আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবিরহাটে থানায় চড়াও যুব ও ছাত্রলীগ

কবিরহাট থানার ওসি এস এম মাহবুবুর রহমান জানান, বুধবার গভীর রাতের এ হামলার ঘটনায় তিন কনস্টেবলসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে শটগানের গুলি ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।

ওসি বলেন, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান রাত পৌনে ১২টার দিকে ‘মদ্যপ অবস্থায়’ থানায় এসে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দুর্বব্যহার করেন।

“এক পর্যায়ে তাকে থানায় আটক রাখা হয়েছে বলে তিনি মোবাইল ফোনে এলাকায় খবর দেন। এই খবরে তার লোকজন থানায় এসে হামলা ভাংচুর শুরু করে।

এ সময় পুলিশ কনস্টেবল মো. ইয়াসিন, আবদুল কাইউম ও বাবুল মিয়া আহত হন। তাদের জেলা সদরে পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

কারা ওই হামলা চালিয়েছে জানতে চাইলে ওসি বলেন, “তাদের মধ্যে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরাও ছিল। ”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জহিরুল হক রায়হান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে কবিরহাট পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন নবীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। তারা নবীকে না পেয়ে তার দুই ভাই সাইফুল ও বখতিয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

“এ ব্যাপারে জানতে থানায় যাই। এ সময় আমাকে থানায় আটকে রাখা হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধ লোকজন থানায় আসে। এ সময় পুলিশের হামলা ও গুলিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত ১০ জন আহত হন। ”

আহদের মধ্যে কবরিহাট পৌর ছাত্রলীগরে সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ (২৯), শাহাদাত হোসেন (২০), মনির হোসেন (৪০), বখতিয়ার উদ্দিন (৩২),  রিয়াজ উদ্দিন (৩৫) ও জামাল হোসেনকে (৩০) নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ব্রাদার সেলিম বলেন, আহতদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

আবদুল ওয়াহেদের গলার শিরা কেটে গেছে।

তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান সেলিম।

হামলার খবর পেয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান রাতেই থানায় যান। থানা ভাংচুরের ঘটনা নিশ্চিত করলেও এ ব্যপারে কোনো মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি।

হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।