আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বের অধ্যুষিত কয়েকটি পরিত্যক্ত স্থান

"অদ্মানুষ!" - বিস্মিত হয়ে বললো একটি ভূত

প্রিপিয়্যাট (ইউক্রেন):
১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পরমাণু ধ্বংসজজ্ঞের ফলে ৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত ছোট্ট এ শহরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

ক্ষতিকর বিকিরণ প্রভাবের কারণে এটিকে এখনো এড়িয়ে চলা হয়।


মার্ণি ডায়মন্ড মাইন (পূর্ব সাইবেরিয়া, রাশিয়া):
সোভিয়েত ইউনিয়নের বানিজ্যিক হীরার চাহিদা পূরণের জন্য হস্ত-নির্মিত বিশ্বের ২য় সর্বোচ্চ এ গর্তটি স্তালিনের নির্দেশে খোঁড়া হয়েছিল। বিশাল আকৃতির গর্তটির খননকার্য চালিয়ে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ায় সম্পূর্ণ প্রকল্পটি বাতিল করে দেয়া হয়।


ফার্মহাউজ, সেনেকা লেক (নিউ ইয়র্ক):
কালের অতলে জরাগ্রস্থ হয়ে যাওয়া এ খামারবাড়িটি বর্তমানে ব্যবহৃত হয় প্রাচীন গাড়ীগুলোর সমাধিস্থল হিসেবে।





রিউজং হোটেল, পিয়ংইয়াং (উত্তর কোরিয়া):
রিউজং হোটেলটিকে উত্তর কোরিয়ার পাগলামোর অন্যতম নিদর্শন বলা হয়ে থাকে ! হোটেলটির কাজ শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই দেশটি ভয়ানক দূর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়, যার ফলে হোটেলটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

এর প্রায় ১৬ বছর পর, ২০০৮ সালে এর পুনঃনির্মাণ শুরু হয়। প্রায় ১৫০মিলিয়ন ডলার খরচ করে এর বাইরের অংশটিকে নীল কাঁচ দিয়ে আচ্ছাদিত করে দৃষ্টিনন্দিত করা হয়।

কিন্তু এ স্থাপনাটির অভ্যন্তরে অনেক জায়্গাই পরিত্যক্ত ও অসম্পূর্ণ অবস্থায় রেখে দেয়া হয়েছে।


উইলার্ড অ্যাসাইলাম (নিউ ইয়র্ক):
মানসিক ভারসম্যহীনদের সেবা প্রদানের জন্য ১৮৬৯ সালে এ আশ্রয়স্থলটি তৈরি করা হয়েছিল এবং এতে একসাথে ৪,০০০ জন থাকার ব্যবস্থা ছিল।

এর ব্যপ্তিকালে প্রায় ৫০,০০০ জন রোগী এতে ভর্তি হয়েছিলেন যাদের প্রায় অর্ধেকই এর চার দেয়ালের মধ্যে মৃত্যুবরন করেন।

১৯৯৫ সালে গারদটির সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হলে এটি বর্জিত হয়ে পড়ে।


সানঝি ইউএফও হাউজেস (তাইওয়ান):
যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি কর্মকর্তাদের কাছে বিক্রি করার জন্য ১৯৭৮ সালে ইউএফও আকৃতির স্থাপনাগুলোর নির্মাণকার্য শুরু হয়েছিল। কিন্তু বিনিয়োগে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় প্রকল্পটি থামিয়ে দেয়া হয়।


সিক্স ফ্ল্যাগস জ্যাযল্যান্ড, নিউ অর্লিন্স (লুইসিয়ানা):
হারিকেন ক্যাটরিনার আঘাতে পর্যদুস্ত হওয়ার পর থেকে এ বিনোদন উদ্দ্যানটি পরিত্যক্ত।

