আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জয়ার সঙ্গে 'আহসান' কেন?

জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ক্যারিয়ার শুরু করেন জয়া মাসউদ নামে। 'মাসউদ' তিনি নিয়েছিলেন বাবার নাম থেকে। কিন্তু দীর্ঘ প্রেম শেষে জনপ্রিয় মডেল ফয়সাল আহসানকে বিয়ে করার পর জয়া নিজের নাম 'জয়া মাসউদের পরিবর্তে 'জয়া আহসান' রাখেন। এখন সবাই তাকে জয়া আহসান নামেই চেনে। কিন্তু শোবিজ অঙ্গনের মানুষ বিস্মিত জয়া নামের সঙ্গে এখনো 'আহসান' রেখেছেন দেখে।

কারণ ফয়সালের সঙ্গে জয়ার ডিভোর্স এখন সবারই জানা। যদিও জয়া এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেননি। তবে কাছের দু'একজনকে বলেছেন। সেখান থেকেই এক কান দুই কান করে সবার কাছেই ছড়িয়ে গেছে ব্যাপারটি। ওদিকে ফয়সালও কাছের মানুষদের বলে বেড়াচ্ছেন ডিভোর্সের গল্প।

সংসার রেখে নানান অনৈতিক সম্পর্ক গড়ার কারণেই তিনি জয়াকে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাছের মানুষদের।

জয়া মুখে ডিভোর্সের কথা না বললেও তার আচরণ এবং কর্মকাণ্ড তা বলে দিচ্ছে। তিনি নিজের একটি ওয়েবসাইট করেছেন। সেখানে তাবৎ পরিচয় থাকলেও স্বামীর নাম নেই। অথচ জয়া এখনো আহসান ব্যবহার করে যাচ্ছেন।

আহসান ব্যবহারের কারণ প্রসঙ্গে জানা গেছে, ফয়সাল আহসানরা ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। তাদের পূর্বসূরিরাই আহসান মঞ্জিল তৈরি করেছেন। এমন একটি পরিবারের বউ হয়েছিলেন জয়া। আর তাই ডিভোর্সের পরও 'আহসান' উপাধির সুফল নিতে জয়া এখনো নাম বদল করেননি।

ফয়সালের সঙ্গে জয়ার সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার মূল কারণ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যারিয়ার আর জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য জয়া ছিলেন মরিয়া।

তাই বিভিন্ন অনৈতিক সম্পর্কও তিনি গড়েছিলেন দ্রুত নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। এসব মেনে নিতে পারেননি ফয়সাল। মানসিকভাবে হয়েছিলেন বিপর্যস্ত। শেষ পর্যন্ত তিনি স্ত্রীকে কন্ট্রোল করতে ব্যর্থ হয়ে ডিভোর্সের পথ বেছে নেন। এদিকে জানা যায়, ফয়সাল জয়ার প্রথম স্বামী ছিলেন না।

এর আগেও তার দুটো বিয়ে হয়েছিল বলে একটি সূত্রে জানা যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কও ছিল। এর মধ্যে একজন প্রয়াত প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং সংগীতশিল্পীও ছিলেন।

জয়া বর্তমানে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত। পাশাপাশি প্রেমের সম্পর্কও চালিয়ে যাচ্ছেন একাধিক।

সম্পর্কগুলো উপরে ওঠার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছেন। তবে এ নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। কারণ জয়ার স্বভাব এমনই। কিন্তু সবার প্রশ্ন একটাই_ ডিভোর্স হওয়ার পরও জয়া নামের সঙ্গে 'আহসান' রেখেছেন দেখে।

 




এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।