সবাই রাজা,
আমরা সবাই রাজা, আমাদের এই রাজার রাজত্বে।


নইলে মোরা রাজার সনে মিলবো কি সত্যে,
আমরা যা খুশি তাই করি,
....................................... শ্রী শ্রী রবীন্দনাথ ঠাকুর

রবীন্দনাথ কেনো পৃথিবীর কোনো সাধকই ফালতু কাজে আসেন না। তাদের শুধু মাত্র কিছু নির্দশন দেয়া হয়। আল্লাহ্ তার মাখলুকতকে তার সৃষ্টির মধ্য থেকেই কর্ম অনুযায়ী নির্দশন দিতে থাকেন।
বিশেষ করে সত্য ও মিথ্যা এর আলো ও আধারীর খেলায় মানুষ পথ খোঁজার চেষ্টা করে। মানব জীবন এমন ভাবে গড আপাদের দিয়েছেন যে, তিনি সবসময় বান্দাদের পথ দেখিয়ে দিতে পছন্দ করেন।

কিন্তু আমরা ইন্ডিকেট বুঝে নিতে শিখি না। আপনারা যদি সত্যসাধনার চেষ্টা করতে শিখেন তাহলে মুক্তি পাবেন। আর যদি ধোকায় পরে মিথ্যে পথে যান তা দ্বারা জান্তে বা অজান্তে যা পাপ বা অকল্যানকর কাজ হবে তার কোনো প্রকার ক্ষমা নাই । পরিত্রান পাবার একমাত্র উপায় কে কতো খানি সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভালো কাজ করতে পারলেন তার সাঁজা ভোগ করে স্থায়ী মুক্তি। আজকে যিনি ধর্ষন করছেন তিনিও ধর্ষিত হবে।

খুব স্বাভাবিক ব্যপার মাত্র। মানুষ যদি না জেনেও ভালো কোনো কাজ করে তার ফলও ভালো হবে।

এজন্য না জানলে “জানি না” বলা উচিত আর কেউ যদি কোনো কিছু বলে সাথে সাথে বিশ্বাস না করে নিজ বিশ্বাস দিয়ে যাচাই বাচাই করতে হন।

মনে রাখবেন, সমস্যা যত প্রখর ও মারাত্বক আকার ধারন করুন না কেনো আল্লাহ্ তার মধ্যে তার নিদর্শন রেখে দেন। যত প্রকার উন্নতি হোক আর অবনতি হোক।

আল্লাহ্ তার সৃষ্টির কল্যানের জন্য একমাত্র তাওহিদের গড।

আপনারা যদি আল্লাকে গালাগালিও করেন তাতে তিনি নারাজ হন না। নারাজ একটি বিষয় মাত্র। আল্লাহ্ শ্রেক করার কোনো প্রকার পক্ষে না। আল্লাহ্ একমাত্র তার সৃষ্টির জন্য সর্বাত্বক ন্যায় বিচারক।



জীবনে কোনো দিন নিজের উপর আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। যতো খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখিই আপনি হন না কেনো। শুধু সত্য জ্ঞানে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। দেখবেন আপনি আপনার পথে নিজে থেকেই খুঁজে নিতে পারবেন।

মহাবিশ্ব যত বড়ই মনে হোক না কেনো তা মানুষের দৃষ্টি সীমার বাইরে হলেও মন থেকে চাইলে খুজে পাওয়া যাবে।

কিন্ত হৃদয়কে প্রসারিত করার চেষ্টা ও সত্যার্যন থাকতে হবে। মানুষই একমাত্র জীব যারা তার আল্লাহ্ কে ভুল বুঝে শয়তানের ধোঁকায় অনেক কিছু পেয়েও হারিয়ে ফেলে। এটাকে কোনো দিন আধ্যাতিক ভাববেন না এটা খুব বেশী স্বাভাবিক।
আপনারা সোলায়মান সাহেব কি বোঝাতে চেয়েছেন তা না বুঝে বিভিন্ন রকম মিথ্যে কথার বাহার বানিয়ে রেখেছিলেন। সোলায়মান সাহেব তার রবের সাথে শুধু একটি শেরেক করার ফল কি হতে পারে তার নির্দশন আপনাদের কাছে রেখে গেছেন।



সোলায়মান সাহেব তার গোত্রে সব প্রাণীদের দাওয়াত করে খাওয়াতে চেয়েছিলো। কিন্তু খাবার যখন রেডি। তার আগেই একটি মাছ খাবার খেওয়ার জন্য দাবি করলেন। ব্যাস সব খাবার একবারে শেষ। তখন আল্লাহ্ বললেন যে, “সোলায়মান আমি তোমার রব- আমিই তাওহিদের একমাত্র রিজিকদাতা, আল্লাহ র সাথে কোনো প্রকার শেরেক করবে না”।



