আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেটে বিএনপিতে তোপের মুখে শমসের পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগ পরাজয়ের নেপথ্যে

সিলেটে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। জামায়াত-প্রীতির অভিযোগ এনে বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। তৃতীয় দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের দুই উপজেলায় জামায়াত নেতাদের ১৯ দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করায় শমসের মবিনের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এই দুই উপজেলায়ই শমসের মবিনকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। স্থানীয় বিএনপির চাপের মুখেই তারা প্রার্থী হয়েছেন বলে দাবি করেছেন এসব নেতারা।

জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটে বিএনপিকে কোনো ছাড় দেয়নি জামায়াত। উল্টো ১৯ দলীয় জোটের সিদ্ধান্ত উপক্ষো করে বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক উপজেলায় জামায়াত আলাদা প্রার্থী দেয়। ১৯ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সিলেটের জৈন্তাপুরে জামায়াত প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ায় বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। অপরদিকে, গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথে বিএনপির প্রার্থীকে ১৯ দলের পক্ষ থেকে সমর্থন দিলেও এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে আলাদা প্রার্থী দেয় জামায়াত। জামায়াতের এই অনমনীয়তার কারণে সিলেটে বিএনপির সঙ্গে তাদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

পরবর্তী উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীদের কোনো ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। তবে তৃণমূলের এই মতামত উপেক্ষা করে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জে জামায়াত নেতাদের ১৯ দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন শমসের মবিন। তার এই সিদ্ধান্তে সিলেট বিএনপিতে ক্ষোভ দেখা দেয়। শমসের মবিনের বিরুদ্ধে জামায়াত-প্রীতির অভিযোগ এনে এ দুই উপজেলায় আলাদা প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী আসন পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হেরেছেন।

দলটির নেতা-কর্মী ও ভোটাররা বলছেন, বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হতেন। সোমবার ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফলে বিএনপি সমর্থিত সাবেক এমপি নুর মোহাম্মদ মণ্ডল পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৯৪২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর ভাসুরের ছেলে ছায়াদত হোসেন বকুল পেয়েছেন ৭০ হাজার ৮৮৭ ভোট। ৪ হাজার ৫৫ ভোটে পরাজিত হন বকুল। আর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মেশকোয়ারা হাবিব মুক্তি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৫২ ভোট।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।