আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিউটোরিয়াল পোস্টঃ কিভাবে হবেন অন্তর্জালের যোদ্ধা!

বাল্পুস্টের হেডকুয়াটার অন্তর্জালে অনেকেই অনেক ধান্দায় আসে। কেউ আসে ইনকামের আশায়, কেউ আসে নিজের সিঙ্গেল অপবাদ ঘোচাবার আশায়, কেউ আসে নিজের আইডিয়া সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে অথবা কেউ আসে অন্তর্জাল বা ইন্টারনেটের ফাইটার হতে। আমার দেয়া বিনামূল্যের এ টিউটোরিয়ালে পাবেন অনলাইন ফাইটার হওয়ার ১০০% গ্যারান্টি। যা বাড়াতে পারে আপনার পেমেন্ট, যা এনে দিতে পারে আপনাকে সেলিব্রিটির মর্যাদা। কথাগুলো শুনতে একটু ক্যানভাসারের মত লাগছে তাই না? হে হে! আমি যে অন্তর্জালের ক্যানভাসার।

যা যা লাগবেঃ ১) একটি কম্পিউটার (অবশ্যই সচল হতে হবে) ২) কম্পিউটার না থাকলে একটি স্মার্ট ফোন। (কিভাবে বাংলা লিখবেন, পড়বেন , আমি জানি না। মোবাইল কথকরে জিগান) ৩) ইন্টারনেট কানেকশান। (এইডা হইল গিয়া ভিসা। অন্তর্জালের ভিসা) ৪) মগজ।

(বিচির চেয়ে ব্রেইনের সাইজ ছোট হলেও সমস্যা নেই। কাজ চলবে) ৫) গালিগালাজের দক্ষতা (আপনি সুশীল? গালি কি জানেনই না? তাহলে আপনার দ্বারা ফাইট হবে না। আপনি আমার গালি নিয়ে এ পোস্টটি দেখতে পারেন ) ৬) দালালি করার অসাধারন দক্ষতা (No matter what happens, আপনাকে আপনার গুরুর কথায় সম্মতি জানাতে হবে) ৭) ফটুশপ করার দক্ষতা (বেশি না হলেও চলবে! যেকোন ধরনের ফটুশপ আপনার লোকেরা শেয়ার দিবে। এ ব্যাপারে চিন্তা না করলেও পারেন ) ৮) যেকোন একটি দেশের ফ্যান হতে হবে। এক্ষেত্রে অপশন আছে মাত্র ৪টি।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং ইসরায়েল। ৮) টর ব্রাউজার সহ বিভিন্ন ধরনের প্রক্সির ব্যবহার জানতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি ব্লগীয় প্রক্সি গুরু ফিফার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। উনি Hide my ass সহ নানা রকম প্রক্সির সন্ধান দিবেন। প্রক্সি আপনার ASS হাইড করতে পারলেও ল্যাঞ্জা হাইড করতে পারবে বলে মনে হয় না।

কারন, ডাক্তার আইজু (ডিএক্টিভেট) মরার আগে বলে গেছেন, ল্যাঞ্জা ইজ অ্যা ভেরি ডীফিকাল্ট থিঙ্ক টু হাইড। আমি একটু যোগ করলাম, “যে রকমের ল্যাঞ্জাই হোক” ৯) ডকুমেন্ট তৈরির অসাধারন ক্ষমতা। ১০ মিনিট আগে তৈরি ডকুমেন্ট ৫০ বছর আগের বলে চালিয়ে দিতে চান? এই নেন বোনাস শর্ট কোর্স। ইনকিলাবের পুরানা ফন্টে আপনার মন গড়া কথা টাইপ করুন। একটি এফোর সাইজের পেপার মাটিতে ঘষুন ভালো করে।

তারপর দলা মোচড়া করে ভাজ করুন। এরপর এটাতেই অই ডকুমেন্ট প্রিন্ট করুন। একটু ছিঁড়ে ফেলুন। তারপর, স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করলেই পেয়ে গেলেন ৫০ বছর আগের ডকুমেন্ট। এর উপর নিজের নাম পারলে ওয়াটারমার্ক দিয়ে লিখে দিন কার পক্ষ হতে কাজ করবেনঃ প্রথমে আপনাকে জানতে হবে আপনি কে? আপনার আত্মা কি চায়? কাদের বিপক্ষে কথা বলতে দেখলে আপনার ধমনী কেপে উঠে? কাদের পক্ষে কথা বলতে আপনার ভালো লাগে? কাদের জন্য জীবন দিতে ইচ্ছে হয়! প্রশ্নের উত্তর বের করতে পারলেই আপনি আপনার এজেন্ডা পেয়ে গেলেন।

