আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাসিকে প্রচারণায়  ফেইসবুক

আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে প্রচারণার বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন রাজশাহীর দুই মেয়র পদপ্রার্থী। তাদের লক্ষ্য তরুণ ভোটার।
২০ মে থেকে নিজের ফেইসবুক পেইজে প্রতিদিনই নির্বাচনকেন্দ্রিক বক্তব্য পোস্ট করছেন বাঘা-চারঘাটের সাংসদ শাহরিয়ার আলম।
তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়েরুজ্জামান লিটনের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
মঙ্গলবার রাতে শাহরিয়ার তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি দেখে নয়, কেবল রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই আবারো এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে মেয়র পদে তালা মার্কায় ভোট দিন।


তার স্ট্যাসাটে তিনি আরো লেখেন,  “যেসব বন্ধু রাসিক নির্বাচনে খায়রুজ্জামানের বিপক্ষে আমার পোস্টে মন্তব্য করবে আমি তাদেরকে ব্লক করে দেব। ”
পিছিয়ে নেই আরেক মেয়র পদপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলও।
বুলবুলের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু।
মিনু প্রতিদিনই বুলবুলের নির্বাচনী প্রচারণার ছবি তার ফেইসবুক পেইজে তুলে অনলাইনে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।
নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও অনলাইনে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মশিউর রহমান তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে খায়রুজ্জামান লিটন ভাইকে মেয়র পদে ভোট দিন। ”
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরাফাত রেজা আশিক লিখেছেন, “রাসিক নির্বাচনে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল অমায়িক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি রাসিকের সফলতম সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সাদা মনের মাঝে মিশে গিয়ে নেতৃত্বদানে বিশ্বাস করেন। ”
নির্বাচনী প্রচারণার নতুন এই কৌশল আকৃষ্ট করেছে ভোটারদেরও।
রাজশাহীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাজমুন নাহার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসলে আমরা পোস্টার ও মাইকিংয়ে প্রচারণা দেখে অভ্যস্ত।

প্রচারণার নতুন এই ধারার ফলে অনেকের মন্তব্য থেকে প্রার্থীদের বিষয়ে অনেক অজানা তথ্য আমাদের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে। ”
খন্দকার ময়নুল ইসলাম বলেন, “গত নির্বাচনে প্রার্থীদের গণসংযোগ সীমাবদ্ধ ছিল। এবার ইন্টারনেটভিত্তিক যে প্রচারণা হচ্ছে নিঃসন্দেহে এটি একটি ভাল উদ্যোগ। ”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা নির্বাচনের কতটা প্রভাব ফেলবে এমন প্রশ্নের জবাবে সম্মিলিত নাগরিক ফোরাম সমর্থিত প্রার্থী বুলবুল বলেন, “তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে এর সুবিধা থেকে আমরা তো আর বঞ্চিত থাকতে পারি না। ”
এটি যেহেতু সামাজিক যোগাযোগের একটি মাধ্যম, তাই ফেইসবুকে এই প্রচারণার মাধ্যমে আমরা জনগণের আরো কাছাকাছি যেতে চাই।

বর্তমানে ফেইসবুকে তরুণরাই বেশি থাকছে। ফলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা আমাদের বার্তা তাদের কাছেও পৌঁছে দিতে সক্ষম হচ্ছি। ”
সম্মলিত নাগরিক পরিষদ সমর্থিত প্রার্থী লিটন বলেন, ফেইসবুকে প্রচারণা মুলত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে মানুষের অনেক বেশি কাছে যেতে পেরেছিলেন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।