আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তেঁতো করলার গুণাগুণ

করলার তেঁতো স্বাদ অনেকেই পছন্দ করেন আবার অনেকেই একেবারেই মুখে তুলতে পারেন না এই সবজিটি। অনেকেই করলা শুনলেই নাক মুখ কুঁচকে ফেলেন। স্বাদে তেঁতো হলেও এর আছে অনেক গুণ। নিয়মিত তিতা করলা খাওয়ার অভ্যাস করলে নানান রকমের রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও করলা থেকে পাওয়া সম্ভব।

 

খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় আছে জলীয় অংশ ৯২.২ গ্রাম, আমিষ ২.৫ গ্রাম, শর্করা ৪.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৪ মিলিগ্রাম, আয়রণ ১.৮ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১৪৫০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি১- ০.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২- ০.০২ মিলিগ্রাম, অন্যান্য খনিজ পদার্থ ০.৯ গ্রাম ও খাদ্যশক্তি ২৮ ক্যালরি। জেনে নিন করলার ৫টি স্বাস্থ্যউপকারীতা সম্পর্কে।  

রক্তের সমস্যা

 

করলা রক্তকে বিশুদ্ধ করে। দুই আউন্স করলার রসের সাথে অল্প লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে একবার পান করুন। ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে রক্তের দূষিত উপাদান দূর হয়ে যাবে এবং এলার্জি জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

 

ডায়াবেটিস

 

করলা এডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক একধরনের এনজাইম বৃদ্ধি করে শরীরের কোষগুলোর চিনি গ্রহণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। করলার রস শরীরের কোষের ভিতর গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়াও বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের চিনির পরিমাণ কমে যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত করলার রস খেলে উপকার পাবেন।  

চোখের সমস্যা 

করলায় আছে প্রচুর পরিমানে বিটা ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে বিটা ক্যারোটিন খুবই উপকারী। তাই যাদের চোখের সমস্যা আছে তাঁরা নিয়মিত করলা খেলে চোখ ভালো থাকবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা 

নিয়মিত করলা খাওয়ার অভ্যাস করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত করলা খেলে সর্দি,কাশি, মৌসুমী জ্বর ও অন্যান্য ছোটখাটো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 

অরুচি 

করলা একটি রুচি বর্ধক সবজি।

বদহজম কিংবা জ্বর হলে অনেক সময় মুখের রুচি চলে যায়। রুচি চলে গেলে করলা খেলে মুখের অরুচি ভাব চলে যায়।  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।