যেভাবে ফাইটিং করবেনঃ এখন আপনার লাগবে একটি ফেসবুক আইডী এবং ব্লগ আইডি। প্রথমে ফেসবুক আইডী থেকে বড় বড় সব ব্লগার এবং অনলাইন এক্টিভিস্ট কে এড রিকুয়েস্ট পাঠান। বেশির ভাগ সময়ই তারা ইচ্ছা করে এক্সেপ্ট করেন না, ফলোয়ার লিস্ট বাড়ানোর জন্য। যাহোক, খ্যান্ত হবেন না। ফেসবুকে আপনাকে সব ধরনের লোককে এড বা ফলো করতে হবে।

তবে ভুলেও বিপক্ষ দলের তাঁবুতে (পেইজে) লাইক দিবেন না। তাহলে আপনি শেষ! সেলিব্রিটিরা তাদের কমেন্ট সেকশন খোলাই রাখেন বেশিরভাগ সময়। আপনার সমর্থিত সেলিবিরিটি যদি পোস্ট দেয় “সূর্য পশ্চিমে উঠে!”। আপনাকে গিয়ে কমেন্ট করতে হবে, “ইয়েস বস। সহমত জানালাম” একই পোস্টে যদি কেউ, প্রতিবাদ করে, তাহলে আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে, পূর্বে মুখস্ত করা গালিগালাজ অই আইডীর উপর ঝাড়া।

কারন, বর্তমানে যুক্তিপূর্ন আলোচনার বেইল নাই। সে কি কমেন্ট করছে তা অবশ্য পড়ে দেখবেন। অনেক সময় হিতে বিপরীত হতে পারে। বর্তমানে সুপরিচিত যোদ্ধা হওয়ার অন্যতম কমন প্ল্যাটফর্ম হলো ব্লগ। তবে যে ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালানো হয়, এটা সে ব্লগ নয়।

প্রথমেই আপনাকে সামহোয়ারিন ডট নেটে একটা একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে। আমি জানি, আপনাকে অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন কিভাবে করতে হয় বা, কিভাবে সেইফ হতে হয় সে ব্যাপারে বলতে হবে না তারপর, আপনার ভিউ অনুসারে আপনাকে মুক্তমনা, সোনাব্লগ বা আমুব্লগে একখান একাউন্ট করতে হবে! যেকোন একজায়গায় কিন্ত। দুই নৌকায় পা দিলে এরশাদ সাহেবের মত কট! :p ফেসবুকের নিয়ম ব্লগেও এপ্লাই করবেন। তবে বর্তমানে ব্লগে একটু ব্যান খাওয়ার চান্স থাকে বিধায় , আপনাকে বেশ কিছু মাল্টি বা ছুপা আইডী খুলতে হবে। যা কেউ জানে না।

অবশ্য আপনি একজন ফাইটার হওয়ার পরে আপনার ভক্তবৃন্দই আপনাকে নিক এনে দিবে। মাঝেমধ্যে আপনাকে কিছু মিথ্যে লেখা বা ফটুশপ করা ছবিও প্রচার করতে হতে পারে। উৎস হিসেবে দিবেনঃ “ ইনবক্সে একজন এসে বলল” যেভাবে বুঝবেন আপনি একজন ফাইটারে পরিণত হয়েছেনঃ যেদিনই কেউ আপনাকে ইনবক্সে এসে একটা লিঙ্ক দিয়ে বলবে, বস, একটু এই পোস্টে আসেন তো। সেদিনই নিজেকে ফাইটার ভাবতে পারবেন। পড়েন টিউটোরিয়াল হোন ফাইটার।

করুন মুখ উজ্জ্বল সবার। বিঃদ্রঃ এই পোস্ট পড়িয়া, কাহারো যদি চামে-চিকনে, ডানে-বায়ে, আনাচে-কানাচে, চিপা-চাপায়, জায়গায়-অজায়গায় চুলকানী অনুভূত হয় তাহলে লেখক দায়ী নয়। চুলকানীর মলম লাগান। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.