কোনভাবে টিকে থাকা কিছু রাইড এর পূর্ব প্রাণোচ্ছলতার সাক্ষ্য বহন করে আছে।

কিছু প্রতিষ্ঠান যদিও বা এটি সংস্কার শুরু করতে ইচ্ছুক, তার আগ পর্যন্ত পার্কটি ভুতুড়ে মুভির সেট এর মতোই রয়ে থাকবে।


গালিভার’স ট্র্যাভেলস পার্ক, কাওয়াগুচি (জাপান):
ফুজি পর্বতের ধারে অবস্থিত এ উদ্যানটির উদ্বোধন করা হয় ১৯৯৭ সালে। জাপান সরকারে আর্থিক সহায়তা থাকার পরও কর্তৃপক্ষ এটিকে কেবল মাত্র ১০ বছর পর্যন্ত পরিচালনা করতে পারে। এর্পর ধীরে ধীরে এটি অপাঙক্তেয় হয়ে পড়ে।




ব্যানারম্যান ক্যাসেল, পোল্লেপেল আইল্যান্ড (নিউ ইয়র্ক):
ষষ্ঠ ফ্র্যান্সিস ব্যানারম্যান স্পেনের বিরুদ্ধে আমেরিকার যুদ্ধে ব্যবহৃত অতিরিক্ত যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করে সেগুলো সংরক্ষনের জন্য দূর্গটি স্থাপনা করেন। সাল ১৯২০ এ প্রায় ৯০ কিলোগ্রাম গোলাবারুদের বিস্ফোরনের ফলে এর কিয়দাংশই ভেঙ্গে পড়ে এবং এরপর থেকে কেল্লাটি অধ্যুষিত হয়ে আছে।


ডিজনি ডিসকভারি আইল্যান্ড, লেক বুয়েনা ভিস্তা (ফ্লোরিডা):
ডিজনি ওয়ার্ল্ডের মধ্যস্থলে অবস্থিত বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল। ক্ষতিকারক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া যেগুলোর আঘাতে মানুষ মারা পড়ে - এ ধরণের একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ায় চমৎকার স্থানটি ধীরে ধীরে জনমানবশুন্য হয়ে যায়।


অ্যানিভা রক লাইটহাউজ, স্যাখালিন্সকায়া ওব্লাস্ট (রাশিয়া):
রাশিয়ার পূর্ব উপকূল ও জাপানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত সাগরতীরবর্তি দ্বীপের মতো এ বিচ্ছিন্ন জায়গাটিতে আসামিদের শাস্তিস্বরুপ এনে রাখা হতো।

একসময় রাশিয়া ও জাপান দুটি দেশই জায়গাটি দখল করার জন্য এক প্রকার যুদ্ধে লিপ্ত হয়। পরিশেষে তা রাশিয়ার দখলে আসলেও ধীরে ধীরে এটি অনুধ্যুষিত হয়ে যায়।


কানফ্র্যাঙ্ক রেল স্টেশন (স্পেন):
স্পেন ও ফ্রান্স এর আন্তর্জাতিক যাত্রাপথের এক অংশ হিসেবে রেল স্টেশনটি ব্যবহৃত হয়। ১৯৭০ সালে এক দূর্ঘটনায় একটি ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ায় দুই দেশের মধ্যকার যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং তখন থেকে এটি জনমানবশুণ্য অঞ্চলে পরিণত হয়।


ষাট্যায়ু মিরান্ডা, সেলেস (বেলজিয়াম):
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ দূর্গটি এতিমখানা হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

১৯৮০ সালে ফরাসী সম্ভ্রান্তেরা এর ভরণ-পোষণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেয়ায় সুবিশাল স্থাপনাটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।


ইলিয়েন ডোনান, লক ডুইক (স্কটল্যান্ড):
স্কটল্যান্ড এর উচ্চভূমিতে অবস্থিত এ দূর্গটি ১৯১১ সালে একজন বিশিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত মিলিটারি অফিসার কর্তৃক দখল হয়ে যাওয়ার পর পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.