এজন্য ভিক্ষা দেবার সময় খুব সাবধান। যারা কর্মক্ষম তাদের ভিক্ষা দিলে নিজেরই সাজা পেতে হতে পারে যদি না তা কোনো প্রকার মানবকল্যানের জন্য হয়।

আল্লাহ র কাছে নিজে সরাসরি চাইতে হয়। তিনি সব মাধ্যমের উর্ধে। আল্লাহ্ আমাদের একমাত্র পরাক্রমশালী উপাস্য।



বন্ধু! অনেক ইন্ডিকেট দেয়া থাকে শুধু ভগবান কে একবার বুঝতে শিখুন, প্রাণ ভরা মায়া দিয়ে ডাকতে শিখুন, ভালো পথ গুলো চেনার চেষ্টা করুন, দেখবেন সব কিছু ঠিকই আছে, ঠিক ছিলো, ঠিক থাকবেই............
আপনারা কথায় কথায় সবুর ও ধর্য্য কথাটির প্রচলন করে উপকার ছাড়া নিজের ক্ষতিই করেছেন বেশী। ধর্য্য ও চেষ্টা একই ব্যাপার মাত্র। আপনার নিজের ব্রেন ঘুমের মধ্যেও কাজ করে যায়। শরীরও কাছ করে যায়। প্রকৃতি তার সব কাজ ঠিক ঠাক রাখার ব্যাপারে সম্পূর্ণ সজাগ থাকে।

সেখানে যদি তার সৃষ্টি কে আপনারা জেনে, শুনে সঠিক ব্যবহার না করে বিনা দোষে নষ্ট করে ফেলেন তখন আল্লাহ্ র দ্বারা সাহায্য আশা করেন কিভাবে? নিজ কর্মদোষের জন্য মানুষ নিজেই দায়ি। এটাই মানুষের সৌন্দর্য ও এগিয়ে যাবার প্রধান প্রেরনা হওয়ার পক্ষে আল্লার নেয়ামত ভেবে নিতে পারেন।

যে মানব শরীর এতো জ্বালা সয়েও টিকে থাকতে চায়। সেই মানব সরীর ইন্তেকালের পর পচন ধরে কেনো। ঠান্ডা হয়ে যায় কেনো।

যতো কোটি কোটি কেনোই সামনে আসুক না কেনো খুঁজে দেখুন কি পান। মেডিকেল সেক্টর বলে একটি বাজে সিস্টেম বানিয়ে রেখেছেন। ডাক্তার হয়ে যাচ্ছে চোর। লুটেরা। মানুষ এত বর্বর হয় কিভাবে? ডাক্তার কি নিজের শরীরের কথাও ভেবে আর একটি শরিরের যন্ত্রনাকে উপলব্ধি করতে পারে না।

ডাক্তার রা চিকিৎসা করার সময় চিন্তা করে মানব শরীর বুঝি একটি সাধারণ বস্তু বা শরীরের চিকিৎসা করার সময় শরীরের কষ্টের কথা ভাবতে নেই। আজ এ জন্য চিকিৎসা সেক্টর এতো অধঃপতন। ডাক্তার নামের কসাই গুলোকে খুঁজে বের করে ভালোমতো বুঝান যে আপনারা নিজেদের ম্যানেজমেন্ট স্টং করে নিন। এজন্য বন্ধু! এস.এস.সি. লেভেলেই চিকিৎসা বিষযে কিছু সাবজেক্ট চালু করলে উপকৃত হবেন। তাতে করে মেধার সমন্বয় হবে।

ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিবেধ ও হিংসা কমে যাবে। একটা লেভেল পর্যন্ত সবাইকে সমান রেখে তারপরা তাদের মেধা অনুযায়ী পছন্দের সেক্টর বেছে নিতে পারে। আমি অবাক হয়ে ডাক্তারদের দেখে খুব খারাপ লাগে ওরা কি ডাক্তার না মানুষ? মানুষ যদি তার মন দিয়ে কর্ম ও অতি গুরুত্বপূর্ন পালনে অবহেলা করে তা কি মেনে নেয়া যায়। একটি ভুল ট্রিটমেন্টের কারণে যদি কোনো মানুষ মারা যায় তার জন্য যে ডাক্তার ভুল করলেন সেই ডাক্তার মার্ডার করার সাজা পেতেই হবে । এটা কর্মদোষ এটা আল্লাহ্ বিধান এবং আল্লাহ সর্ববিষয়ে সমান ও ন্যায়ের পক্ষে থাকবেনই।





অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.