আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিন্ডিকেটের কবলে রংপুরে নিত্যপণ্যের বাজা

রংপুরে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। পাইকারি বাজারে তেল, ডাল, ময়দা ও চিনি কেজিপ্রতি বেড়েছে ২-৪ টাকা। আর খুচরা বাজারে বেড়েছে ৩-৬ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছু করপোরেট প্রতিষ্ঠান চিনি, ভোজ্য তেল, ডাল, আটা, ময়দার দাম নিয়ন্ত্রণ করায় দাম কখনো বাড়ে, আবার কখনো কমে। বাংলা নিউজ। রংপুর সিটি বাজার সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ৫০ কেজির চিনির বস্তা ১ হাজার ৯৬০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০ টাকায়। একই পরিমাণ অ্যাংকর ডাল বস্তায় ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৫০ টাকা। ১ হাজার ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকার ময়দা প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকায়। ৮০০ টাকা বেড়ে সুপারপাম অয়েল প্রতি ব্যারেল (২০০ লিটার) ১৫ হাজার টাকা, পাম অয়েল ১৩ হাজার ৮০০ থেকে বেড়ে ১৪ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি একই হারে বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারে অ্যাংকর ডাল প্রতিকেজি ৫ টাকা বেড়ে ৪২ থেকে ৪৪ টাকায়, চিনি ২ টাকা বেড়ে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা, ৩৫ থেকে ৩৭ টাকার খোলা ময়দা ৩৭ থেকে ৪০ টাকা, ৭৪ থেকে ৭৬ সুপার পাম অয়েল ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় এবং ৭২ থেকে ৭৩ টাকার পাম অয়েল ৭৫ থেকে ৭৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রংপুর নগরীর পাইকারি চিনি ব্যবসায়ী লেনিন জানান, দেশীয় চিনির দাম বাড়াতে সরকার আমদানি করা চিনির ওপর ট্যাঙ্ বাড়াচ্ছে এ কথা শুনে আমদানিকারকরা আমদানি বন্ধ রেখেছেন। ফলে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী সেকেন্দার ও হাজী ময়েন জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েলের টন প্রতি দাম বেড়েছে ১০০ ডলার। ফলে দেশের বাজারে দাম বেড়েছে। গত অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববাজারে চিনি, ভোজ্য তেল ও গমের দাম কমেছে। গত অক্টোবরে প্রতি পাউন্ড চিনির দাম ছিল ১৮ দশমিক ৮১ সেন্ট। জানুয়ারিতে তা কমে বিক্রি হয় ১৫ দশমিক ৪২ সেন্টে। গত নভেম্বরে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম ছিল ৮১০ ডলার। জানুয়ারিতে তা কমে হয় ৭৬৯ ডলার। একইভাবে গমের দাম গত অক্টোবরে ছিল প্রতি টন ৩২৫ ডলার। ধারাবাহিকভাবে তা কমে জানুয়ারিতে ২৭৫ ডলারে বিক্রি হয়। ভোক্তারা বলছেন, গত বছরের শেষ দিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার পরও ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল ছিল। সে সময় কোম্পানি থেকে দাম বাড়ানো হয়নি। বাজারে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দাম যা বেড়েছে, তা সরবরাহ খরচ ও মজুদ সংকটের কারণে বেড়েছে। ওই সময়ে মিলগুলো লোকসান দিয়ে পণ্য বিক্রি করে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.